Dhaka মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রথম বাণিজ্যিক জাহাজ মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরে

সংগৃহীত ছবি

ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা একটি জাহাজ প্রথমবারের মতো এই চ্যানেল অতিক্রম করে মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) গভীর সমুদ্রবন্দর এলাকায় মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য নির্মিত জেটিতে প্রবেশ করেছে। এর আগে চ্যানেল দিয়ে নিরাপদে জাহাজ প্রবেশ করানোর সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এর মাধ্যমে চালু হলো কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় নির্মিতব্য দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দরের চ্যানেল।

২০২৬ সালে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর চালুর সময়সীমা নির্ধারিত আছে। তবে এর আগেই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণসামগ্রী আনা-নেওয়ার মধ্য দিয়ে চালু হয়েছে সমুদ্রবন্দরের চ্যানেলটি।

মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পে যুক্ত থাকা সংশ্লিষ্টরা জানান, এমভি ভেনাস ট্রায়াম্প নামের পানামা পতাকাবাহী বাণিজ্যিক জাহাজটি সকাল ১০টায় প্রথমবারের মতো গভীর সমুদ্রবন্দরের চ্যানেল অতিক্রম করে জেটিতে আনা হয়েছে। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসে।

জাহাজটি এসেছে ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য মালামাল নিয়ে। মালামালগুলো জাপানি প্রতিষ্ঠানের হলেও সেগুলো তৈরি হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার একটি কারখানায়। সেজন্য জাহাজটি এসেছে ইন্দোনেশিয়া থেকে।

আরও পড়ুন : মুহুরী নদীর উপর হচ্ছে ভূঞারহাট সেতু

বন্দর সূত্র জানায়, এ জাহাজে ৩১৩ প্যাকেজে ৭৩৬ টন স্টিল স্ট্রাকটার আনা হয়েছে উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য। এর মধ্যে রয়েছে বিম, কলাম, গার্ডার, টাওয়ার ইত্যাদি। জাহাজটির স্থানীয় এজেন্ট অ্যানসাইন্ট স্টিমশিপ কম্পানি লিমিটেড।

দেশে সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার ১২০০ মেগাওয়াট মাতারবাড়ি সুপার-ক্রিটিকেল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করছে। পরীক্ষামূলকভাবে উন্নত চ্যানেলের মাধ্যমে মাতারবাড়ি জেটিতে সরাসরি প্রথম মালবাহী মাদার ভেসেল নোঙর করা বাংলাদেশের জন্য একটি ‘বিশেষ মাইলফলক’।

গতকাল সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন বাস্তবানুগ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

সরকার দেশে প্রায় শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করেছে, আর এ মাসের মধ্যে গ্রিড এলাকায় শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্য রয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি : বাণিজ্য উপদেষ্টা

প্রথম বাণিজ্যিক জাহাজ মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরে

প্রকাশের সময় : ০৫:৫৪:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০

ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা একটি জাহাজ প্রথমবারের মতো এই চ্যানেল অতিক্রম করে মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) গভীর সমুদ্রবন্দর এলাকায় মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য নির্মিত জেটিতে প্রবেশ করেছে। এর আগে চ্যানেল দিয়ে নিরাপদে জাহাজ প্রবেশ করানোর সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এর মাধ্যমে চালু হলো কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় নির্মিতব্য দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দরের চ্যানেল।

২০২৬ সালে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর চালুর সময়সীমা নির্ধারিত আছে। তবে এর আগেই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণসামগ্রী আনা-নেওয়ার মধ্য দিয়ে চালু হয়েছে সমুদ্রবন্দরের চ্যানেলটি।

মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পে যুক্ত থাকা সংশ্লিষ্টরা জানান, এমভি ভেনাস ট্রায়াম্প নামের পানামা পতাকাবাহী বাণিজ্যিক জাহাজটি সকাল ১০টায় প্রথমবারের মতো গভীর সমুদ্রবন্দরের চ্যানেল অতিক্রম করে জেটিতে আনা হয়েছে। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসে।

জাহাজটি এসেছে ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য মালামাল নিয়ে। মালামালগুলো জাপানি প্রতিষ্ঠানের হলেও সেগুলো তৈরি হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার একটি কারখানায়। সেজন্য জাহাজটি এসেছে ইন্দোনেশিয়া থেকে।

আরও পড়ুন : মুহুরী নদীর উপর হচ্ছে ভূঞারহাট সেতু

বন্দর সূত্র জানায়, এ জাহাজে ৩১৩ প্যাকেজে ৭৩৬ টন স্টিল স্ট্রাকটার আনা হয়েছে উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য। এর মধ্যে রয়েছে বিম, কলাম, গার্ডার, টাওয়ার ইত্যাদি। জাহাজটির স্থানীয় এজেন্ট অ্যানসাইন্ট স্টিমশিপ কম্পানি লিমিটেড।

দেশে সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার ১২০০ মেগাওয়াট মাতারবাড়ি সুপার-ক্রিটিকেল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করছে। পরীক্ষামূলকভাবে উন্নত চ্যানেলের মাধ্যমে মাতারবাড়ি জেটিতে সরাসরি প্রথম মালবাহী মাদার ভেসেল নোঙর করা বাংলাদেশের জন্য একটি ‘বিশেষ মাইলফলক’।

গতকাল সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন বাস্তবানুগ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

সরকার দেশে প্রায় শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করেছে, আর এ মাসের মধ্যে গ্রিড এলাকায় শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্য রয়েছে।