Dhaka শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রথম চালানে ভারতে গেল ১৮ টন ইলিশ

বেনাপোল উপজেলা প্রতিনিধি : 

বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রথম চালানে ভারতে ১৮ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে বন্দর কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র নিয়ে মাছ বোঝাই ছয়টি ট্রাক ভারতে প্রবেশ করে। প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানিমূল্য ১০ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় ১ হাজার ১৮০ টাকা।

ইলিশের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো বাংলাদেশের জেএস এন্টারপ্রাইজ, সাজ্জাত এন্টারপ্রাইজ ও স্বর্ণালি এন্টারপ্রাইজ। ভারতের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো আরজে ইন্টারন্যাশনাল ও কেবিসি ইন্টারন্যাশনাল। বন্দর থেকে ইলিশ ছাড়করণে ছিল বাংলাদেশ লজিস্টিকসহ কয়েকটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট।

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ইলিশের প্রথম চালানের রপ্তানিকারক সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ এবং বন্দর থেকে ইলিশ ছাড়করণে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ছিল বাংলাদেশ লজিস্টিক। কলকাতার ভারতীয় মাছ আমদানিকারকদের সংগঠন ফিশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (এফআইএ) পক্ষ থেকে গত ৯ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদনের বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ জানানো হয়। বিশেষ বিবেচনায় সরকার প্রথমে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়। পরে তা কমিয়ে ২ হাজার ৪২০ টন নির্ধারণ করা হয়।

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আজ বেনাপোল স্থল বন্দরের মাধ্যমে ১৮ টন ইলিশ ভারতের রপ্তানি করার জন্য আমরা অনুমতি দিয়েছি।

অনুমোদন পাওয়া ৪৮টি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন করে ২ হাজার ৪০০ টন, আর একটি প্রতিষ্ঠান ২০ টন ইলিশ রপ্তানি করবে।

ইলিশ পরিবহনকারী ট্রাকচালকেরা জানান, চাঁদপুর ও বরিশাল থেকে ইলিশ নিয়ে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে তাঁরা যাচ্ছেন।

ভারতীয় নাগরিক রমেশ বিশ্বাস বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আসবে, সেই ইলিশ দিয়ে পূজায় অতিথি আপ্যায়ন করতে অপেক্ষায় থাকি। এবার ভাবছিলাম ইলিশ ঢুকবে না। তবে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার ইলিশ দিয়েছে। পূজার আগে বাংলাদেশি ইলিশ ঢোকায় আমরা খুশি। সরকারকে ধন্যবাদ।’

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম বলেন, ‘ইলিশ রপ্তানির মাধ্যমে বাণিজ্য ও বন্ধুত্ব সম্পর্ক বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আমরা ব্যবসায়ী মহল মনে করছি।’

বেনাপোল স্থলবন্দরের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার মাহাবুর রহমান বলেন, কাস্টমস, বন্দর ও মৎস্য কার্যালয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভারতে প্রথম চারটি চালানে ১৮ মেট্রিকটন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে। প্রতি কেজি ইলিশে রপ্তানির মূল্য ১০ ডলার। শর্ত দেওয়া হয়েছে, আগামী ১৩ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে হবে রপ্তানি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

প্রথম চালানে ভারতে গেল ১৮ টন ইলিশ

প্রকাশের সময় : ০৮:২১:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বেনাপোল উপজেলা প্রতিনিধি : 

বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রথম চালানে ভারতে ১৮ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে বন্দর কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র নিয়ে মাছ বোঝাই ছয়টি ট্রাক ভারতে প্রবেশ করে। প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানিমূল্য ১০ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় ১ হাজার ১৮০ টাকা।

ইলিশের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো বাংলাদেশের জেএস এন্টারপ্রাইজ, সাজ্জাত এন্টারপ্রাইজ ও স্বর্ণালি এন্টারপ্রাইজ। ভারতের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো আরজে ইন্টারন্যাশনাল ও কেবিসি ইন্টারন্যাশনাল। বন্দর থেকে ইলিশ ছাড়করণে ছিল বাংলাদেশ লজিস্টিকসহ কয়েকটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট।

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ইলিশের প্রথম চালানের রপ্তানিকারক সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ এবং বন্দর থেকে ইলিশ ছাড়করণে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ছিল বাংলাদেশ লজিস্টিক। কলকাতার ভারতীয় মাছ আমদানিকারকদের সংগঠন ফিশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (এফআইএ) পক্ষ থেকে গত ৯ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদনের বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ জানানো হয়। বিশেষ বিবেচনায় সরকার প্রথমে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়। পরে তা কমিয়ে ২ হাজার ৪২০ টন নির্ধারণ করা হয়।

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আজ বেনাপোল স্থল বন্দরের মাধ্যমে ১৮ টন ইলিশ ভারতের রপ্তানি করার জন্য আমরা অনুমতি দিয়েছি।

অনুমোদন পাওয়া ৪৮টি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন করে ২ হাজার ৪০০ টন, আর একটি প্রতিষ্ঠান ২০ টন ইলিশ রপ্তানি করবে।

ইলিশ পরিবহনকারী ট্রাকচালকেরা জানান, চাঁদপুর ও বরিশাল থেকে ইলিশ নিয়ে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে তাঁরা যাচ্ছেন।

ভারতীয় নাগরিক রমেশ বিশ্বাস বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আসবে, সেই ইলিশ দিয়ে পূজায় অতিথি আপ্যায়ন করতে অপেক্ষায় থাকি। এবার ভাবছিলাম ইলিশ ঢুকবে না। তবে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার ইলিশ দিয়েছে। পূজার আগে বাংলাদেশি ইলিশ ঢোকায় আমরা খুশি। সরকারকে ধন্যবাদ।’

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম বলেন, ‘ইলিশ রপ্তানির মাধ্যমে বাণিজ্য ও বন্ধুত্ব সম্পর্ক বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আমরা ব্যবসায়ী মহল মনে করছি।’

বেনাপোল স্থলবন্দরের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার মাহাবুর রহমান বলেন, কাস্টমস, বন্দর ও মৎস্য কার্যালয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভারতে প্রথম চারটি চালানে ১৮ মেট্রিকটন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে। প্রতি কেজি ইলিশে রপ্তানির মূল্য ১০ ডলার। শর্ত দেওয়া হয়েছে, আগামী ১৩ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে হবে রপ্তানি।