Dhaka বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ট্রফি নিউজিল্যান্ডের

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০২:১০:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৯৭ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

আগের ম্যাচে সাড়ে তিনশোর বেশি তাড়া করে ম্যাচ জিতেছিল পাকিস্তান। কিন্তু এই ম্যাচে তারা করতে পারেনি আড়াইশো রানও। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররাও অবশ্য লড়েছিলেন। তবে ঠিকই জয় তুলে নিয়েছেন।

ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল ম্যাচে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ৫ উইকেটের জয় পায় নিউজিল্যান্ড। করাচির জাতীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারের তিন বল আগে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ২৪২ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা। যা তাড়ায় নেমে ২৮ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছায় নিউজিল্যান্ড।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে কিউইদের প্রস্তুতিটাও দারুণ হলো। একই মাঠে আগামী বুধবার এই দুই দলের ম্যাচ দিয়েই শুরু হবে প্রতিযোগিতাটি। আগে ব্যাটিং করে পাকিস্তান শেষ ওভারে অল আউট হয় ২৪২ রানে। পঞ্চাশ ছুঁতে পারেননি তাদের কেউই। প্রথম সাত জনের মধ্যে একশর বেশি স্ট্রাইক রেটে রান করতে পারেন কেবল একজন।

নতুন বলে ও ডেথ ওভারে দারুণ বোলিংয়ে ৪৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের সফলতম বোলার ও’রোক। ফাইনালের সেরাও ২৩ বছর বয়সী এই পেসার।

বাঁহাতি স্পিনার স্যান্টনার ১০ ওভারে স্রেফ ২০ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। কিউই অধিনায়ক ‘ডট’ বল খেলান ৪০টি, হজম করেননি কোনো বাউন্ডারি। অফ স্পিনার মাইকেল ব্রেসওয়েলও নেন ২ উইকেট, ৩৮ রানে।

নিউজিল্যান্ড লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ২৮ বল বাকি থাকতেই। ৫৮ বলে ৬ চারে ৫৭ রান করেন মিচেল। এই সিরিজের আগের দুই ম্যাচসহ সবশেষ তিন ইনিংসে শূন্য রানে ফেরার পর এবার ৬৪ বলে ৫৬ রান করেন ল্যাথাম।

চোটের কারণে লকি ফার্গুসনকে পুরো সিরিজে, বেন সিয়ার্স, ম্যাট হেনরি ও রাচিন রাভিন্দ্রাকে ফাইনালে পায়নি নিউজিল্যান্ড। তারপরও দাপট দেখিয়েই ট্রফি জিতল তারা। এই পথচলায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে একবার ও পাকিস্তানকে হারাল তারা দুইবার।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তানের ৩৫৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জেতা ম্যাচের মতো অতটা ব্যাটিং সহায়ক ছিল না ফাইনালের উইকেট। বল ব্যাটে আসছিল থেমে থেমে।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে চতুর্থ ওভারে ফাখার জামানকে হারায় পাকিস্তান। নিউ জিল্যান্ডকে প্রথম সাফল্য এনে দেন ও’রোক। তিনে নেমে টিকতে পারেননি সাউদ শাকিল। নিজের প্রথম ওভারে তাকে বোল্ড করে দেন ব্রেসওয়েল।

এ দিন ১০ রানে পৌঁছে ওয়ানডেতে যৌথভাবে দ্রুততম ৬ হাজার রানের রেকর্ডে হাশিম আমলার পাশে বসেন বাবর আজম। তবে ইনিংস টেনে নিতে পারেননি তিনিও। ২৯ রান করে তিনি ফিরতি ক্যাচ দেন বোলার ন্যাথান স্মিথকে।

দ্বাদশ ওভারে ৫৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান।

চতুর্থ উইকেটে প্রতিরোধ গড়েন আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি ও ২৬০ রানের জুটিতে দলকে জেতানো মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সালমান আলি আগা। কিন্তু অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের ৮৮ রানের জুটি ভাঙার পর আবার পথ হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা।

