Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পিএসজিকে হতাশায় ডুবিয়ে ৬ষ্ঠ শিরোপা বায়ার্নের

বিজয়ের উল্লাস

টান টান উত্তেজনার মধ্যে শেষ হলো ফুটবলে ইউরোপের সেরা শিরোপা জয়ের লড়াই। প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) শিরোপা স্বপ্ন ভেঙে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেরা হয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। এটি তাদের ৬ষ্ঠ শিরোপা জয়। উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনালে বায়ার্নের জয় ১-০ গোলের ব্যবধানে।

এদিন বায়ার্নের শিরোপা জয়ের অন্যতম নায়ক গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার। নেইমার-এমবাপ্পেদের একাধিক আক্রমণ একক কৃতিত্বে ঠেকিয়েছেন এই জার্মান গোলরক্ষক।

 

ম্যাচের শুরুতে এদিনে দাপট ছিল বায়ার্নের। টমাস মুলার-রবার্ট লেভানডোভস্কিরা বেশ চাপও তৈরি করে পিএসজি ডিফেন্সে। বিশেষ করে দ্রুতগতিতে পাস নির্ভর ফুটবল খেলে পিএসজি ডিফেন্সকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে তারা। পিএসজি নিজেদের প্রথম সুযোগ পেয়েছিল ফ্রি কিক থেকে। যদিও সেটি কাজে লাগাতে পারেনি তারা।

এরপর ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরুতে থাকে নেইমাররা। এরপর দারুণ দুটি সুযোগ হাতছাড়া করেন এমবাপ্পে। ম্যাচের ১৯ মিনিটে দারুণভাবে বল নিয়ে বায়ার্ন ডিফেন্সে ঢুকে পড়েছিলেন নেইমার। কিন্তু তার শট দুর্দান্ত দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন নয়্যার। ২২ মিনিটের মাথায় লেভানডোভস্কির শট পোস্টে লেগে ফিরে আসলে নিরাশ হতে হয় বায়ার্নকে।

এরপর সম্মিলিত আক্রমণ থেকে ডি মারিয়ার শট বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। ২৫ মিনিটে চোটে পড়ে মাঠ ছেড়ে যান জেরম বোয়েটেং। তার বদলে মাঠে নামেন নিকোলাস সুলে। ৩২ মিনিটে বায়ার্নের দারুণ আক্রমণ রুখে দেন পিএসজি গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। প্রথমার্ধের শেষ দিকে দারুণভাবে জমে উঠে ম্যাচ। প্রথমে সুযোগ হাতছাড়া করে পিএসজি।

এক মিনিট পর পেনাল্টির জোরালো আবেদন করে বায়ার্ন। যদিও সেই পেনাল্টি লাভ করেনি তারা।

আরও পড়ুন : ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ: সূচি ঘোষণা

বিরতির পর আক্রমণ প্রতিআক্রমণে জমে উঠে খেলা। এক পর্যায়ে দু দলের খেলোয়াড়দের মাঝে উত্তেজনাও তৈরি হয়। তবে মূল লড়াইয়ে দু দলই কিছুটা খাপছাড়া ফুটবল খেলছিল এ সময়। অবশ্য ৫৯ মিনিটে ম্যাচের প্রথম হাসিটা হাসে বায়ার্ন।

সংঘবদ্ধ এক আক্রমণ থেকে জশোয়া কিমিচের ক্রসে হেড দিয়ে গোল করেন কিংসলে কোম্যান। এগিয়ে গিয়ে আরো আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে বায়ার্ন। এ সময় বেশ চাপ তৈরি করে পিএসজি ডিফেন্সে। তবে সুযোগ এসেছিল পিএসজির সামনেও। তবে নয়্যারের বাধায় আবারো হতাশ হয় প্যারিস দলটিকে।

এ সময় বেশ কয়েকবার আক্রমণে গিয়ে বায়ার্নকে চাপে ফেলার চেষ্টা করে পিএসজি আক্রমণভাগ, যদিও দেখছিল না সফলতার মুখ।

 

শেষ দিকে গিয়ে দু দলই শরীরি ফুটবলের প্রদর্শন করেছে ব্যাপকভাবে। এ সময় সুযোগও তৈরি হয়েছে কম। তবে অতিরিক্ত সময়ে অল্পের জন্য সমতা ফেরানো সুযোগ হাতছাড়া করে পিএসজি। ফলে ম্যাচে আর কোন গোল না হলে এক গোলের ব্যবধানে শিরোপা জিতে মাঠ ছাড়ে বাভারিয়ান জায়ান্টরা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চাঁদাবাজি নয়, ভাঙারি দোকান দখল দ্বন্দ্বেই মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড: ডিএমপি

