ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ঈগল সমর্থকদের হামলায় নৌকা প্রতীকের ১২ সমর্থক আহত হয়েছেন।
রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- ছাত্রলীগ কর্মী রাহাত ব্যাপারী (১৮), সুমন শেখ (২৬), রাকিব গাজী (২৫), মুগিজ শেখ (২০), রাব্বি খান (১৮), পারভেজ খান (২৩), আ.লীগ নেতা হেলাল খান (৪০), রহিম ফকির (৫২), বাদল তালুকদার (৬০), সেলিম বয়াতী (৫০), আলম ডাক্তার (৫১), রুহুল তালুকদার (৫৪)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম বালিপাড়া পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণায় বিলম্ব হচ্ছিল। এ সময় বালিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য ও নৌকা প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির ইউনিয়নের সদস্য সচিব মোয়াজ্জেম হোসেন হাওলাদার লোকজন নিয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে বিষয়টি জানতে চান। এ খবর শুনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী এজেন্ট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কবির হোসেন বয়াতী ও তার লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে ঈগল প্রতীকের সমর্থকরা নৌকা প্রতীকের সমর্থকের ওপর হামলা করলে ১২ জন নৌকার সমর্থক আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নৌকা প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির ইউনিয়ন সদস্য সচিব মোয়াজ্জেম হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘ভোটের ফলাফল জানাতে দেরি হলে আমারা প্রতিবাদ করি। কিন্তু কবির চেয়ারম্যান ও তার লোকজন এ সময় কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের ওপর হামলা করেন। হামলায় আমাদের ১২ নেতাকর্মী আহত হন।’
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান কবির হোসেন বয়াতী বলেন, ভোটের রেজাল্ট দিতে বিলম্ব হওয়ায় মোয়াজ্জেম ও তার লোকজন ভোটকেন্দ্রের কেসি গেট ভাঙচুর করেন। বিষয়টি শুনে আমি কিছু লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের থামানোর চেষ্টা করি। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে; তবে কারো ওপর কোনো হামলা করা হয়নি।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, ভোটকেন্দ্রের ফলাফল দিতে দেরি হওয়ায় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।