Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ হার বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক : 

চট্টগ্রামে টানা দুই ম্যাচ হারার পর রাজশাহীতে গিয়ে জয়ের দেখা পায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। শনিবার (১৩ মে) চতুর্থ ওয়ানডে জিততে পারলে সিরিজে সমতা ফেরানোর সুযোগ ছিল। কিন্তু সফরকারী পাকিস্তান যুবাদের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হেরে এক ম্যাচ আগেই ওয়ানডে সিরিজ হারতে হলো স্বাগতিকদের। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে পাকিস্তানকে ২০০ রানের লক্ষ্য দেয়। সহজ সেই লক্ষ্য ৭৯ বল আগেই ২ উইকেট হারিয়ে ছুঁয়ে ফেলে সফরকারী দল।

রাজশাহী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় বাংলাদেশ। কিন্তু পাকিস্তানি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তারা ৪৬.৪ ওভারে ১৯৯ রানেই থেমে যায়। সহজ এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে পাকিস্তানের দুই ওপেনার আজান আওয়াইস ও শাহজাইব খান জয়ের ভিতটা গড়ে দেন। ওপেনিং জুটিতে আসে ১৫২ রান। আজান ৫২ রানে আউট হওয়ার পর শামিল হোসেন (৭) দ্রুত বিদায় নেন। তৃতীয় উইকেটে শাহজাইব ও শাদ বেগের অবিচ্ছিন্ন ৩৫ রানের জুটিতে ৩৬.৫ ওভারে জয়ের বন্দরে নোঙর করে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের হয়ে শাহজাইব তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার স্পর্শ করেছেন। ১০৫ বলে ১৪ চার ও ৩ ছক্কায় পাকিস্তানের এই ব্যাটার ১০৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। সাদ ১৫ বলে করেন অপরাজিত ২৯ রান।

বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মাহফিজুর রহমান রাব্বি ও রাফিউজ্জামান রাফি একটি করে উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ের নেমে পাকিস্তানের বোলারদের রোষানলে পড়ে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ৩৯ রানে টপ অর্ডার তিন ব্যাটারকে হারানোর পর দলের হাল ধরেন আরিফুল ইসলাম ও আহরার আমিন। দুইজনের ৫৫ রানের জুটিতে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দিলেও মিডল অর্ডার ব্যাটারদের বড় স্কোরের অভাবে বাংলাদেশের ইনিংস গিয়ে থামে দুইশর আগেই। সর্বোচ্চ ৫০ রান আসে আরিফুলের ব্যাট থেকে। এছাড়া মাহফিজুর ৩৪ ও পারভেজ হোসেন ইমন ৩০ রানের ইনিংস খেলেছেন।

পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে আয়মল খান ও আলী আসফান্দ তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া আরাফাত নিয়েছেন একটি উইকেট।

একই মাঠে সোমবার (১৫ মে) নিয়ম রক্ষার সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল। এছাড়াও ১৭ মে একটি টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্টে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান যুবারা।

এদিকে রাজশাহীর প্রথম ম্যাচে দর্শক প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা থাকলেও দ্বিতীয় ম্যাচ ছিল উন্মুক্ত। স্টেডিয়ামের একটি গ্যালারী উন্মুক্ত থাকায় সকাল থেকেই হুমড়ি খেয়ে পড়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা। স্টেডিয়ামের মূল প্রবেশ পথেও ছিল দীর্ঘ লাইন। এমন কি তীব্র রোদ উপেক্ষা করেই পাশের বহুতল ভবন থেকেও খেলা দেখেছেন ক্রিকেট ভক্তরা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ হার বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : ১০:৩৩:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ মে ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

চট্টগ্রামে টানা দুই ম্যাচ হারার পর রাজশাহীতে গিয়ে জয়ের দেখা পায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। শনিবার (১৩ মে) চতুর্থ ওয়ানডে জিততে পারলে সিরিজে সমতা ফেরানোর সুযোগ ছিল। কিন্তু সফরকারী পাকিস্তান যুবাদের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হেরে এক ম্যাচ আগেই ওয়ানডে সিরিজ হারতে হলো স্বাগতিকদের। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে পাকিস্তানকে ২০০ রানের লক্ষ্য দেয়। সহজ সেই লক্ষ্য ৭৯ বল আগেই ২ উইকেট হারিয়ে ছুঁয়ে ফেলে সফরকারী দল।

রাজশাহী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় বাংলাদেশ। কিন্তু পাকিস্তানি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তারা ৪৬.৪ ওভারে ১৯৯ রানেই থেমে যায়। সহজ এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে পাকিস্তানের দুই ওপেনার আজান আওয়াইস ও শাহজাইব খান জয়ের ভিতটা গড়ে দেন। ওপেনিং জুটিতে আসে ১৫২ রান। আজান ৫২ রানে আউট হওয়ার পর শামিল হোসেন (৭) দ্রুত বিদায় নেন। তৃতীয় উইকেটে শাহজাইব ও শাদ বেগের অবিচ্ছিন্ন ৩৫ রানের জুটিতে ৩৬.৫ ওভারে জয়ের বন্দরে নোঙর করে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের হয়ে শাহজাইব তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার স্পর্শ করেছেন। ১০৫ বলে ১৪ চার ও ৩ ছক্কায় পাকিস্তানের এই ব্যাটার ১০৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। সাদ ১৫ বলে করেন অপরাজিত ২৯ রান।

বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মাহফিজুর রহমান রাব্বি ও রাফিউজ্জামান রাফি একটি করে উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ের নেমে পাকিস্তানের বোলারদের রোষানলে পড়ে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ৩৯ রানে টপ অর্ডার তিন ব্যাটারকে হারানোর পর দলের হাল ধরেন আরিফুল ইসলাম ও আহরার আমিন। দুইজনের ৫৫ রানের জুটিতে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দিলেও মিডল অর্ডার ব্যাটারদের বড় স্কোরের অভাবে বাংলাদেশের ইনিংস গিয়ে থামে দুইশর আগেই। সর্বোচ্চ ৫০ রান আসে আরিফুলের ব্যাট থেকে। এছাড়া মাহফিজুর ৩৪ ও পারভেজ হোসেন ইমন ৩০ রানের ইনিংস খেলেছেন।

পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে আয়মল খান ও আলী আসফান্দ তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া আরাফাত নিয়েছেন একটি উইকেট।

একই মাঠে সোমবার (১৫ মে) নিয়ম রক্ষার সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল। এছাড়াও ১৭ মে একটি টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্টে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান যুবারা।

এদিকে রাজশাহীর প্রথম ম্যাচে দর্শক প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা থাকলেও দ্বিতীয় ম্যাচ ছিল উন্মুক্ত। স্টেডিয়ামের একটি গ্যালারী উন্মুক্ত থাকায় সকাল থেকেই হুমড়ি খেয়ে পড়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা। স্টেডিয়ামের মূল প্রবেশ পথেও ছিল দীর্ঘ লাইন। এমন কি তীব্র রোদ উপেক্ষা করেই পাশের বহুতল ভবন থেকেও খেলা দেখেছেন ক্রিকেট ভক্তরা।