রিজওয়ানকে (৭৬ বলে ৪৬) ফিরিয়ে বড় জুটি ভাঙেন ও’রোক। ব্রেসওয়েলের দ্বিতীয় শিকার সালমান (৬৫ বলে ৪৫)। দারুণ খেলতে থাকা তাইয়াব তাহিরকে (৩৩ বলে ৩৮) থামান জ্যাকব ডাফি। খুশদিল শাহ ফেরেন ১৮ বলে ৭ রান করে।

শাহিন শাহ আফ্রিদির দ্রুত বিদায়ে ২০২ রানেই ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। এক বছরের বেশি সময় পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা ফাহিম আশরাফের ২১ বলে ২২ ও নাসিম শাহর ১৭ বলে ১৯ রানের সুবাদে কোনোমতে ২৪২ পর্যন্ত যেতে পারে তারা।

রান তাড়ায় নিউজিল্যান্ডের শুরুটা যদিও ভালো ছিল না। দ্বিতীয় ওভারে বিদায় নেন উইল ইয়াং। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ৭১ রানের জুটিতে দলকে কক্ষপথে রাখেন ডেভন কনওয়ে ও কেন উইলিয়ামসন।

৪৯ বলে ৩৪ রান করে ফেরেন উইলিয়ামসন। ২ রানের জন্য ফিফটি পাননি কনওয়ে। ৭৪ বলে ৫ চারে সাজানো তার ৪৮ রানের ইনিংস। চতুর্থ উইকেটে ইনিংস সেরা ৮৭ রানের জুটিতে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন মিচেল ও ল্যাথাম। ৫৬ বলে ফিফটি করার পর লেগ স্পিনার আবরার আহমেদকে ফিরতি ক্যাচ দেন মিচেল।

১৫ ও ২৭ রানে জীবন পেয়ে ল্যাথাম পঞ্চাশে পা রাখেন ৬০ বলে। জয় থেকে ১১ রান দূরে থাকতে তার বিদায়ের পর বাকিটা সারেন গ্লেন ফিলিপস ও ব্রেসওয়েল।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাকিস্তানকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ট্রফি নিউজিল্যান্ডের

প্রকাশের সময় : ০২:১০:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক : 

আগের ম্যাচে সাড়ে তিনশোর বেশি তাড়া করে ম্যাচ জিতেছিল পাকিস্তান। কিন্তু এই ম্যাচে তারা করতে পারেনি আড়াইশো রানও। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররাও অবশ্য লড়েছিলেন। তবে ঠিকই জয় তুলে নিয়েছেন।

ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল ম্যাচে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ৫ উইকেটের জয় পায় নিউজিল্যান্ড। করাচির জাতীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারের তিন বল আগে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ২৪২ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা। যা তাড়ায় নেমে ২৮ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছায় নিউজিল্যান্ড।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে কিউইদের প্রস্তুতিটাও দারুণ হলো। একই মাঠে আগামী বুধবার এই দুই দলের ম্যাচ দিয়েই শুরু হবে প্রতিযোগিতাটি। আগে ব্যাটিং করে পাকিস্তান শেষ ওভারে অল আউট হয় ২৪২ রানে। পঞ্চাশ ছুঁতে পারেননি তাদের কেউই। প্রথম সাত জনের মধ্যে একশর বেশি স্ট্রাইক রেটে রান করতে পারেন কেবল একজন।

নতুন বলে ও ডেথ ওভারে দারুণ বোলিংয়ে ৪৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের সফলতম বোলার ও’রোক। ফাইনালের সেরাও ২৩ বছর বয়সী এই পেসার।

বাঁহাতি স্পিনার স্যান্টনার ১০ ওভারে স্রেফ ২০ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। কিউই অধিনায়ক ‘ডট’ বল খেলান ৪০টি, হজম করেননি কোনো বাউন্ডারি। অফ স্পিনার মাইকেল ব্রেসওয়েলও নেন ২ উইকেট, ৩৮ রানে।

