Dhaka মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ হবে : ফারুক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৫:০৮:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৮৯ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধান উপদেষ্টার সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকের মাধ্যমেই নির্বাচন কখন হবে সেটি নির্ধারণ হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ডামি নির্বাচন কমিশন আর কোনোদিন দেশে আসবে না। প্রধান উপদেষ্টার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।নিজেদের কৃতকর্মের জন্য বাংলাদেশের মাটিতে আওয়ামী লীগ আর কোনোদিন নিজেদের নাম নিয়ে আসতে পারবে না।

বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস কয়মাসের মধ্যে নির্বাচন দেবেন, কখন নির্বাচন হবে সেটা রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশে এমন একটি নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপিকে ক্ষমতায় যাবে- যে নির্বাচন দিনে হবে, যে নির্বাচনে মৃত ব্যক্তি ভোট দেবে না। যে নির্বাচন কমিশন হাসিনার কথায় নির্বাচন করেছে এমন নির্বাচন কমিশন যাতে বাংলাদেশে আর কোনো দিন না হয়।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা শেখ হাসিনা সরকার কেঁড়ে নিয়েছিল উল্লেখ করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আওয়ামী লীগ আপনাদেরকে ঠিক মতো দায়িত্ব পালন করতে দেয়নি। আপনাদেরকে গুলি করেছে, আপনাদের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করেছে। আপনাদের পত্রিকাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। আপনাদের চ্যানেলগুলোকে ডিজিএফআই দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেছে। আমরা আশা করছি, এই সরকারের অধীনে আপনারা বুক ফুলিয়ে স্বাধীনভাবে স্বাধীন কলম দিয়ে আপনাদের লেখনী দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে ১৬ বছরের অত্যাচার, গুমের, মায়ের বুক খালি হওয়ার ইতিহাস তুলে ধরবেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কুচক্রীরা, প্রেতাত্মারা বাংলাদেশের এই সরকারকে অস্থিতিশীল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ড. ইউনূস বাংলাদেশের আকাশে একটা নক্ষত্র। যিনি বাংলাদেশের মানুষকে বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল করে তুলেছেন। যেভাবে ১৯৭১ সালে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে বাংলাদেশের মানচিত্র পৃথিবীতে স্থায়ীভাবে উঠানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছি, সেই বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ মুজিবুর রহমান কোথায় যুদ্ধ করেছিলেন? তার দল কোথায় যুদ্ধ করেছে? কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছে? আপনার লোকেরা কলকাতায় বসে ছিল। সেই লোকেরাই ১৬ বছর এই দেশের মানুষের উপর চেপে বসে মানুষের কন্ঠকে চিবিয়ে চিবিয়ে হত্যা করেছে। আজকে আমাদের প্রিয় নেতা ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছন। যারা মায়ের বুক খালি করেছে, আবু সাঈদের রক্ত বৃথা যাবে না। আপনার যতই ষড়যন্ত্র করেন না কেন, আপনারা বাংলাদেশের মাটিতে কোনো দিনও আওয়ামী লীগের নাম নিয়ে আসতে পারবেন না।

তিনি আরও বলেন, আপনি (শেখ হাসিনা) মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ণ করে ভারতের সঙ্গে আঁতাত করেছেন। সীমান্তে যখন আমার ভাইদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, সেই কথাগুলো আপনি কখনোই আমাদেরকে সংসদে বলার সুযোগ দেননি। আপনি এখন দাপটের সঙ্গে হিন্দুস্তানে বসে আছেন। মোদি সরকার আপনার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নাই, কিন্তু আপনার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কথা বলে। বাংলাদেশকে কোনো কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। বাংলাদেশের মানুষ সজাগ। ২০১৩ সালে যে চুক্তি করেছেন, সেই চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত দিতে হবে। যদি স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রী আপনি হয়ে থাকেন, বন্দী চুক্তি যদি স্বাক্ষরে থাকে তাহলে শেখ হাসিনাকে দেশে হস্তান্তর করুন। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পাঁচশর অধিক মামলা হয়েছে। দিল্লিতে বসে মা-মেয়ে যুক্তি করে বাংলাদেশের ড. ইউনূসের সরকারকে আপনি ষড়যন্ত্র করবেন, বাংলাদেশের মানুষ সেটা কখনোই মেনে নেবে না। বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে আওয়ামী লীগকে ঘৃণা করে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে, ভারতের বিরুদ্ধেও মানুষ সজাগ হচ্ছে।

