Dhaka রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে আপত্তি নেই ভারতের : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরে ভারতের আপত্তি নেই। তিনি ভারত সফরের সময় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চীন সফরের বিষয়টি অবহিত করেছিলেন।

বুধবার (৩ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে অ্যাকাডেমির জার্নাল, স্মার্ট লাইব্রেরি ও ওয়েবসাইটের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতের কখনো কোনো আপত্তি ছিল না। আমরা যখন রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছিলাম, তখন চীনের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে, আমি তো চীন যাচ্ছি, সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করব। এভাবেই বিষয়টি এসেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমরা গত ১৫ বছর ধরে তাই করছি। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন বাংলাদেশকে ভারতীয় পণ্যের বাজারে রূপান্তরিত করেছিল।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক কেবল শ্রমিক রপ্তানির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সৌদি আরব বাংলাদেশের স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ করতে চায়। বাংলাদেশ এবং সৌদী আরবের কিছু অসাধু শ্রম রপ্তানিকারকদের কারণে যারা গিয়ে কাজ পায় না তাদের ঠেকাতে দু’দেশের মধ্যে একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠন করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের পররাষ্ট্র নীতি হচ্ছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমরা সবার সঙ্গে সম্পর্ক সুন্দর রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। প্রধানমন্ত্রী কয়েকদিন আগে ভারত সফর করে এসেছেন। সেই সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ ছিল। ভারত সফরে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলাপ করেন, তখন আলোচনা হয়েছিল চীন সফরের বিষয়ে।

তিনি বলেন, চীন আমাদের বড় উন্নয়ন সহযোগী দেশ। আমাদের অবকাঠামো উন্নয়নে… বঙ্গবন্ধু টানেল, পদ্মা সেতুসহ নানা ক্ষেত্রে অনেক আইকনিক স্থাপনা নির্মাণে চীনের অর্থ ও লোকবল লেগেছে। তাই আগামী সফর নিশ্চিতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতদিন ধরে চীন আমাদের উন্নয়ন অভিযাত্রায় যে ভূমিকা রেখে আসছে, সেই উন্নয়ন অভিযাত্রাকে বেগবান করতে চীন সফর গুরুত্বপূর্ণ।

চীন সফরে নতুন কোনো চুক্তি হবে কি না? এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সেটি এখনো ফাইনাল হয়নি, এখনো বলার সময় আসেনি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী ৮ জুলাই সকালে ঢাকা থেকে বেইজিংয়ের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ৯ জুলাই তিনি বেইজিংয়ে বিজনেস ফোরামে যোগ দিয়ে বক্তব্য দেবেন। পরদিন ১০ জুলাই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসবেন। বৈঠকে আর্থিক সহায়তা এবং নতুন প্রকল্পে অর্থায়নের মতো বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে।

পরে প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করবেন। প্রধানমন্ত্রীর বেইজিং সফরের সময় দেশটির সঙ্গে বেশ কয়েকটি দলিল সইয়ের কথা রয়েছে। এছাড়া, সরকারপ্রধান বঙ্গবন্ধুর বই ‘আমার দেখা নয়াচীন’-এর চীনা ভাষায় অনুবাদের মোড়ক উন্মোচন করবেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ডাকসুর কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে আপত্তি নেই ভারতের : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৮:৫১:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরে ভারতের আপত্তি নেই। তিনি ভারত সফরের সময় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চীন সফরের বিষয়টি অবহিত করেছিলেন।

বুধবার (৩ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে অ্যাকাডেমির জার্নাল, স্মার্ট লাইব্রেরি ও ওয়েবসাইটের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতের কখনো কোনো আপত্তি ছিল না। আমরা যখন রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছিলাম, তখন চীনের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে, আমি তো চীন যাচ্ছি, সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করব। এভাবেই বিষয়টি এসেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমরা গত ১৫ বছর ধরে তাই করছি। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন বাংলাদেশকে ভারতীয় পণ্যের বাজারে রূপান্তরিত করেছিল।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক কেবল শ্রমিক রপ্তানির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সৌদি আরব বাংলাদেশের স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ করতে চায়। বাংলাদেশ এবং সৌদী আরবের কিছু অসাধু শ্রম রপ্তানিকারকদের কারণে যারা গিয়ে কাজ পায় না তাদের ঠেকাতে দু’দেশের মধ্যে একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠন করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের পররাষ্ট্র নীতি হচ্ছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমরা সবার সঙ্গে সম্পর্ক সুন্দর রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। প্রধানমন্ত্রী কয়েকদিন আগে ভারত সফর করে এসেছেন। সেই সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ ছিল। ভারত সফরে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলাপ করেন, তখন আলোচনা হয়েছিল চীন সফরের বিষয়ে।

তিনি বলেন, চীন আমাদের বড় উন্নয়ন সহযোগী দেশ। আমাদের অবকাঠামো উন্নয়নে… বঙ্গবন্ধু টানেল, পদ্মা সেতুসহ নানা ক্ষেত্রে অনেক আইকনিক স্থাপনা নির্মাণে চীনের অর্থ ও লোকবল লেগেছে। তাই আগামী সফর নিশ্চিতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতদিন ধরে চীন আমাদের উন্নয়ন অভিযাত্রায় যে ভূমিকা রেখে আসছে, সেই উন্নয়ন অভিযাত্রাকে বেগবান করতে চীন সফর গুরুত্বপূর্ণ।

চীন সফরে নতুন কোনো চুক্তি হবে কি না? এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সেটি এখনো ফাইনাল হয়নি, এখনো বলার সময় আসেনি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী ৮ জুলাই সকালে ঢাকা থেকে বেইজিংয়ের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ৯ জুলাই তিনি বেইজিংয়ে বিজনেস ফোরামে যোগ দিয়ে বক্তব্য দেবেন। পরদিন ১০ জুলাই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসবেন। বৈঠকে আর্থিক সহায়তা এবং নতুন প্রকল্পে অর্থায়নের মতো বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে।

পরে প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করবেন। প্রধানমন্ত্রীর বেইজিং সফরের সময় দেশটির সঙ্গে বেশ কয়েকটি দলিল সইয়ের কথা রয়েছে। এছাড়া, সরকারপ্রধান বঙ্গবন্ধুর বই ‘আমার দেখা নয়াচীন’-এর চীনা ভাষায় অনুবাদের মোড়ক উন্মোচন করবেন।