পিএসজিকে হতাশায় ডুবিয়ে ৬ষ্ঠ শিরোপা বায়ার্নের

প্রকাশের সময় : ০৭:২৪:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ অগাস্ট ২০২০

টান টান উত্তেজনার মধ্যে শেষ হলো ফুটবলে ইউরোপের সেরা শিরোপা জয়ের লড়াই। প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) শিরোপা স্বপ্ন ভেঙে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেরা হয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। এটি তাদের ৬ষ্ঠ শিরোপা জয়। উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনালে বায়ার্নের জয় ১-০ গোলের ব্যবধানে।

এদিন বায়ার্নের শিরোপা জয়ের অন্যতম নায়ক গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার। নেইমার-এমবাপ্পেদের একাধিক আক্রমণ একক কৃতিত্বে ঠেকিয়েছেন এই জার্মান গোলরক্ষক।

 

ম্যাচের শুরুতে এদিনে দাপট ছিল বায়ার্নের। টমাস মুলার-রবার্ট লেভানডোভস্কিরা বেশ চাপও তৈরি করে পিএসজি ডিফেন্সে। বিশেষ করে দ্রুতগতিতে পাস নির্ভর ফুটবল খেলে পিএসজি ডিফেন্সকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে তারা। পিএসজি নিজেদের প্রথম সুযোগ পেয়েছিল ফ্রি কিক থেকে। যদিও সেটি কাজে লাগাতে পারেনি তারা।

এরপর ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরুতে থাকে নেইমাররা। এরপর দারুণ দুটি সুযোগ হাতছাড়া করেন এমবাপ্পে। ম্যাচের ১৯ মিনিটে দারুণভাবে বল নিয়ে বায়ার্ন ডিফেন্সে ঢুকে পড়েছিলেন নেইমার। কিন্তু তার শট দুর্দান্ত দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন নয়্যার। ২২ মিনিটের মাথায় লেভানডোভস্কির শট পোস্টে লেগে ফিরে আসলে নিরাশ হতে হয় বায়ার্নকে।

এরপর সম্মিলিত আক্রমণ থেকে ডি মারিয়ার শট বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। ২৫ মিনিটে চোটে পড়ে মাঠ ছেড়ে যান জেরম বোয়েটেং। তার বদলে মাঠে নামেন নিকোলাস সুলে। ৩২ মিনিটে বায়ার্নের দারুণ আক্রমণ রুখে দেন পিএসজি গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। প্রথমার্ধের শেষ দিকে দারুণভাবে জমে উঠে ম্যাচ। প্রথমে সুযোগ হাতছাড়া করে পিএসজি।

এক মিনিট পর পেনাল্টির জোরালো আবেদন করে বায়ার্ন। যদিও সেই পেনাল্টি লাভ করেনি তারা।

আরও পড়ুন : ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ: সূচি ঘোষণা

বিরতির পর আক্রমণ প্রতিআক্রমণে জমে উঠে খেলা। এক পর্যায়ে দু দলের খেলোয়াড়দের মাঝে উত্তেজনাও তৈরি হয়। তবে মূল লড়াইয়ে দু দলই কিছুটা খাপছাড়া ফুটবল খেলছিল এ সময়। অবশ্য ৫৯ মিনিটে ম্যাচের প্রথম হাসিটা হাসে বায়ার্ন।

সংঘবদ্ধ এক আক্রমণ থেকে জশোয়া কিমিচের ক্রসে হেড দিয়ে গোল করেন কিংসলে কোম্যান। এগিয়ে গিয়ে আরো আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে বায়ার্ন। এ সময় বেশ চাপ তৈরি করে পিএসজি ডিফেন্সে। তবে সুযোগ এসেছিল পিএসজির সামনেও। তবে নয়্যারের বাধায় আবারো হতাশ হয় প্যারিস দলটিকে।

এ সময় বেশ কয়েকবার আক্রমণে গিয়ে বায়ার্নকে চাপে ফেলার চেষ্টা করে পিএসজি আক্রমণভাগ, যদিও দেখছিল না সফলতার মুখ।

 

শেষ দিকে গিয়ে দু দলই শরীরি ফুটবলের প্রদর্শন করেছে ব্যাপকভাবে। এ সময় সুযোগও তৈরি হয়েছে কম। তবে অতিরিক্ত সময়ে অল্পের জন্য সমতা ফেরানো সুযোগ হাতছাড়া করে পিএসজি। ফলে ম্যাচে আর কোন গোল না হলে এক গোলের ব্যবধানে শিরোপা জিতে মাঠ ছাড়ে বাভারিয়ান জায়ান্টরা।