Dhaka শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুলিশের মনোবল ভাঙলে ফের লাঠি নিয়ে বাড়িঘর পাহারা দিতে হবে : ডিএমপি কমিশনার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৫:২৪:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
  • ১৮০ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক :

আন্দোলন ও ককটেল মেরে অরাজকতা করে পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা না করতে অনুরোধ জানিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ. মো. সাজ্জাত আলী বলেন, অনেক কষ্টের ফলে পুলিশের মনোবল ফিরে এসেছে। আবার পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না। তাহলে, আপনাদের ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ের মতো বাঁশের লাঠি হাতে রাত জেগে বাড়িঘর পাহারা দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর ৮০ বছরের বৃদ্ধ লোককেও বাঁশের লাঠি নিয়ে মহল্লার মধ্যে পাহারা দিতে হয়েছে। আমার অফিসারদের মনোবাল যদি ভেঙে যায়, তাহলে আপনাদেরকে আবার এই বাঁশের লাঠি নিয়ে রাস্তায় নেমে বাড়িঘরের পাহারা দিতে হবে। সুতরাং, যারা এই ধরনের দুর্বৃত্তায়নের কাজ করছেন, ককটেল মেরে আমার লোকের মনোবল ভাঙ্গার জন্য চেষ্টা করছেন, তাদের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা এইরূপ কাজটি করবেন না। আসুন আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করি নিরাপদ থাকার জন্য, ভালো থাকার জন্য।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অভ্যুত্থানের পরে অনেক ভয়ঙ্কর অবস্থায় ছিল। আমাদের অনেক চেষ্টায়, অনেক অনেক কষ্টের ফলে আপনাদের সহযোগিতায় আজকে পুলিশ অফিসাররা মনোবল ফিরে পেয়েছে। আর এই মনোবলকে ভাঙ্গার চেষ্টা প্লিজ করবেন না। এটাই আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ।

শেখ. মো. সাজ্জাত আলী বলেন, পুলিশ যখন কোন একটি অরাজকতা ঠেকানো বা প্রতিহতের চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সাথে কি ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা এই ধরনের ব্যবহার আমার অফিসারদের সাথে করেন তাদেরকে অনুরোধ করব, আমার অফিসারদের সাথে আপনারা এহেন আচরণ করবেন না। আমরা আপনাদের সাথে রাস্তায় কোন সংঘাতে জড়িত হওয়ার জন্য নয়। আমরা আপনাদেরকে সেবা দিতে চাই। আপনারা যে কাজটি করতে চাচ্ছেন সেটি করলে সমাজে ঢাকা শহরে দেশে একটা অরাজকতাপূর্ণ পরিবেশের সৃষ্টি হবে। গণঅভ্যুত্থান হয়ে গেছে। সরকারের পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি এরূপ কার্যকলাপ করা হয় তাহলে সমাজে অস্থিরতা দেখা দিবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আমার অফিসাররা নিয়োজিত ছিল। কিন্তু এরূপ ব্যবহার আমাদেরকে বড়ই মর্মাহত করেছে। আমরা এরূপ ব্যবহার কোন শিক্ষিত, বুঝবান মানুষের থেকে আশা করি না।

পুলিশ অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে তাদের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি অনুরোধ করব- আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।

সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে সাজ্জাত আলী বলেন, পুলিশ যখন একটি অরাজকতা ঠেকানোর প্রতিহতের চেষ্টা করছিল তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে কি ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে? অত্যন্ত দুঃখজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে আপনারা খারাপ ব্যবহার করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যে কাজটি করতে চাচ্ছিলেন সেটি করলে সমাজে, ঢাকা শহরে, দেশে একটা অরাজকতাপূর্ণ পরিবেশের সৃষ্টি হবে।

তিনি বলেন, একটি গণঅভ্যুত্থান হয়ে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তা সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করবে। এজন্যই আমাদের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাদের প্রতি এমন আচরণ আমরা কোনো শিক্ষিত, সচেতন মানুষের কাছ থেকে আশা করি না।

পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় কমিশনার ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে আমার সদস্যদের মনোবল ভেঙে যায় এবং এই পরিস্থিতির ক্ষতি সবাইকেই ভোগ করতে হয়।

তিনি বলেন, যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছেন, তাদের কাছে অনুরোধ- এই কাজটি করবেন না।

গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, এটা পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়; এটা দেশের আইন। আইন আমি বানাই না- পার্লামেন্ট বানায়। আপনারা আইনটা দেখেন। পুলিশের কাজে আইনেই যা বলা আছে, আমি শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। নতুন সাইবার সাপোর্ট সেন্টারে থাকবে আধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ইমেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকরা সরাসরি অভিযোগ জানানোর সুযোগ পাবেন। আমাদের লক্ষ্য- প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করা।

শেখ সাজ্জাত আলী বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বেলিং- এসব অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে গভীরভাবে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়াচ্ছে

নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানে বিশেষ উদ্যোগ থাকবে। হয়রানির শিকার হলে যাতে দ্রুত সহায়তা পাওয়া যায়- এটাই আমাদের অন্যতম অঙ্গীকার।

সাইবার নিরাপত্তাকে শুধু পুলিশের দায়িত্ব না উল্লেখ করে কমিশনার বলেন, পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়তে সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী মারা গেছেন

