Dhaka শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানে ভারী বর্ষণ ও বজ্রপাতে নিহত ৩৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

পাকিস্তানের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলে ভারি বৃষ্টি ও বজ্রপাতে গত কয়েকদিনে অন্তত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গম কাটার সময় বেশ কয়েকজন কৃষক বজ্রপাতে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আকস্মিক বন্যায় বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং পরিবহন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। বেশ কিছু ফুটেজে দেখা গেছে বৃষ্টির পানিতে কৃষিজমি ডুবে গেছে।

খবরে বলা হয়েছে, বলা হয়েছে, পাকিস্তান গণবসতিপূর্ণ প্রদেশ পাঞ্জাবে বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এ প্রদেশে শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত চলা বজ্রপাতে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির বেলুচিস্তান প্রদেশে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। কর্তৃপক্ষ এ অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করেছে। পরিস্থিতির খারাপ হওয়ায় সোমবার ও মঙ্গলবার স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

উপকূলীয় শহর পাসনি এবং বালোচে বৃষ্টি পানিতে তলিয়ে গেছে। পাসনির শহরের চেয়ারম্যান নুর আহমেদ কালমাতি সংবাদমাধ্যম ডনকে বলেন, বৃষ্টির পানিতে পুরো শহরকে লেক মনে হচ্ছে। আবাসিক এবং বাণিজ্যিক ভবনে পানি ঢুকে পড়েছে

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পাকিস্তানের তাপমাত্রা বাড়ছে। ফলে দেশটি বার বার প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়ছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে জলবায়ুর পরিবর্তনে বিশ্বের যে কয়টি দেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিস্তান তার একটি।

এর আগে ২০২২ সালে পাকিস্তানের এক তৃতীয়াংশ অঞ্চলে নজিরবিহীন বন্যায় এক হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এছাড়া আহত হয় আরও কয়েক হাজার মানুষ। এতে কয়েক লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন এবং কয়েক মাস ধরে বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব দেখা দেয়।

সে বছর খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তান প্রদেশের কিছু অঞ্চল বন্যায় বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। চলতি বছরের বন্যা এবং বজ্রপাতেও সেসব এলাকা আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আগামী কয়েকদিনে আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার থেকে রোববারের মধ্যে সেখানে বজ্রপাতে ২১ জন প্রাণ হারিয়েছে।

এছাড়া পশ্চিম বেলুচিস্তান প্রদেশে কমপক্ষে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে জরুরি অবস্থা জারি করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া সোম এবং মঙ্গলবার প্রদেশের সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাকিস্তানে ভারী বর্ষণ ও বজ্রপাতে নিহত ৩৯

প্রকাশের সময় : ০৫:০৩:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

পাকিস্তানের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলে ভারি বৃষ্টি ও বজ্রপাতে গত কয়েকদিনে অন্তত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গম কাটার সময় বেশ কয়েকজন কৃষক বজ্রপাতে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আকস্মিক বন্যায় বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং পরিবহন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। বেশ কিছু ফুটেজে দেখা গেছে বৃষ্টির পানিতে কৃষিজমি ডুবে গেছে।

খবরে বলা হয়েছে, বলা হয়েছে, পাকিস্তান গণবসতিপূর্ণ প্রদেশ পাঞ্জাবে বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এ প্রদেশে শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত চলা বজ্রপাতে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির বেলুচিস্তান প্রদেশে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। কর্তৃপক্ষ এ অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করেছে। পরিস্থিতির খারাপ হওয়ায় সোমবার ও মঙ্গলবার স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

উপকূলীয় শহর পাসনি এবং বালোচে বৃষ্টি পানিতে তলিয়ে গেছে। পাসনির শহরের চেয়ারম্যান নুর আহমেদ কালমাতি সংবাদমাধ্যম ডনকে বলেন, বৃষ্টির পানিতে পুরো শহরকে লেক মনে হচ্ছে। আবাসিক এবং বাণিজ্যিক ভবনে পানি ঢুকে পড়েছে

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পাকিস্তানের তাপমাত্রা বাড়ছে। ফলে দেশটি বার বার প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়ছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে জলবায়ুর পরিবর্তনে বিশ্বের যে কয়টি দেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিস্তান তার একটি।

এর আগে ২০২২ সালে পাকিস্তানের এক তৃতীয়াংশ অঞ্চলে নজিরবিহীন বন্যায় এক হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এছাড়া আহত হয় আরও কয়েক হাজার মানুষ। এতে কয়েক লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন এবং কয়েক মাস ধরে বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব দেখা দেয়।

সে বছর খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তান প্রদেশের কিছু অঞ্চল বন্যায় বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। চলতি বছরের বন্যা এবং বজ্রপাতেও সেসব এলাকা আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আগামী কয়েকদিনে আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার থেকে রোববারের মধ্যে সেখানে বজ্রপাতে ২১ জন প্রাণ হারিয়েছে।

এছাড়া পশ্চিম বেলুচিস্তান প্রদেশে কমপক্ষে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে জরুরি অবস্থা জারি করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া সোম এবং মঙ্গলবার প্রদেশের সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।