নিউজিল্যান্ড লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ২৮ বল বাকি থাকতেই। ৫৮ বলে ৬ চারে ৫৭ রান করেন মিচেল। এই সিরিজের আগের দুই ম্যাচসহ সবশেষ তিন ইনিংসে শূন্য রানে ফেরার পর এবার ৬৪ বলে ৫৬ রান করেন ল্যাথাম।

চোটের কারণে লকি ফার্গুসনকে পুরো সিরিজে, বেন সিয়ার্স, ম্যাট হেনরি ও রাচিন রাভিন্দ্রাকে ফাইনালে পায়নি নিউজিল্যান্ড। তারপরও দাপট দেখিয়েই ট্রফি জিতল তারা। এই পথচলায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে একবার ও পাকিস্তানকে হারাল তারা দুইবার।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তানের ৩৫৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জেতা ম্যাচের মতো অতটা ব্যাটিং সহায়ক ছিল না ফাইনালের উইকেট। বল ব্যাটে আসছিল থেমে থেমে।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে চতুর্থ ওভারে ফাখার জামানকে হারায় পাকিস্তান। নিউ জিল্যান্ডকে প্রথম সাফল্য এনে দেন ও’রোক। তিনে নেমে টিকতে পারেননি সাউদ শাকিল। নিজের প্রথম ওভারে তাকে বোল্ড করে দেন ব্রেসওয়েল।

এ দিন ১০ রানে পৌঁছে ওয়ানডেতে যৌথভাবে দ্রুততম ৬ হাজার রানের রেকর্ডে হাশিম আমলার পাশে বসেন বাবর আজম। তবে ইনিংস টেনে নিতে পারেননি তিনিও। ২৯ রান করে তিনি ফিরতি ক্যাচ দেন বোলার ন্যাথান স্মিথকে।

দ্বাদশ ওভারে ৫৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান।

চতুর্থ উইকেটে প্রতিরোধ গড়েন আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি ও ২৬০ রানের জুটিতে দলকে জেতানো মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সালমান আলি আগা। কিন্তু অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের ৮৮ রানের জুটি ভাঙার পর আবার পথ হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা।

রিজওয়ানকে (৭৬ বলে ৪৬) ফিরিয়ে বড় জুটি ভাঙেন ও’রোক। ব্রেসওয়েলের দ্বিতীয় শিকার সালমান (৬৫ বলে ৪৫)। দারুণ খেলতে থাকা তাইয়াব তাহিরকে (৩৩ বলে ৩৮) থামান জ্যাকব ডাফি। খুশদিল শাহ ফেরেন ১৮ বলে ৭ রান করে।

শাহিন শাহ আফ্রিদির দ্রুত বিদায়ে ২০২ রানেই ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। এক বছরের বেশি সময় পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা ফাহিম আশরাফের ২১ বলে ২২ ও নাসিম শাহর ১৭ বলে ১৯ রানের সুবাদে কোনোমতে ২৪২ পর্যন্ত যেতে পারে তারা।

রান তাড়ায় নিউজিল্যান্ডের শুরুটা যদিও ভালো ছিল না। দ্বিতীয় ওভারে বিদায় নেন উইল ইয়াং। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ৭১ রানের জুটিতে দলকে কক্ষপথে রাখেন ডেভন কনওয়ে ও কেন উইলিয়ামসন।

৪৯ বলে ৩৪ রান করে ফেরেন উইলিয়ামসন। ২ রানের জন্য ফিফটি পাননি কনওয়ে। ৭৪ বলে ৫ চারে সাজানো তার ৪৮ রানের ইনিংস। চতুর্থ উইকেটে ইনিংস সেরা ৮৭ রানের জুটিতে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন মিচেল ও ল্যাথাম। ৫৬ বলে ফিফটি করার পর লেগ স্পিনার আবরার আহমেদকে ফিরতি ক্যাচ দেন মিচেল।

১৫ ও ২৭ রানে জীবন পেয়ে ল্যাথাম পঞ্চাশে পা রাখেন ৬০ বলে। জয় থেকে ১১ রান দূরে থাকতে তার বিদায়ের পর বাকিটা সারেন গ্লেন ফিলিপস ও ব্রেসওয়েল।