মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শনগুলো পর্যবেক্ষণ করে নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে তিনি মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রত্নতত্ত্ব সম্পদের ওপর এখন নজর দেওয়ার সময় এসেছে। সারা দেশের প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শনগুলো সরজমিনে দেখে কি ধরনের সংরক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে তা পর্যবেক্ষণ করে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে।
আসিফ নজরুল বলেন, প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের আওতাধীন যে সকল প্রত্নতত্ত্ব আর স্থাপনাগুলো রয়েছে সেগুলো সরেজমিনে দেখতে চাচ্ছি। সপ্তাহের অন্যান্য দিন সময় পাই না। শুক্রবার আমি ঠিক করেছি, সারা দেশে ছড়ানো প্রত্নতাত্ত্বিক যে নিদর্শনগুলো রয়েছে সেগুলো ঘুরে দেখবো। যেমন মুন্সীগঞ্জে ইদ্রাকপুর কেল্লা রয়েছে নারায়ণগঞ্জেও রয়েছে এ ধরনের দুটি কেল্লা। এসব কেল্লাগুলোকে বিশ্ব ঐতিহ্যে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই কেল্লাগুলো ও লালবাগ কেল্লাসহ যেগুলো আছে সেগুলোকে আমরা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছি। ভাবছি এখানে সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা কী কী আছে। প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদের ওপর নজর দেওয়ার সময় এসেছে। সারা দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো সরজমিনে দেখে কী ধরনের সংরক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে।
পরে তিনি মুন্সীগঞ্জ সদরের রাজা হরিশ চন্দ্রের দিঘি, মীরকাদিম সেতু, বাবা আদম শাহী মসজিদ, টঙ্গীবাড়ী উপজেলার সোনারং জোড়া মঠ এবং শ্রীনগরে বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর বাড়ি পরিদর্শন করেন।
এ সময় প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজ খান মিতা উপস্থিত ছিলেন।