Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাপিয়া দম্পতির অস্ত্র মামলায় ২০ বছর করে কারাদণ্ড

ফাইল ছবি

যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনের অস্ত্র আইনের মামলায় ২০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাদেরকে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯(ক) ধারায় ২০ বছর ও (চ) ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে একই সঙ্গে সাজা চলবে। যে কারণে আসামিদের ২০ বছর সাজা খাটতে হবে।

সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে এই প্রথম কোনো মামলার রায় দিলেন আদালত।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় আসামি পাপিয়া ও সুমনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তাঁদেরকে আদালতের গারদের রাখা হয়। পরে দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে তাঁদের এজলাসে তোলা হয়। এরপর বিচারক দুপুর ২টা ২২ মিনিটে রায় পড়া শুরু করেন। রায় পড়া শেষে দুপুর ২টা ২৬ মিনিটে রায় ঘোষণা করেন।

এদিকে মাত্র ৯ কার্যদিবসে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার বিচার কাজ শেষ হয়। গত ২৭ সেপ্টেম্বর আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে আদালত ১২ অক্টোবর রায়ের দিন ধার্য করেন। এ মামলায় গত ২৯ জুন আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের উপপরিদর্শক আরিফুজ্জামান তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

পরে গত ২৫ আগস্ট অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। গত ৩১ আগস্ট মামলার জব্দ তালিকার সাক্ষী র‌্যাবের উপপরিদর্শক সাইফুল আলম প্রথম আদালতে সাক্ষ্য দেন। পরে ধারাবাহিক সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর এ মামলার সাক্ষ্য শেষ হয়। এদিন আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাবের উপপরিদর্শক আরিফুজ্জামান সাক্ষ্য দেন।

আরও পড়ুন : আ’লীগে যোগ দিয়ে অপরাধ জগতের ‘ডন’ বনে যায় দেলোয়ার

এ মামলায় ছয় কার্যদিবসে মোট ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। গত ৯ সেপ্টেম্বর আদালতে অস্ত্র আইনে করা মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন পাপিয়া দম্পতি। পরে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ২৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।

এদিন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী যুক্তি উপস্থাপনে এ মামলার আসামি পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দাবি করেন। এদিন রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে আসামি পক্ষ যুক্তি উপস্থাপন শুরু করে। পরে আসামি মফিজুর রহমানের পক্ষে তাঁর আইনজীবী এ এফ এম গোলাম ফাত্তাহ যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন।

তবে আসামি পাপিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী শাখাওয়াত উল্লাহ ভূইয়া আংশিক যুক্তি উপস্থাপন করেন। পরে আদালত পাপিয়ার পক্ষে অবশিষ্ট যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ২৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। ওই দিন পাপিয়ার পক্ষে তাঁর আইনজীবী যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ফার্মগেট এলাকার ২৮ নম্বর ইন্দিরা রোডে অবস্থিত রওশনস ডমিনো রিলিভো নামক বিলাসবহুল ভবনে তাদের দুটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ ও নগদ ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেকের পাতা, বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি ভিসা ও এটিএম কার্ড জব্দ করে র‌্যাব। ওই ঘটনায় শেরেবাংলানগর থানায় অস্ত্র আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশত্যাগের সময় পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুরসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মহিপুরে পাঁচ কিমি কাঁচা সড়কে হাঁটুজল, দুর্ভোগে পথচারী

পাপিয়া দম্পতির অস্ত্র মামলায় ২০ বছর করে কারাদণ্ড

প্রকাশের সময় : ১১:৪৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০২০

যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনের অস্ত্র আইনের মামলায় ২০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাদেরকে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯(ক) ধারায় ২০ বছর ও (চ) ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে একই সঙ্গে সাজা চলবে। যে কারণে আসামিদের ২০ বছর সাজা খাটতে হবে।

সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে এই প্রথম কোনো মামলার রায় দিলেন আদালত।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় আসামি পাপিয়া ও সুমনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তাঁদেরকে আদালতের গারদের রাখা হয়। পরে দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে তাঁদের এজলাসে তোলা হয়। এরপর বিচারক দুপুর ২টা ২২ মিনিটে রায় পড়া শুরু করেন। রায় পড়া শেষে দুপুর ২টা ২৬ মিনিটে রায় ঘোষণা করেন।

এদিকে মাত্র ৯ কার্যদিবসে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার বিচার কাজ শেষ হয়। গত ২৭ সেপ্টেম্বর আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে আদালত ১২ অক্টোবর রায়ের দিন ধার্য করেন। এ মামলায় গত ২৯ জুন আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের উপপরিদর্শক আরিফুজ্জামান তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

পরে গত ২৫ আগস্ট অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। গত ৩১ আগস্ট মামলার জব্দ তালিকার সাক্ষী র‌্যাবের উপপরিদর্শক সাইফুল আলম প্রথম আদালতে সাক্ষ্য দেন। পরে ধারাবাহিক সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর এ মামলার সাক্ষ্য শেষ হয়। এদিন আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাবের উপপরিদর্শক আরিফুজ্জামান সাক্ষ্য দেন।

আরও পড়ুন : আ’লীগে যোগ দিয়ে অপরাধ জগতের ‘ডন’ বনে যায় দেলোয়ার

এ মামলায় ছয় কার্যদিবসে মোট ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। গত ৯ সেপ্টেম্বর আদালতে অস্ত্র আইনে করা মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন পাপিয়া দম্পতি। পরে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ২৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।

এদিন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী যুক্তি উপস্থাপনে এ মামলার আসামি পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দাবি করেন। এদিন রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে আসামি পক্ষ যুক্তি উপস্থাপন শুরু করে। পরে আসামি মফিজুর রহমানের পক্ষে তাঁর আইনজীবী এ এফ এম গোলাম ফাত্তাহ যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন।

তবে আসামি পাপিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী শাখাওয়াত উল্লাহ ভূইয়া আংশিক যুক্তি উপস্থাপন করেন। পরে আদালত পাপিয়ার পক্ষে অবশিষ্ট যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ২৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। ওই দিন পাপিয়ার পক্ষে তাঁর আইনজীবী যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ফার্মগেট এলাকার ২৮ নম্বর ইন্দিরা রোডে অবস্থিত রওশনস ডমিনো রিলিভো নামক বিলাসবহুল ভবনে তাদের দুটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ ও নগদ ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেকের পাতা, বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি ভিসা ও এটিএম কার্ড জব্দ করে র‌্যাব। ওই ঘটনায় শেরেবাংলানগর থানায় অস্ত্র আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশত্যাগের সময় পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুরসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।