Dhaka শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাইলটের সিটের নিচে গোখরা সাপ, উড়োজাহাজের জরুরি অবতরণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

চারজন যাত্রী নিয়ে ব্লুমফন্টেইন থেকে প্রিটোরিয়ায় যাচ্ছিল একটি বিমান। উড়ছিল ১১ হাজার ফুট উপর দিয়ে। হঠাৎ বিমানের পাইলট ককপিটে একটি গোখরা সাপ দেখতে পেলেন। তবে এই পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রেখে ওয়েলকম শহরে নিরাপদে জরুরি অবতরণ করেন দক্ষিণ আফ্রিকান পাইলট রুডলফ ইরাসমা।

সাপটি তার পিঠ বেয়ে উঠে পড়ে জানিয়ে ইরাসমাস বলেন, সত্যি বলতে কী, আমার মস্তিষ্ক ধরতেই পারছিল না কী হচ্ছে। আমি টের পেলাম ঠান্ডা কিছু একটা আমার শার্ট বেয়ে ওপরে আসছে।

তিনি জানান, প্রথমে ভেবেছিলেন পানির বোতলের ছিপি ঠিকমতো আঁটেননি। তাই সেখান থেকে পানি চুইয়ে পড়ছে তার শার্ট বেয়ে। ‘কিন্তু বাঁয়ে ফিরে চোখ একটু নিচু করতেই গোখরাটাকে দেখতে পাই আমি। ৃমাথা নিচু করে সিটের নিচে ঢুকে যাচ্ছে।

গোখরা সাপের ছোবল খাওয়ার আধা ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হতে পারে। তাই ইরাসমাস প্রথমে ভেবেছিলেন বাকি চার যাত্রী ভয় পেয়ে যেতে পারে, তাই তাদেরকে সাপটির কথা জানাবেন না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদেরকে বিষয়টি জানান। বিমানে সাপ আছে জেনে ভয়ে সবাই চুপসে হয়ে যান।

তবে বিমানটি প্রথম উড্ডয়ন করেছিল ওরচেস্টার ফ্লাইং ক্লাব থেকে। সেখানকার দুইজন কর্মী জানান, তারা আগেই খেয়াল করেছিলেন যে বিমানের নিচে একটি সাপ রয়েছে। সেটিকে তারা ‘ধরার’ চেষ্টা করলেও সফল হননি। এরপর তারা মনে করেন, সাপটি বিমান থেকে নেমে গেছে। ফলে উড়োজাহাজ যাত্রীদের জন্য নিরাপদ।

একজন বীর হিসেবে এরাসমুস প্রশংসিত হচ্ছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার সিভিল অ্যাভিয়েশন কমিশনার পপি খসাও তার প্রশংসা করেছেন।

তবে এই পাইলট মনে করেন তিনি বিশেষ কিছু করেননি। কিছুটা অতিরঞ্জিত করা হচ্ছে। যাত্রীরা শান্ত ছিলেন বলে নিরাপদে অবতরণ সম্ভব হয়েছে। সূত্র: বিবিসি।

আবহাওয়া

মুন্সীগঞ্জে বিএনপি’র দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৭

পাইলটের সিটের নিচে গোখরা সাপ, উড়োজাহাজের জরুরি অবতরণ

প্রকাশের সময় : ০৪:১৪:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

চারজন যাত্রী নিয়ে ব্লুমফন্টেইন থেকে প্রিটোরিয়ায় যাচ্ছিল একটি বিমান। উড়ছিল ১১ হাজার ফুট উপর দিয়ে। হঠাৎ বিমানের পাইলট ককপিটে একটি গোখরা সাপ দেখতে পেলেন। তবে এই পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রেখে ওয়েলকম শহরে নিরাপদে জরুরি অবতরণ করেন দক্ষিণ আফ্রিকান পাইলট রুডলফ ইরাসমা।

সাপটি তার পিঠ বেয়ে উঠে পড়ে জানিয়ে ইরাসমাস বলেন, সত্যি বলতে কী, আমার মস্তিষ্ক ধরতেই পারছিল না কী হচ্ছে। আমি টের পেলাম ঠান্ডা কিছু একটা আমার শার্ট বেয়ে ওপরে আসছে।

তিনি জানান, প্রথমে ভেবেছিলেন পানির বোতলের ছিপি ঠিকমতো আঁটেননি। তাই সেখান থেকে পানি চুইয়ে পড়ছে তার শার্ট বেয়ে। ‘কিন্তু বাঁয়ে ফিরে চোখ একটু নিচু করতেই গোখরাটাকে দেখতে পাই আমি। ৃমাথা নিচু করে সিটের নিচে ঢুকে যাচ্ছে।

গোখরা সাপের ছোবল খাওয়ার আধা ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হতে পারে। তাই ইরাসমাস প্রথমে ভেবেছিলেন বাকি চার যাত্রী ভয় পেয়ে যেতে পারে, তাই তাদেরকে সাপটির কথা জানাবেন না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদেরকে বিষয়টি জানান। বিমানে সাপ আছে জেনে ভয়ে সবাই চুপসে হয়ে যান।

তবে বিমানটি প্রথম উড্ডয়ন করেছিল ওরচেস্টার ফ্লাইং ক্লাব থেকে। সেখানকার দুইজন কর্মী জানান, তারা আগেই খেয়াল করেছিলেন যে বিমানের নিচে একটি সাপ রয়েছে। সেটিকে তারা ‘ধরার’ চেষ্টা করলেও সফল হননি। এরপর তারা মনে করেন, সাপটি বিমান থেকে নেমে গেছে। ফলে উড়োজাহাজ যাত্রীদের জন্য নিরাপদ।

একজন বীর হিসেবে এরাসমুস প্রশংসিত হচ্ছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার সিভিল অ্যাভিয়েশন কমিশনার পপি খসাও তার প্রশংসা করেছেন।

তবে এই পাইলট মনে করেন তিনি বিশেষ কিছু করেননি। কিছুটা অতিরঞ্জিত করা হচ্ছে। যাত্রীরা শান্ত ছিলেন বলে নিরাপদে অবতরণ সম্ভব হয়েছে। সূত্র: বিবিসি।