জয়নুল আবদিন বলেন, তারেক রহমানকে এত ভয় কেন জানেন! খালেদা জিয়াকে এত ভয় কেন জানেন! ১৯৮০ সালে যখন জিয়াউর রহমান ভারত সফরে যান তখন ইন্দিরা গান্ধী জিয়াউর রহমানকে রিকোয়েস্ট করেছিলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত নেন, তার সম্পত্তি ফেরত দেন। তখন আমার নেতা জিয়াউর রহমান স্পষ্ট করে বলে দিয়েছিল, সে (শেখ হাসিনা) দেশে আসুক, তার সকল সম্পত্তি ফেরত দেওয়া হবে। আপনি (শেখ হাসিনা) দেশে এসেছিলেন, এরপর জিয়াউর রহমান কেন খুন হয়েছেন সেটা জানার ইচ্ছা আমাদের জাগে। ষড়যন্ত্র আপনি করেছেন। ষড়যন্ত্রকারী হচ্ছেন আপনি। বাংলাদেশের সকল সাংবাদিক প্রতিষ্ঠান আপনি ধ্বংস করে দিয়েছেন। কিন্তু তারেক রহমান বাংলাদেশের দুঃখী মানুষের কথা বলেন। বাংলাদেশের ৯২ হাজার কোটি টাকা আপনি (শেখ হাসিনা) লুট করে নিয়েছেন। কানাডায় বাড়ি বানিয়েছেন, তখন মনে হয় নাই পালিয়ে যাবেন। এখন কেন জয়কে দিয়ে রাজনীতির কথা বলেন। এই সকল কথা চলবে না। বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে বিচারের আওতায় আনবে।

গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, আবু নাসের রহমতুল্লাহ, মোশারফ হোসেন প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ হবে : ফারুক

প্রকাশের সময় : ০৫:০৮:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধান উপদেষ্টার সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকের মাধ্যমেই নির্বাচন কখন হবে সেটি নির্ধারণ হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ডামি নির্বাচন কমিশন আর কোনোদিন দেশে আসবে না। প্রধান উপদেষ্টার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।নিজেদের কৃতকর্মের জন্য বাংলাদেশের মাটিতে আওয়ামী লীগ আর কোনোদিন নিজেদের নাম নিয়ে আসতে পারবে না।

বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস কয়মাসের মধ্যে নির্বাচন দেবেন, কখন নির্বাচন হবে সেটা রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশে এমন একটি নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপিকে ক্ষমতায় যাবে- যে নির্বাচন দিনে হবে, যে নির্বাচনে মৃত ব্যক্তি ভোট দেবে না। যে নির্বাচন কমিশন হাসিনার কথায় নির্বাচন করেছে এমন নির্বাচন কমিশন যাতে বাংলাদেশে আর কোনো দিন না হয়।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা শেখ হাসিনা সরকার কেঁড়ে নিয়েছিল উল্লেখ করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আওয়ামী লীগ আপনাদেরকে ঠিক মতো দায়িত্ব পালন করতে দেয়নি। আপনাদেরকে গুলি করেছে, আপনাদের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করেছে। আপনাদের পত্রিকাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। আপনাদের চ্যানেলগুলোকে ডিজিএফআই দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেছে। আমরা আশা করছি, এই সরকারের অধীনে আপনারা বুক ফুলিয়ে স্বাধীনভাবে স্বাধীন কলম দিয়ে আপনাদের লেখনী দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে ১৬ বছরের অত্যাচার, গুমের, মায়ের বুক খালি হওয়ার ইতিহাস তুলে ধরবেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কুচক্রীরা, প্রেতাত্মারা বাংলাদেশের এই সরকারকে অস্থিতিশীল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ড. ইউনূস বাংলাদেশের আকাশে একটা নক্ষত্র। যিনি বাংলাদেশের মানুষকে বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল করে তুলেছেন। যেভাবে ১৯৭১ সালে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে বাংলাদেশের মানচিত্র পৃথিবীতে স্থায়ীভাবে উঠানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছি, সেই বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ মুজিবুর রহমান কোথায় যুদ্ধ করেছিলেন? তার দল কোথায় যুদ্ধ করেছে? কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছে? আপনার লোকেরা কলকাতায় বসে ছিল। সেই লোকেরাই ১৬ বছর এই দেশের মানুষের উপর চেপে বসে মানুষের কন্ঠকে চিবিয়ে চিবিয়ে হত্যা করেছে। আজকে আমাদের প্রিয় নেতা ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছন। যারা মায়ের বুক খালি করেছে, আবু সাঈদের রক্ত বৃথা যাবে না। আপনার যতই ষড়যন্ত্র করেন না কেন, আপনারা বাংলাদেশের মাটিতে কোনো দিনও আওয়ামী লীগের নাম নিয়ে আসতে পারবেন না।