পুলিশের মনোবল ভাঙলে ফের লাঠি নিয়ে বাড়িঘর পাহারা দিতে হবে : ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশের সময় : ০৫:২৪:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :

আন্দোলন ও ককটেল মেরে অরাজকতা করে পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা না করতে অনুরোধ জানিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ. মো. সাজ্জাত আলী বলেন, অনেক কষ্টের ফলে পুলিশের মনোবল ফিরে এসেছে। আবার পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না। তাহলে, আপনাদের ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ের মতো বাঁশের লাঠি হাতে রাত জেগে বাড়িঘর পাহারা দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর ৮০ বছরের বৃদ্ধ লোককেও বাঁশের লাঠি নিয়ে মহল্লার মধ্যে পাহারা দিতে হয়েছে। আমার অফিসারদের মনোবাল যদি ভেঙে যায়, তাহলে আপনাদেরকে আবার এই বাঁশের লাঠি নিয়ে রাস্তায় নেমে বাড়িঘরের পাহারা দিতে হবে। সুতরাং, যারা এই ধরনের দুর্বৃত্তায়নের কাজ করছেন, ককটেল মেরে আমার লোকের মনোবল ভাঙ্গার জন্য চেষ্টা করছেন, তাদের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা এইরূপ কাজটি করবেন না। আসুন আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করি নিরাপদ থাকার জন্য, ভালো থাকার জন্য।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অভ্যুত্থানের পরে অনেক ভয়ঙ্কর অবস্থায় ছিল। আমাদের অনেক চেষ্টায়, অনেক অনেক কষ্টের ফলে আপনাদের সহযোগিতায় আজকে পুলিশ অফিসাররা মনোবল ফিরে পেয়েছে। আর এই মনোবলকে ভাঙ্গার চেষ্টা প্লিজ করবেন না। এটাই আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ।

শেখ. মো. সাজ্জাত আলী বলেন, পুলিশ যখন কোন একটি অরাজকতা ঠেকানো বা প্রতিহতের চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সাথে কি ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা এই ধরনের ব্যবহার আমার অফিসারদের সাথে করেন তাদেরকে অনুরোধ করব, আমার অফিসারদের সাথে আপনারা এহেন আচরণ করবেন না। আমরা আপনাদের সাথে রাস্তায় কোন সংঘাতে জড়িত হওয়ার জন্য নয়। আমরা আপনাদেরকে সেবা দিতে চাই। আপনারা যে কাজটি করতে চাচ্ছেন সেটি করলে সমাজে ঢাকা শহরে দেশে একটা অরাজকতাপূর্ণ পরিবেশের সৃষ্টি হবে। গণঅভ্যুত্থান হয়ে গেছে। সরকারের পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি এরূপ কার্যকলাপ করা হয় তাহলে সমাজে অস্থিরতা দেখা দিবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আমার অফিসাররা নিয়োজিত ছিল। কিন্তু এরূপ ব্যবহার আমাদেরকে বড়ই মর্মাহত করেছে। আমরা এরূপ ব্যবহার কোন শিক্ষিত, বুঝবান মানুষের থেকে আশা করি না।

পুলিশ অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে তাদের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি অনুরোধ করব- আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।

সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে সাজ্জাত আলী বলেন, পুলিশ যখন একটি অরাজকতা ঠেকানোর প্রতিহতের চেষ্টা করছিল তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে কি ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে? অত্যন্ত দুঃখজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে আপনারা খারাপ ব্যবহার করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যে কাজটি করতে চাচ্ছিলেন সেটি করলে সমাজে, ঢাকা শহরে, দেশে একটা অরাজকতাপূর্ণ পরিবেশের সৃষ্টি হবে।

তিনি বলেন, একটি গণঅভ্যুত্থান হয়ে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তা সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করবে। এজন্যই আমাদের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাদের প্রতি এমন আচরণ আমরা কোনো শিক্ষিত, সচেতন মানুষের কাছ থেকে আশা করি না।

পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় কমিশনার ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে আমার সদস্যদের মনোবল ভেঙে যায় এবং এই পরিস্থিতির ক্ষতি সবাইকেই ভোগ করতে হয়।

তিনি বলেন, যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছেন, তাদের কাছে অনুরোধ- এই কাজটি করবেন না।

গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, এটা পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়; এটা দেশের আইন। আইন আমি বানাই না- পার্লামেন্ট বানায়। আপনারা আইনটা দেখেন। পুলিশের কাজে আইনেই যা বলা আছে, আমি শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। নতুন সাইবার সাপোর্ট সেন্টারে থাকবে আধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ইমেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকরা সরাসরি অভিযোগ জানানোর সুযোগ পাবেন। আমাদের লক্ষ্য- প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করা।

শেখ সাজ্জাত আলী বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বেলিং- এসব অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে গভীরভাবে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়াচ্ছে

নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানে বিশেষ উদ্যোগ থাকবে। হয়রানির শিকার হলে যাতে দ্রুত সহায়তা পাওয়া যায়- এটাই আমাদের অন্যতম অঙ্গীকার।

সাইবার নিরাপত্তাকে শুধু পুলিশের দায়িত্ব না উল্লেখ করে কমিশনার বলেন, পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়তে সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।