Dhaka রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপে নেপাল

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০২:৩৯:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩
  • ২০৬ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

স্পিন বোলিং পিচে অবশ্য খুব বেশি সংগ্রহ করতে পারেনি আরব আমিরাত। ললিত রাজবানশির বোলিং নৈপুণ্যে অল্পতেই গুটিয়ে যায় দলটি। রান তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে লড়াই করেছেন গুলসান জা। তার পঞ্চাশোর্ধ ইনিংসের পাশাপাশি ভিম শারকির ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে জয় নিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ নিশ্চিত করে নেপাল। প্রিমিয়ার কাপ ফাইনালে আরব আমিরাতকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে নেপাল।

মঙ্গলবার (২ মে) কীর্তিপুরের ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৩৩.১ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান সংগ্রহ করে আরব আমিরাত। জবাব দিতে নেমে ১১৭ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে নেপাল।

ব্যাটিংয়ে একদমই সুবিধে করতে পারেনি আরব আমিরাত। দলটির একজন বাদে কেউই পার করতে পারেনি ১৫ রানের বেশি। তাদের মধ্যে ওপেনিংয়ে নামা মোহাম্মদ ওয়াসিম ১১ ও আরয়ান লাকরা করেন ১৩ রান। মাঝে বাসিল হামিদ ও শেষদিকে জুনাইদ সিদ্দিকী করেন সমান ১০ রান। এদিন একাই লড়েন আসিফ খান। তবে ফিফটি স্পর্শ করা হয়নি তার।

চার রানের আক্ষেপ নিয়ে বিদায় নেন নেপালের এই ব্যাটার। ৫৪ বলে তিনি খেলেন ৭ চার ও এক ছক্কায় ৪৬ রানের ইনিংস। নেপালের হয়ে বল হাতে যাদু দেখান ললিত ৭ ওভার ১ বলে ১৪ রান দিয়ে তিনি তুলে নেন ৪টি উইকেট। জোড়া উইকেট পান সন্দীপ লামিচানে ও কারান কে সি। এক উইকেট করে নেন সম্পাল কামি ও গুলসান।

ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই কুশল বুরতেল (১) ও আসিফ শেখকে (৮) হারায় নেপাল। এরপর ব্যাট করতে নেমে দলের হাল ধরেন গুলশান। তাকে সঙ্গ দিয়ে ধৈর্যশীল ব্যাটিং করতে থাকেন বিম শারকি। গুলশান পঞ্চাশ স্পর্শ করেন ৭৫ বলে। শারকির সঙ্গে দারুণ জুটি গড়ে নিশ্চিত করেন দলের জয়ও। ৮৪ বলে ৩ চার ও ৬ ছক্কায় ৬৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। শারকি করেন ৭২ বলে অপরাজিত ৩৬ রান।

জয়ী হওয়ায় এশিয়া কাপের গ্রুপ ‘এ’ তে খেলবে হিমালয়ের দেশটি। সেখানে তাদের সঙ্গী ভারত, পাকিস্তান। ‘বি’ গ্রুপে আছে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। মহাদেশীয় টুর্নামেন্টটি হওয়ার কথা সেপ্টেম্বরে।

অবশ্য এসিসি প্রিমিয়ার কাপে শীর্ষ তিন দলের মধ্যে থাকায় নেপাল, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান এসিসি ইমার্জিং এশিয়া কাপেও খেলতে পারবে। সেখানে তারা এই অঞ্চল থেকে আইসিসির ৫টি পূর্ণ সদস্য দেশের ‘এ’ দলের মুখোমুখি হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

জোর করে চাপিয়ে দেয়া শিক্ষা সম্ভাবনা নষ্ট করে দেয় : হাসনাত আব্দুল্লাহ

প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপে নেপাল

প্রকাশের সময় : ০২:৩৯:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

স্পিন বোলিং পিচে অবশ্য খুব বেশি সংগ্রহ করতে পারেনি আরব আমিরাত। ললিত রাজবানশির বোলিং নৈপুণ্যে অল্পতেই গুটিয়ে যায় দলটি। রান তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে লড়াই করেছেন গুলসান জা। তার পঞ্চাশোর্ধ ইনিংসের পাশাপাশি ভিম শারকির ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে জয় নিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ নিশ্চিত করে নেপাল। প্রিমিয়ার কাপ ফাইনালে আরব আমিরাতকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে নেপাল।

মঙ্গলবার (২ মে) কীর্তিপুরের ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৩৩.১ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান সংগ্রহ করে আরব আমিরাত। জবাব দিতে নেমে ১১৭ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে নেপাল।

ব্যাটিংয়ে একদমই সুবিধে করতে পারেনি আরব আমিরাত। দলটির একজন বাদে কেউই পার করতে পারেনি ১৫ রানের বেশি। তাদের মধ্যে ওপেনিংয়ে নামা মোহাম্মদ ওয়াসিম ১১ ও আরয়ান লাকরা করেন ১৩ রান। মাঝে বাসিল হামিদ ও শেষদিকে জুনাইদ সিদ্দিকী করেন সমান ১০ রান। এদিন একাই লড়েন আসিফ খান। তবে ফিফটি স্পর্শ করা হয়নি তার।

চার রানের আক্ষেপ নিয়ে বিদায় নেন নেপালের এই ব্যাটার। ৫৪ বলে তিনি খেলেন ৭ চার ও এক ছক্কায় ৪৬ রানের ইনিংস। নেপালের হয়ে বল হাতে যাদু দেখান ললিত ৭ ওভার ১ বলে ১৪ রান দিয়ে তিনি তুলে নেন ৪টি উইকেট। জোড়া উইকেট পান সন্দীপ লামিচানে ও কারান কে সি। এক উইকেট করে নেন সম্পাল কামি ও গুলসান।

ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই কুশল বুরতেল (১) ও আসিফ শেখকে (৮) হারায় নেপাল। এরপর ব্যাট করতে নেমে দলের হাল ধরেন গুলশান। তাকে সঙ্গ দিয়ে ধৈর্যশীল ব্যাটিং করতে থাকেন বিম শারকি। গুলশান পঞ্চাশ স্পর্শ করেন ৭৫ বলে। শারকির সঙ্গে দারুণ জুটি গড়ে নিশ্চিত করেন দলের জয়ও। ৮৪ বলে ৩ চার ও ৬ ছক্কায় ৬৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। শারকি করেন ৭২ বলে অপরাজিত ৩৬ রান।

জয়ী হওয়ায় এশিয়া কাপের গ্রুপ ‘এ’ তে খেলবে হিমালয়ের দেশটি। সেখানে তাদের সঙ্গী ভারত, পাকিস্তান। ‘বি’ গ্রুপে আছে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। মহাদেশীয় টুর্নামেন্টটি হওয়ার কথা সেপ্টেম্বরে।

অবশ্য এসিসি প্রিমিয়ার কাপে শীর্ষ তিন দলের মধ্যে থাকায় নেপাল, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান এসিসি ইমার্জিং এশিয়া কাপেও খেলতে পারবে। সেখানে তারা এই অঞ্চল থেকে আইসিসির ৫টি পূর্ণ সদস্য দেশের ‘এ’ দলের মুখোমুখি হবে।