তিনি আরও বলেন, আপনি (শেখ হাসিনা) মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ণ করে ভারতের সঙ্গে আঁতাত করেছেন। সীমান্তে যখন আমার ভাইদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, সেই কথাগুলো আপনি কখনোই আমাদেরকে সংসদে বলার সুযোগ দেননি। আপনি এখন দাপটের সঙ্গে হিন্দুস্তানে বসে আছেন। মোদি সরকার আপনার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নাই, কিন্তু আপনার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কথা বলে। বাংলাদেশকে কোনো কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। বাংলাদেশের মানুষ সজাগ। ২০১৩ সালে যে চুক্তি করেছেন, সেই চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত দিতে হবে। যদি স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রী আপনি হয়ে থাকেন, বন্দী চুক্তি যদি স্বাক্ষরে থাকে তাহলে শেখ হাসিনাকে দেশে হস্তান্তর করুন। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পাঁচশর অধিক মামলা হয়েছে। দিল্লিতে বসে মা-মেয়ে যুক্তি করে বাংলাদেশের ড. ইউনূসের সরকারকে আপনি ষড়যন্ত্র করবেন, বাংলাদেশের মানুষ সেটা কখনোই মেনে নেবে না। বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে আওয়ামী লীগকে ঘৃণা করে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে, ভারতের বিরুদ্ধেও মানুষ সজাগ হচ্ছে।

জয়নুল আবদিন বলেন, তারেক রহমানকে এত ভয় কেন জানেন! খালেদা জিয়াকে এত ভয় কেন জানেন! ১৯৮০ সালে যখন জিয়াউর রহমান ভারত সফরে যান তখন ইন্দিরা গান্ধী জিয়াউর রহমানকে রিকোয়েস্ট করেছিলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত নেন, তার সম্পত্তি ফেরত দেন। তখন আমার নেতা জিয়াউর রহমান স্পষ্ট করে বলে দিয়েছিল, সে (শেখ হাসিনা) দেশে আসুক, তার সকল সম্পত্তি ফেরত দেওয়া হবে। আপনি (শেখ হাসিনা) দেশে এসেছিলেন, এরপর জিয়াউর রহমান কেন খুন হয়েছেন সেটা জানার ইচ্ছা আমাদের জাগে। ষড়যন্ত্র আপনি করেছেন। ষড়যন্ত্রকারী হচ্ছেন আপনি। বাংলাদেশের সকল সাংবাদিক প্রতিষ্ঠান আপনি ধ্বংস করে দিয়েছেন। কিন্তু তারেক রহমান বাংলাদেশের দুঃখী মানুষের কথা বলেন। বাংলাদেশের ৯২ হাজার কোটি টাকা আপনি (শেখ হাসিনা) লুট করে নিয়েছেন। কানাডায় বাড়ি বানিয়েছেন, তখন মনে হয় নাই পালিয়ে যাবেন। এখন কেন জয়কে দিয়ে রাজনীতির কথা বলেন। এই সকল কথা চলবে না। বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে বিচারের আওতায় আনবে।

গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, আবু নাসের রহমতুল্লাহ, মোশারফ হোসেন প্রমুখ।