Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পূর্ব নোটিশ ছাড়াই তাসরিফ সিরিজের সব লঞ্চের রুট পারমিট স্থগিত!

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দ্রুত গতিতে চলচলের অভিযোগে দক্ষিণাঞ্চলগামী তাসরিফ সিরিজের সব লঞ্চের রুট পারমিট স্থগিত করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। তবে পূর্ব নোটিশ ছাড়াই তাসরিফ লঞ্চের রুট পারমিট স্থগিতের অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) লঞ্চটির রুট পারমিট স্থগিত করা হয়। সংস্থাটির উপ-পরিচালক (নৌনিট্রা) মো. আবু ছালেহ কাইয়ুম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে বিআইডব্লিউটিএ এর এমন পদক্ষেপে ফেয়ারী শিপিং লাইন্স লিমিটেডের মালিকানাধীন তাসরিফ জাহাজ কর্তৃপক্ষ বিস্ময় প্রকাশ করেছে।

তাদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ নৌ-রুটে চলাচলকারী যাত্রী সেবায় নিয়োজিত লঞ্চ কর্তৃপক্ষ কোনও আদেশ অমান্য করলে সে ক্ষেত্রে তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার বিধান নৌ-নিরাপত্তা আইনে বলা আছে। অথবা কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে পারে। কিন্ত বিআইডব্লিউটিএ সেটি না করে দ্রুত গতিতে লঞ্চ চলাচলকারী মর্মে অভিযোগ এনে তাসরিফ সিরিজের সকল লঞ্চের টাইম টেবিল বাতিল করেছে।

এছাড়া বরিশালগামী এম ভি সুন্দরবন ১৬ লঞ্চকে তাসরিফ লঞ্চ ধাক্কা দিয়েছে বলে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সুন্দরবন লঞ্চ কর্তৃপক্ষই অস্বীকার করেছে বলেও দাবি করে তাসরিফ লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।

তাসরিফ লঞ্চ কর্তৃপক্ষের দাবি, কয়েক মাস আগে অন্য একটি লঞ্চ বেপরোয়া গতিতে ভোলার তজুমদ্দিন এলাকায় তাসরিফ-২ কে ধাক্কা দিয়ে লঞ্চটির বড় ক্ষতি করে। সে সময় ২০ থেকে ৩০ জন যাত্রী গুরুতর আহত হন। বিআইডব্লিউটিএ এর নিকট এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনও প্রতিকার পাওয়া যায়নি।

বরিশালের এক লঞ্চ মালিকের মনোপলি ব্যবসা করার সুযোগ দিতেই তাসরিফ লঞ্চগুলো অন্যায় আবদারের বলি হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

সংস্থাটির উপ-পরিচালক (নৌ-নিট্রা) মো. আবু ছালেহ কাইয়ুমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উপরের নির্দেশে এই চিঠি জারি করা হয়। আমি এর বাইরে আর কিছুই বলতে পারবো না।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা থেকে কালীগঞ্জ, ভোলা, দৌলতখান, হাকিমুদ্দিন, মঙ্গলসিকদার, মনপুরা, চরফ্যাশন ও হাতিয়া নৌ-পথে চলাচল করছে তাসরিফ সিরিজের লঞ্চগুলো।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

পূর্ব নোটিশ ছাড়াই তাসরিফ সিরিজের সব লঞ্চের রুট পারমিট স্থগিত!

প্রকাশের সময় : ১১:৪০:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দ্রুত গতিতে চলচলের অভিযোগে দক্ষিণাঞ্চলগামী তাসরিফ সিরিজের সব লঞ্চের রুট পারমিট স্থগিত করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। তবে পূর্ব নোটিশ ছাড়াই তাসরিফ লঞ্চের রুট পারমিট স্থগিতের অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) লঞ্চটির রুট পারমিট স্থগিত করা হয়। সংস্থাটির উপ-পরিচালক (নৌনিট্রা) মো. আবু ছালেহ কাইয়ুম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে বিআইডব্লিউটিএ এর এমন পদক্ষেপে ফেয়ারী শিপিং লাইন্স লিমিটেডের মালিকানাধীন তাসরিফ জাহাজ কর্তৃপক্ষ বিস্ময় প্রকাশ করেছে।

তাদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ নৌ-রুটে চলাচলকারী যাত্রী সেবায় নিয়োজিত লঞ্চ কর্তৃপক্ষ কোনও আদেশ অমান্য করলে সে ক্ষেত্রে তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার বিধান নৌ-নিরাপত্তা আইনে বলা আছে। অথবা কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে পারে। কিন্ত বিআইডব্লিউটিএ সেটি না করে দ্রুত গতিতে লঞ্চ চলাচলকারী মর্মে অভিযোগ এনে তাসরিফ সিরিজের সকল লঞ্চের টাইম টেবিল বাতিল করেছে।

এছাড়া বরিশালগামী এম ভি সুন্দরবন ১৬ লঞ্চকে তাসরিফ লঞ্চ ধাক্কা দিয়েছে বলে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সুন্দরবন লঞ্চ কর্তৃপক্ষই অস্বীকার করেছে বলেও দাবি করে তাসরিফ লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।

তাসরিফ লঞ্চ কর্তৃপক্ষের দাবি, কয়েক মাস আগে অন্য একটি লঞ্চ বেপরোয়া গতিতে ভোলার তজুমদ্দিন এলাকায় তাসরিফ-২ কে ধাক্কা দিয়ে লঞ্চটির বড় ক্ষতি করে। সে সময় ২০ থেকে ৩০ জন যাত্রী গুরুতর আহত হন। বিআইডব্লিউটিএ এর নিকট এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনও প্রতিকার পাওয়া যায়নি।

বরিশালের এক লঞ্চ মালিকের মনোপলি ব্যবসা করার সুযোগ দিতেই তাসরিফ লঞ্চগুলো অন্যায় আবদারের বলি হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

সংস্থাটির উপ-পরিচালক (নৌ-নিট্রা) মো. আবু ছালেহ কাইয়ুমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উপরের নির্দেশে এই চিঠি জারি করা হয়। আমি এর বাইরে আর কিছুই বলতে পারবো না।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা থেকে কালীগঞ্জ, ভোলা, দৌলতখান, হাকিমুদ্দিন, মঙ্গলসিকদার, মনপুরা, চরফ্যাশন ও হাতিয়া নৌ-পথে চলাচল করছে তাসরিফ সিরিজের লঞ্চগুলো।