Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিলো মিয়ানমারের সেনা ও বিজিপির আরো ১২ সদস্য

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি : 

মিয়ানমারের চলমান গৃহযুদ্ধের জের ধরে দেশটির সেনা ও বিজিপির আরও ১২ সদস্য বাংলাদেশ পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। এ নিয়ে গত ৩ দিনে মোট ২৮ জন পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে নতুন করে ওই ১২ জন বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন।

বিজিবির সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সকালে নতুন করে ১২ জন পালিয়ে আসে। এর মধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার রেজুপাড়া সীমান্ত দিয়ে দুইজন এবং জমছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ জন প্রবেশ করে। পালিয়ে আসারা বিজিপি ও সেনাবাহিনীর সদস্য। তবে কোন বাহিনীর কতজন সদস্য তা বলা যাচ্ছে না। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

নতুন করে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ২৮ জনের মধ্যে সোমবার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে দুই সেনা সদস্য পালিয়ে আসেন বলে জানান শরীফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, রোববার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বিজিপির ১৪ সদস্য পালিয়ে আসে। নতুন করে আসা ২৮ জনকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে আগে থেকে ১৮০ জন রয়েছেন। এ নিয়ে মিয়ানমারের মোট ২০৮ জন সেখানে রয়েছেন।

আগের ১৮০ জনের মধ্যে ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। ১১ মার্চ আশ্রয় নেন আরও ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য।

এর আগে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন ৩৩০ জন; যাদের ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয় বলে জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়ক চার লেন দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন 

পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিলো মিয়ানমারের সেনা ও বিজিপির আরো ১২ সদস্য

প্রকাশের সময় : ০৪:৪৯:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি : 

মিয়ানমারের চলমান গৃহযুদ্ধের জের ধরে দেশটির সেনা ও বিজিপির আরও ১২ সদস্য বাংলাদেশ পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। এ নিয়ে গত ৩ দিনে মোট ২৮ জন পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে নতুন করে ওই ১২ জন বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন।

বিজিবির সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সকালে নতুন করে ১২ জন পালিয়ে আসে। এর মধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার রেজুপাড়া সীমান্ত দিয়ে দুইজন এবং জমছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ জন প্রবেশ করে। পালিয়ে আসারা বিজিপি ও সেনাবাহিনীর সদস্য। তবে কোন বাহিনীর কতজন সদস্য তা বলা যাচ্ছে না। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

নতুন করে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ২৮ জনের মধ্যে সোমবার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে দুই সেনা সদস্য পালিয়ে আসেন বলে জানান শরীফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, রোববার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বিজিপির ১৪ সদস্য পালিয়ে আসে। নতুন করে আসা ২৮ জনকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে আগে থেকে ১৮০ জন রয়েছেন। এ নিয়ে মিয়ানমারের মোট ২০৮ জন সেখানে রয়েছেন।

আগের ১৮০ জনের মধ্যে ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। ১১ মার্চ আশ্রয় নেন আরও ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য।

এর আগে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন ৩৩০ জন; যাদের ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয় বলে জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা।