Dhaka রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রতারকচক্রের বিরুদ্ধে জাতীয় প্রেসক্লাবে  মানববন্ধন 

জাতীয় প্রেসক্লাবে  মানববন্ধন 

জাতীয় প্রেসক্লাবের  সামনে প্রতারকচক্রের বিরুদ্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবিতে ভুক্তভোগীদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১ ঘটিকায় মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা বলেন, ছয়জনের সঙ্ঘবদ্ধ প্রতারকচক্রটি মৎস্য ব্যবসার কথা বলে কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ এর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, যার ফলে আজ তারা সর্বশান্ত।
আবসার মিয়া, সুমন ফকির, মোঃ নাহিদ/লাহিন ফকির, সাইদুল বেপারী, মোঃ আমীন ফরহাদ ও মোঃ আজিজ উদ্দিন সঙ্ঘবদ্ধ প্রতারক চক্রটি সাধারণ মানুষকে মিথ্যা কথা বলে যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাদের ৩৫০০ টি পুকুর লিজ নেওয়া আছে। এই পুকুর গুলো থেকে মাছ এনে সোয়ারীঘাট মৎস্য ব্যবসার সমিতির মাধ্যমে মাছ বিক্রি করে একটা লাভাংশ দেওয়া হবে।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা জানায়,এই প্রতারকচক্র বছর খানিকের মধ্যে ৫ থেকে ৬ হাজার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে । প্রতারকচক্রটি এত চতুর যে কোন প্রমান রাখেনি। ভুক্তভোগীরা যখন বুঝতে পারে যে তাদের কোন পুকুর বা মৎসজীবী সমিতি বলে কিছু নেই, তখন তারা দিশেহারা হয়ে টাকা ফেরত চাইতে গেলে তারা নানা রকম তালবাহানা করে।
এক পর্যায় তারা পাওনা টাকার জন্য চাপ দিলে প্রতারক চক্রটি কয়েকবার টাকা দেবার আশ্বাস দিয়েও তাদেও পাওনা টাকা দেয়না। এ বিষয় বিভিন্ন থানায় সাধারন ডায়েরী করা থাকলে ও আইনি কোন সহয়তা পায়নি বলে জানান ভুক্তভোগীরা। এদিকে কয়েকজন ভুক্তভোগীরা প্রতারক চক্রের  গ্রামের বাড়ী মাদারীপুর ও নাটোরে গেলে তারা প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির অফিসে অভিযোগ করতে গেলে জানা যায়, যে তারা কেউ প্রকৃত মৎস্য ব্যবসায়ী নয়।  জাহিদ ও নাজির জানান, তাদের নিকট থেকে উক্ত প্রতারকচক্রটি মৎস্য ব্যবসার লোভ দেখিয়ে তাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে তাদের নিকট থেকে নগদ টাকাসহ স্থাবর সম্পত্তি প্রতারক চক্র তাদের নামে লিখে নিয়েছে।
পরবর্তীতে তাদের ব্যবসার টাকা না দিয়ে প্রতারক চক্রটি এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এছাড়া ভুক্তভোগী মোহাম্মদ হাসান, মোহাম্মদ মিলন,মো.মিরাজুল, মোঃ তাহের, মোঃ আবুল কালাম, এরা যাত্রাবাড়ী থানায় ২১ জুন ও ২৮ জুন দুইটি জিডি করেন। যাহার জিডি নম্বর ১২৪৪ নং ১৭২৮। এছাড়া কদমতলী থানায় ১৫/০৫/২০২০ ইং তারিখে সাধারন ডায়েরী করেছেন মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন ও শওকত বেপারী যাহার জিডি নম্বর ৪৭৪, ১৫০৫।
এছাড়া কেরানীগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেছেন মোঃ হাসান জাহিদ, তাহের,নাজির, এছাড়া  মাদারীপুর এস.পি অফিস ও মাদারীপুর সদর থানায় অভিযোগ করেছেন মোহাম্মদ মিলন। কিন্তু অদৃশ্য কারণে পুলিশ প্রশাসন নীরব রয়েছে । ভুক্তভোগীরা বলেন, তাদের টাকা নিয়ে  প্রতারকচক্রটির অন্যতম হোতা আফসার কেরানীগঞ্জে ১টি বিলাসবহুল পাঁচ তলা বাড়ীসহ তিনটি বাড়ী রয়েছে।  সুমনের একটি বাড়ীসহ মাদারীপুরের তার নামে বেনামে আরো অনেক সম্পত্তি রয়েছে।
ভুক্তভোগী রাহাত খান, মোঃ মনা, মোঃ হাসান, মোঃ মেরাজুল মাতুব্বর,মোয়াজ্জেম হোসেন,শওকত সহ আরো অনেকেই তার প্রতারণার শিকার হয়ে বর্তমানে পথে পথে ঘুরছেন। ভুক্তভোগীদের সরলতার সুযোগ নিয়ে উক্ত প্রতারকচক্র বিভিন্নভাবে ১০/১২ জনের নিকট থেকে ১৫/২০ লক্ষ করে টাকা নিয়েছে।
জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

