Dhaka শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পেঁয়াজ রফতানিতে ভারতের শুল্কায়ন, প্রভাব পড়বে না বাংলাদেশে : কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পেঁয়াজ রফতানিতে শুল্ক আরোপ করেছে ভারত। তবে বাংলাদেশের পেঁয়াজের দামে এর প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

রোববার (২০ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের (সিডিবি) মিলনায়তনে দেশে প্রথমবারের মতো বিটি তুলার ২টি জাতের অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

ভারতে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেঁয়াজ রফতানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে দেশটির সরকার। বাংলাদেশ ভারতীয় পেঁয়াজের অন্যতম আমদানিকারক হওয়ায় দেশের বাজারেও এর প্রভাব দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ১৩ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছি, দেশে এসেছে মাত্র তিন লাখ টন। এর অর্থ হলো দেশেও পেঁয়াজ আছে। মাঠ পর্যায়েও খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, দেশের কৃষকদের কাছে এখনো বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজের মজুত আছে। কাজেই, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০% শুল্ক আরোপ করলেও দেশে পেঁয়াজের দামে তেমন প্রভাব পড়বে না। শুল্ক আরোপের ঘোষণায় এখন দাম কিছুটা বাড়লেও কয়েক দিন পর কমে আসবে। তুরস্ক, মিশর ও চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানির চেষ্টা করা হবে।

এ সময় পেঁয়াজ রফতানি একেবারে নিষিদ্ধ না করার জন্য ভারত সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, সম্প্রতি ভারত সফরে গিয়ে সেদেশের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তুলে ধরেছি। তবে ভারতের নিজেদের দেশে সংকট দেখা দেয়ায় তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে বছরে ৮৫ লাখ বেল তুলার প্রয়োজন হয়, আর উৎপাদন হয় ২ লাখ বেল। চাহিদার কমপক্ষে ২০% বা ১৫ লাখ বেল তুলা দেশে উৎপাদন করার সুযোগ রয়েছে। সে লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি নিয়ে কাজ করতে হবে। হাইব্রিড ও বিটি তুলার চাষ করতে পারলে বছরে দেশে ১৫ লাখ বেল তুলা উৎপাদন সম্ভব হবে।

মন্ত্রী বলেন, দেশে তুলার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। আগামীতে আরও বাড়বে। বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মীসহ সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে, যাতে দেশেই চাহিদার ২০% তুলা উৎপাদন করা যায়।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়ার সভাপতিত্বে বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, সিডিবির অতিরিক্ত পরিচালক শেফালী রানী মজুমদার বক্তব্য রাখেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আফতাবনগর-বনশ্রী সংযোগে নির্মাণ হবে দুই সেতু : ডিএনসিসি প্রশাসক

পেঁয়াজ রফতানিতে ভারতের শুল্কায়ন, প্রভাব পড়বে না বাংলাদেশে : কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১০:৪৭:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পেঁয়াজ রফতানিতে শুল্ক আরোপ করেছে ভারত। তবে বাংলাদেশের পেঁয়াজের দামে এর প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

রোববার (২০ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের (সিডিবি) মিলনায়তনে দেশে প্রথমবারের মতো বিটি তুলার ২টি জাতের অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

ভারতে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেঁয়াজ রফতানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে দেশটির সরকার। বাংলাদেশ ভারতীয় পেঁয়াজের অন্যতম আমদানিকারক হওয়ায় দেশের বাজারেও এর প্রভাব দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ১৩ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছি, দেশে এসেছে মাত্র তিন লাখ টন। এর অর্থ হলো দেশেও পেঁয়াজ আছে। মাঠ পর্যায়েও খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, দেশের কৃষকদের কাছে এখনো বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজের মজুত আছে। কাজেই, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০% শুল্ক আরোপ করলেও দেশে পেঁয়াজের দামে তেমন প্রভাব পড়বে না। শুল্ক আরোপের ঘোষণায় এখন দাম কিছুটা বাড়লেও কয়েক দিন পর কমে আসবে। তুরস্ক, মিশর ও চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানির চেষ্টা করা হবে।

এ সময় পেঁয়াজ রফতানি একেবারে নিষিদ্ধ না করার জন্য ভারত সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, সম্প্রতি ভারত সফরে গিয়ে সেদেশের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তুলে ধরেছি। তবে ভারতের নিজেদের দেশে সংকট দেখা দেয়ায় তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে বছরে ৮৫ লাখ বেল তুলার প্রয়োজন হয়, আর উৎপাদন হয় ২ লাখ বেল। চাহিদার কমপক্ষে ২০% বা ১৫ লাখ বেল তুলা দেশে উৎপাদন করার সুযোগ রয়েছে। সে লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি নিয়ে কাজ করতে হবে। হাইব্রিড ও বিটি তুলার চাষ করতে পারলে বছরে দেশে ১৫ লাখ বেল তুলা উৎপাদন সম্ভব হবে।

মন্ত্রী বলেন, দেশে তুলার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। আগামীতে আরও বাড়বে। বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মীসহ সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে, যাতে দেশেই চাহিদার ২০% তুলা উৎপাদন করা যায়।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়ার সভাপতিত্বে বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, সিডিবির অতিরিক্ত পরিচালক শেফালী রানী মজুমদার বক্তব্য রাখেন।