Dhaka সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার আমাদের করতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

এত বছরেও পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত না হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, জাতির পক্ষ থেকে আমরা অনুভব করি যে, এ হত্যাকাণ্ডের বিচার আমাদের করতেই হবে।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু পুনঃতদন্ত দাবি করে শহীদ সেনা পরিবারের সদস্যরা সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি-ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা আলাপকালে এসব কথা বলেন। একইসঙ্গে, ২৫ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ সেনা দিবস হিসেবে ঘোষণা করার দাবিও জানান শহীদ পরিবারের সদস্যরা।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলাপকালে শহীদ পরিবারের সদস্যরা তাদের দুঃখ-দুর্দশা ও পতিত ‘স্বৈরাচার’ শেখ হাসিনা সরকার কীভাবে তাদের ওপর মানসিক নিপীড়ন ও হয়রানি করেছে, সেসবের বর্ণনা দেন।

তারা জানান, বিচারের দাবি জানাতে গেলে তাদের ওপর অমানুষিক নিপীড়নও করা হয়েছে। সত্য বলা থেকে বিরত রাখতে তাদের ওপর নানা অত্যাচার চালানো হয়েছে।

শহীদ পরিবারের সদস্যরা বলেন, ঢাকা সেনানিবাসের মইনুল রোডে শহীদ সেনা পরিবারকে পুনর্বাসনের যে প্রচারণা ‘ফ্যাসিস্ট’ হাসিনার সরকার চালিয়েছে, তা সর্বৈব মিথ্যা। কোনো শহীদ পরিবারকে সেখানে কোনো বাসা বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।

শহীদ পরিবারে সন্তানদের বিনা বেতনে লেখাপড়াসহ শহীদ পরিবারকে দেওয়া আরো অনেক প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হয়নি বলেও জানান তারা।

কথা কথা শুনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এত বছর ধরে এ হত্যাকাণ্ডের তথ্য গোপন রাখতে পারা, এটা একটা অবিশ্বাস্য বিষয়। আজ আপনাদের কাছ থেকে অনেক বিষয়ে জানতে পারলাম।

প্রফেসর ইউনূস আরো বলেন, আমাদের যতটুকু সামর্থ আছে, তা দিয়ে এ-সংক্রান্ত সব তথ্য প্রকাশ করা হবে। যত দ্রুত সম্ভব এ ঘটনার সকল তথ্য একত্রিত করতে হবে। সারা দেশের মানুষ এ হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী। জাতির পক্ষ থেকে আমরা অনুভব করি যে, এ হত্যাকাণ্ডের বিচার আমাদের করতেই হবে।

এ সময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, শিল্প ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদসহ আরও অনেকে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আড়াই বছরেও শেষ হয়নি সেতু নির্মাণ কাজ, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার আমাদের করতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশের সময় : ০৯:৩১:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

এত বছরেও পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত না হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, জাতির পক্ষ থেকে আমরা অনুভব করি যে, এ হত্যাকাণ্ডের বিচার আমাদের করতেই হবে।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু পুনঃতদন্ত দাবি করে শহীদ সেনা পরিবারের সদস্যরা সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি-ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা আলাপকালে এসব কথা বলেন। একইসঙ্গে, ২৫ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ সেনা দিবস হিসেবে ঘোষণা করার দাবিও জানান শহীদ পরিবারের সদস্যরা।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলাপকালে শহীদ পরিবারের সদস্যরা তাদের দুঃখ-দুর্দশা ও পতিত ‘স্বৈরাচার’ শেখ হাসিনা সরকার কীভাবে তাদের ওপর মানসিক নিপীড়ন ও হয়রানি করেছে, সেসবের বর্ণনা দেন।

তারা জানান, বিচারের দাবি জানাতে গেলে তাদের ওপর অমানুষিক নিপীড়নও করা হয়েছে। সত্য বলা থেকে বিরত রাখতে তাদের ওপর নানা অত্যাচার চালানো হয়েছে।

শহীদ পরিবারের সদস্যরা বলেন, ঢাকা সেনানিবাসের মইনুল রোডে শহীদ সেনা পরিবারকে পুনর্বাসনের যে প্রচারণা ‘ফ্যাসিস্ট’ হাসিনার সরকার চালিয়েছে, তা সর্বৈব মিথ্যা। কোনো শহীদ পরিবারকে সেখানে কোনো বাসা বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।

শহীদ পরিবারে সন্তানদের বিনা বেতনে লেখাপড়াসহ শহীদ পরিবারকে দেওয়া আরো অনেক প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হয়নি বলেও জানান তারা।

কথা কথা শুনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এত বছর ধরে এ হত্যাকাণ্ডের তথ্য গোপন রাখতে পারা, এটা একটা অবিশ্বাস্য বিষয়। আজ আপনাদের কাছ থেকে অনেক বিষয়ে জানতে পারলাম।

প্রফেসর ইউনূস আরো বলেন, আমাদের যতটুকু সামর্থ আছে, তা দিয়ে এ-সংক্রান্ত সব তথ্য প্রকাশ করা হবে। যত দ্রুত সম্ভব এ ঘটনার সকল তথ্য একত্রিত করতে হবে। সারা দেশের মানুষ এ হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী। জাতির পক্ষ থেকে আমরা অনুভব করি যে, এ হত্যাকাণ্ডের বিচার আমাদের করতেই হবে।

এ সময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, শিল্প ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদসহ আরও অনেকে।