Dhaka শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাপুয়া নিউগিনিতে দুই গোত্রের সংঘর্ষে নিহত ৬৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রশান্ত মহাসাগরের দেশ পাপুয়া নিউগিনিতে দুই গোত্রের সংঘর্ষে অন্তত ৬৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের (এবিসি) বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

রাজধানী পোর্ট মোরেসবি থেকে প্রায় ছয়শ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ওয়াবাগ শহরের কাছে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ গুলো উদ্ধার করতে শুরু করেছে।

ওই পার্বত্য অঞ্চলটিতে দীর্ঘদিন ধরে উপজাতিদের মধ্যে সহিংস লড়াই চলছে, কিন্তু এই হত্যাকাণ্ড সাম্প্রতিক বছর গুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ। অঞ্চলটিতে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের সহজলভ্যতা সংঘর্ষকে আরও মারাত্মক করে তুলেছে।

রয়্যাল পাপুয়া নিউ গিনি কনস্ট্যাবুলারির ভারপ্রাপ্ত সুপার জর্জ কাকাস বলেছেন, এটি এনগা এবং সম্ভবত সমস্ত পার্বত্য অঞ্চলে আমার দেখা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় হত্যাকাণ্ড। আমরা সবাই বিধ্বস্ত, আমরা সবাই মানসিকভাবে চাপে আছি।

পুলিশ ঘটনাস্থলের কিছু ভিডিও সংগ্রহ করেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি ট্রাকে লাশ বোঝাই করা হচ্ছে।

অঞ্চলটির উপজাতি গুলোর মধ্যে জমি এবং সম্পদের বণ্টন নিয়ে প্রায়শই সংঘর্ষ হয়। এমনি এক সংঘর্ষের জেরে গত জুলাইয়ে এনগাতে তিন মাসের লকডাউন দেওয়া হয়। যে সময়টাতে নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশকে কারফিউ জারি করতে হয়। আগস্টে তিনটি লাশের ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে পরলে এই সংঘর্ষ আন্তর্জাতিক শিরনাম হয়ে পড়ে।

পাপুয়া নিউগিনির সহকারী পুলিশ কমিশনার স্যামসন কুয়া বলেন, ‘আজ ভোরে বিবদমান পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়ে থাকতে পারে। আমার মনে হয় ঝোপের মধ্যে এখনো অনেক মরদেহ পড়ে আছে।’

পুলিশের আরেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জর্জ কাকাস বলেন, ‘এনগা প্রদেশে আমরা যে গণহত্যা দেখেছি তা এখন পর্যন্ত এই প্রদেশের সবচেয়ে বড় গণহত্যা। সম্ভব পুরো পার্বত্য পাপুয়া নিউগিনিতেই এই হত্যাকাণ্ড একটি বড় ঘটনা। এ ঘটনায় আমরা এক প্রকার বিধ্বস্ত এবং মানসিক চাপে আছি। সেই সাথে সেখানকার পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ।’

অঞ্চলটির গভর্নর পিটার ইপাটাস বলেছেন, আঞ্চলিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে আমরা জানতাম এই লড়াইটি হতে চলেছে, ১৭টি উপজাতি এই সংঘর্ষে জড়িয়েছে, এই হামলার লক্ষণ আগেই দেখা গিয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলোর দায়িত্ব ছিল গত সপ্তাহে যথাযত ব্যবস্থা নিয়ে সংঘর্ষ প্রতিরোধ করা এবং শান্তি বজায় রাখা।

জননিরাপত্তার বিষয়টি পাপুয়া নিউ গিনির জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশটিতে গত মাসেও বড় ধরনের দাঙ্গা ও লুটপাটে অন্তত ১৫ জন নিহত হওয়ার পর সরকারকে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে হয়েছিল।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার করতে করতে এখন কুসংস্কারের পথে এগোচ্ছে : গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

পাপুয়া নিউগিনিতে দুই গোত্রের সংঘর্ষে নিহত ৬৪

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৯:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রশান্ত মহাসাগরের দেশ পাপুয়া নিউগিনিতে দুই গোত্রের সংঘর্ষে অন্তত ৬৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের (এবিসি) বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

রাজধানী পোর্ট মোরেসবি থেকে প্রায় ছয়শ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ওয়াবাগ শহরের কাছে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ গুলো উদ্ধার করতে শুরু করেছে।

ওই পার্বত্য অঞ্চলটিতে দীর্ঘদিন ধরে উপজাতিদের মধ্যে সহিংস লড়াই চলছে, কিন্তু এই হত্যাকাণ্ড সাম্প্রতিক বছর গুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ। অঞ্চলটিতে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের সহজলভ্যতা সংঘর্ষকে আরও মারাত্মক করে তুলেছে।

রয়্যাল পাপুয়া নিউ গিনি কনস্ট্যাবুলারির ভারপ্রাপ্ত সুপার জর্জ কাকাস বলেছেন, এটি এনগা এবং সম্ভবত সমস্ত পার্বত্য অঞ্চলে আমার দেখা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় হত্যাকাণ্ড। আমরা সবাই বিধ্বস্ত, আমরা সবাই মানসিকভাবে চাপে আছি।

পুলিশ ঘটনাস্থলের কিছু ভিডিও সংগ্রহ করেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি ট্রাকে লাশ বোঝাই করা হচ্ছে।

অঞ্চলটির উপজাতি গুলোর মধ্যে জমি এবং সম্পদের বণ্টন নিয়ে প্রায়শই সংঘর্ষ হয়। এমনি এক সংঘর্ষের জেরে গত জুলাইয়ে এনগাতে তিন মাসের লকডাউন দেওয়া হয়। যে সময়টাতে নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশকে কারফিউ জারি করতে হয়। আগস্টে তিনটি লাশের ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে পরলে এই সংঘর্ষ আন্তর্জাতিক শিরনাম হয়ে পড়ে।

পাপুয়া নিউগিনির সহকারী পুলিশ কমিশনার স্যামসন কুয়া বলেন, ‘আজ ভোরে বিবদমান পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়ে থাকতে পারে। আমার মনে হয় ঝোপের মধ্যে এখনো অনেক মরদেহ পড়ে আছে।’

পুলিশের আরেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জর্জ কাকাস বলেন, ‘এনগা প্রদেশে আমরা যে গণহত্যা দেখেছি তা এখন পর্যন্ত এই প্রদেশের সবচেয়ে বড় গণহত্যা। সম্ভব পুরো পার্বত্য পাপুয়া নিউগিনিতেই এই হত্যাকাণ্ড একটি বড় ঘটনা। এ ঘটনায় আমরা এক প্রকার বিধ্বস্ত এবং মানসিক চাপে আছি। সেই সাথে সেখানকার পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ।’

অঞ্চলটির গভর্নর পিটার ইপাটাস বলেছেন, আঞ্চলিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে আমরা জানতাম এই লড়াইটি হতে চলেছে, ১৭টি উপজাতি এই সংঘর্ষে জড়িয়েছে, এই হামলার লক্ষণ আগেই দেখা গিয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলোর দায়িত্ব ছিল গত সপ্তাহে যথাযত ব্যবস্থা নিয়ে সংঘর্ষ প্রতিরোধ করা এবং শান্তি বজায় রাখা।

জননিরাপত্তার বিষয়টি পাপুয়া নিউ গিনির জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশটিতে গত মাসেও বড় ধরনের দাঙ্গা ও লুটপাটে অন্তত ১৫ জন নিহত হওয়ার পর সরকারকে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে হয়েছিল।