আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
দক্ষিণ-পশ্চিম পাকিস্তানের একটি কয়লা খনিতে বিস্ফোরণে ১২ জন খনি শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো আটজনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বুধবার (২০ মার্চ) ভোররাতে বেলুচিস্তানের হারনাই জেলার জারদালো এলাকার একটি কয়লা খনিতে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে।
এর আগে গণমাধ্যমের খবরে খনিটির ভেতরে ১৮ শ্রমিক আটকা পড়েছে বলে জানানো হয়েছিল। শক্তিশালী বিস্ফোরণে খনিটির একটি বড় অংশ ধসে পড়ার পর তারা আটকা পড়েন।
বুধবার (২০ মার্চ) সকালে বেলুচিস্তান প্রদেশের খনি পরিদর্শক আব্দুল গনি বালোচ বলেছেন, উদ্ধার অভিযান এইমাত্র শেষ হয়েছে। রাতে খনিটিতে মিথেন গ্যাসের কারণে বিস্ফোরণ ঘটে, এতে মোট ২০ জন শ্রমিক আটকা পড়েন। উদ্ধারকারী দলগুলো ১২টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। জীবিতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাতেই দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। বাকিগুলো ভোর সকালে বের করে আনা হয়।
বেলুচিস্তান কয়লাখনি শ্রমিক ফেডারেশনের প্রধান লালা সুলতান এএফপিকে বলেন, ‘এই দুর্ঘটনা বেলুচিস্তানে প্রথম নয় এবং শেষও না। কয়লাখনিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুব কমই বাস্তবায়িত হয়। অন্যান্য প্রদেশে কিছু নিরাপত্তা প্রোটোকল থাকলেও বেলুচিস্তানে নিরাপত্তা একেবারেই উপেক্ষিত।’
এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও আহতদের সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
পাকিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে বেশির ভাগ কয়লার খনিগুলো আফগান সীমান্তের কাছে অবস্থিত। সাধারণ খনিতে গ্যাস তৈরির কারণে এ ধরনের দুর্ঘটনাগুলো ঘটে। তবে খনি শ্রমিকরা অভিযোগ করেছেন, নিরাপত্তার অভাব এবং কাজের পরিবেশ ভালো না হওয়ার কারণে ঘন ঘন দুর্ঘটনা ঘটে।
একই এলাকায় ২০১৮ সালে দুটি কয়লাখনিতে গ্যাস বিস্ফোরণে ২৩ জন নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছিলেন। ২০১১ বেলুচিস্তানের আরেক কয়লাখনি গ্যাস বিস্ফোরণের কারণে ধসে গেলে ৪৩ জন নিহত হন।