পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি :
পিরোজপুরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রিয়াজ হাওলাদার নামে এক খামারির ১৩ গরু লুট করেছে ডাকাতদল।
রোববার (১৭ মার্চ) ভোরে পিরোজপুর সদর উপজেলার শিকদার মল্লিক ইউনিয়নের জুজখোলা গ্রামে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগী রিয়াজ হাওলাদার সদর উপজেলার শিকদার মল্লিক ইউনিয়নের জুজখোলা গ্রামের মৃত ইউনুস হাওলাদারের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে এক আত্মীয়ের জমিতে একটি গরুর খামার শুরু করেছিলেন রিয়াজ হাওলাদার। সর্বশেষ খামারে ফ্রিজিয়ান ও জার্সি প্রজাতির ৭টি গাভি ও ৬টি ষাঁড় ছিল। তিনি এক শ্রমিকের সঙ্গে রাতে ওই খামারে থাকতেন। রোববার ভোররাত ৩টার দিকে গরুর শব্দ শুনে খামারের পাশে থাকা ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। এ সময় ৩ থেকে ৪ জন লোক ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে তাদের হাত ও চোখ বেঁধে ফেলেন। এরপর দুটি পিকআপে গরুগুলো তুলে নিয়ে সেখান থেকে সটকে পড়েন ডাকাতদল।
ভুক্তভোগী খামারি রিয়াজ হাওলাদার জানান, আজ ভোর রাতে তার বাড়ির গোয়াল ঘরের গরু লুট করে নিতে ১৪-১৫ জনের একটি ডাকাত দল ঢুকে। এ সময় শব্দ পেয়ে ঘর থেকে বের হলে ডাকাত দল তাকেসহ পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে হাত ও চোখ বেঁধে ফেলে। পরে গরুর গোয়ালে থাকা ১৩টি গরু লুট করে নেয়। ডাকাত দল তাদের সঙ্গে আনা ট্রাকে করে গরুগুলো তুলে নিয়ে যায়। প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী তারা গরুগুলো তুলতে সময় নিয়েছে।
তবে সকলের মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকা থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে তাঁরা কাউকে চিনতে পারেননি। পরবর্তীতে হাতের বাধন খুলে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে রিয়াজ। এ ঘটনায় তার ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান জানান, সিকদার মল্লিক ইউনিয়নে গরু লুটকারীদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। খবর পেয়ে সকালেই পিরোজপুর সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং পাশের থানাগুলোতে যোগাযোগ করা হয়েছে।