নিজস্ব প্রতিবেদক :
ফেনীর দাগনভূঞা-রাজাপুর সড়কের প্রায় আট কিলোমিটার অংশের পিচ উঠে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দাগনভূঞা বাজার থেকে রাজাপুর পর্যন্ত আট দশমিক শূন্য পাঁচ কিলোমিটার সড়কটি পাকাকরণের পরপরই পিচ উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এরপর পাঁচ বছরেও সংস্কার না করায় চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে রাস্তাটি। এতে ছোট-বড় দুর্ঘটনাও ঘটছে। বর্ষা মৌসুম এলে ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়। পথচারীরা দীর্ঘদিন ভোগান্তির শিকার হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
মেরামতের জন্য বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের বারবার জানালেও কোনো ফল মেলেনি। এসড়ক দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজ, মাদরাসা শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার লোকজন যাতায়াত করেন। এছাড়া কুমিল্লার নাঙ্গলকোর্ট, চৌদ্দগ্রাম, নোয়াখালীর সেনবাগ, সোনাইমুড়ী যাতায়াতেও এসড়ক ব্যবহার করা হয়।
রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন মামুন বলেন, দাগনভূঞা বাজার থেকে গজারিয়ার রাজাপুর সড়কের করুণ অবস্থা। দীর্ঘদিনে সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় জনদুর্ভোগের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ফেনী-মাইজদী সড়কের মতো রাজাপুর সড়কটিও প্রশস্ত করা সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে।
সূত্র জানায়, রাস্তাটি প্রশস্ত করে পাকাকরণের জন্য ২০১৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ১৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকার প্রাক্কলন ব্যয় তৈরি করে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়। তবে বরাদ্দ না মেলায় প্রকল্পটির প্রস্তাবনা ফাইলবন্দি হয়ে আছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. মাছুম বিল্লাহ বলেন, সড়কটি আগে ১০ ফুট পাকা ছিল। এখন তা ১৮ ফুট করে পাকা করা হবে। এজন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার তানিয়া জানান, বিষয়টি তার নজরে আছে। সড়কটি সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত সড়কটি সংস্কার করা হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।