কেয়ামত পর্যন্ত জামায়াত ক্ষমতায় আসতে পারবে না : গয়েশ্বর

প্রতারকচক্রের বিরুদ্ধে জাতীয় প্রেসক্লাবে  মানববন্ধন 

প্রকাশের সময় : ০৫:৫২:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ নভেম্বর ২০২০
জাতীয় প্রেসক্লাবের  সামনে প্রতারকচক্রের বিরুদ্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবিতে ভুক্তভোগীদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১ ঘটিকায় মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা বলেন, ছয়জনের সঙ্ঘবদ্ধ প্রতারকচক্রটি মৎস্য ব্যবসার কথা বলে কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ এর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, যার ফলে আজ তারা সর্বশান্ত।
আবসার মিয়া, সুমন ফকির, মোঃ নাহিদ/লাহিন ফকির, সাইদুল বেপারী, মোঃ আমীন ফরহাদ ও মোঃ আজিজ উদ্দিন সঙ্ঘবদ্ধ প্রতারক চক্রটি সাধারণ মানুষকে মিথ্যা কথা বলে যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাদের ৩৫০০ টি পুকুর লিজ নেওয়া আছে। এই পুকুর গুলো থেকে মাছ এনে সোয়ারীঘাট মৎস্য ব্যবসার সমিতির মাধ্যমে মাছ বিক্রি করে একটা লাভাংশ দেওয়া হবে।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা জানায়,এই প্রতারকচক্র বছর খানিকের মধ্যে ৫ থেকে ৬ হাজার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে । প্রতারকচক্রটি এত চতুর যে কোন প্রমান রাখেনি। ভুক্তভোগীরা যখন বুঝতে পারে যে তাদের কোন পুকুর বা মৎসজীবী সমিতি বলে কিছু নেই, তখন তারা দিশেহারা হয়ে টাকা ফেরত চাইতে গেলে তারা নানা রকম তালবাহানা করে।
এক পর্যায় তারা পাওনা টাকার জন্য চাপ দিলে প্রতারক চক্রটি কয়েকবার টাকা দেবার আশ্বাস দিয়েও তাদেও পাওনা টাকা দেয়না। এ বিষয় বিভিন্ন থানায় সাধারন ডায়েরী করা থাকলে ও আইনি কোন সহয়তা পায়নি বলে জানান ভুক্তভোগীরা। এদিকে কয়েকজন ভুক্তভোগীরা প্রতারক চক্রের  গ্রামের বাড়ী মাদারীপুর ও নাটোরে গেলে তারা প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির অফিসে অভিযোগ করতে গেলে জানা যায়, যে তারা কেউ প্রকৃত মৎস্য ব্যবসায়ী নয়।  জাহিদ ও নাজির জানান, তাদের নিকট থেকে উক্ত প্রতারকচক্রটি মৎস্য ব্যবসার লোভ দেখিয়ে তাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে তাদের নিকট থেকে নগদ টাকাসহ স্থাবর সম্পত্তি প্রতারক চক্র তাদের নামে লিখে নিয়েছে।
আরও পড়ুন : বাবার আসনে এমপি হওয়ার খায়েশ ছিল ইরফানের
পরবর্তীতে তাদের ব্যবসার টাকা না দিয়ে প্রতারক চক্রটি এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এছাড়া ভুক্তভোগী মোহাম্মদ হাসান, মোহাম্মদ মিলন,মো.মিরাজুল, মোঃ তাহের, মোঃ আবুল কালাম, এরা যাত্রাবাড়ী থানায় ২১ জুন ও ২৮ জুন দুইটি জিডি করেন। যাহার জিডি নম্বর ১২৪৪ নং ১৭২৮। এছাড়া কদমতলী থানায় ১৫/০৫/২০২০ ইং তারিখে সাধারন ডায়েরী করেছেন মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন ও শওকত বেপারী যাহার জিডি নম্বর ৪৭৪, ১৫০৫।
এছাড়া কেরানীগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেছেন মোঃ হাসান জাহিদ, তাহের,নাজির, এছাড়া  মাদারীপুর এস.পি অফিস ও মাদারীপুর সদর থানায় অভিযোগ করেছেন মোহাম্মদ মিলন। কিন্তু অদৃশ্য কারণে পুলিশ প্রশাসন নীরব রয়েছে । ভুক্তভোগীরা বলেন, তাদের টাকা নিয়ে  প্রতারকচক্রটির অন্যতম হোতা আফসার কেরানীগঞ্জে ১টি বিলাসবহুল পাঁচ তলা বাড়ীসহ তিনটি বাড়ী রয়েছে।  সুমনের একটি বাড়ীসহ মাদারীপুরের তার নামে বেনামে আরো অনেক সম্পত্তি রয়েছে।
ভুক্তভোগী রাহাত খান, মোঃ মনা, মোঃ হাসান, মোঃ মেরাজুল মাতুব্বর,মোয়াজ্জেম হোসেন,শওকত সহ আরো অনেকেই তার প্রতারণার শিকার হয়ে বর্তমানে পথে পথে ঘুরছেন। ভুক্তভোগীদের সরলতার সুযোগ নিয়ে উক্ত প্রতারকচক্র বিভিন্নভাবে ১০/১২ জনের নিকট থেকে ১৫/২০ লক্ষ করে টাকা নিয়েছে।