Dhaka শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পশ্চিমাঞ্চলের জনবল সঙ্কটে বন্ধ রেলওয়ের ৭২টি স্টেশন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগ নিয়ে গঠিত দেশের পশ্চিমাঞ্চলে জনবল সঙ্কটে বন্ধ হয়ে গেছে রেলওয়ে ৭২টি স্টেশন। নষ্ট হচ্ছে এসব স্টেশনের দামি যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র ও অবকাঠামো। রেলসেবা না পেয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন বিপুলসংখ্যক মানুষ।

এর অধীনে রেলপথ রয়েছে ১ হাজার ৫৬৮ কিলোমিটার। জনবল সঙ্কটসহ নানা কারণে বন্ধ হয়ে গেছে এ অঞ্চলের ৭২টি স্টেশন। স্টেশন মাস্টার না থাকায় গত ১৮ বছরে বন্ধ হয়েছে নাটোরের বাসুদেবপুর, ইয়াছিনপুর, মালঞ্চি ও আজিমনগর স্টেশন।

নীলফামারীর ৯টি রেলস্টেশনের পাঁচটিতেই নেই স্টেশন মাস্টার। ১০ বছর ধরে বন্ধ থাকায় ভাষা সৈনিক খয়রাত হোসেনের নামে করা স্টেশন চত্বরটি পরিণত হয়েছে গোচারণ ভূমিতে। এসব স্টেশনে যে দু’একটি ট্রেন থামে তাতে মানা হয় না বিরতির সময়। ফলে ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে উঠতে হয় যাত্রীদের। অনেক সময় ট্রেন ধরতে দূরের সুবিধাজনক স্টেশনে যেতে বাধ্য হন যাত্রীরা।

অরক্ষিত থাকায় নষ্ট হচ্ছে স্টেশনগুলোর যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র ও অবকাঠামো। রাতের আঁধারে বসছে মাদকসেবীদের আড্ডা । সিগন্যাল বাতি না থাকায় বেড়েছে দুর্ঘটনাও।

গোপালপুর পৌরসভার মেয়র রুখসানা মুর্তজা লিলি বলেন, কখনকার ট্রেন কখন ছাড়বে, কখনকার গেট কখন পড়বে- এটা নিয়ে মানুষ আতঙ্কিত।

নাটোর স্টেশন মাস্টার অশোক চক্রবর্তী বলেন, গেটম্যানের সঙ্গে যোগাযোগটা খুব একটা হয় না, যার কারণে স্টেশন ক্লোজ-ডাউনে খুব সমস্যা হয়।

সমস্যা সমাধানে দ্রুত জনবল নিয়োগের আশ্বাস কর্তৃপক্ষের।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে জেনারেল ম্যানেজার অসীম কুমার তালুকদার বলেন, প্রথম পর্যায়ে ৩৫টি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। স্টেশন মাস্টার হিসেবে ১৭০ জনকে পেয়েছি। বেশ কিছু যন্ত্রাংশ নতুন করে লাগাতে হবে, যেগুলো কাজ করছেনা সেগুলোর সংস্কার চলছে।

বন্ধ স্টেশনগুলো আবারও চালু হবে; আগের মতো সরগরম হয়ে উঠবে যাত্রীদের পদচারণায় এমন আশা এলাকাবাসীর।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নিজের অতিথিদের থাপড়াতে চাইলেন পরীমণি!

পশ্চিমাঞ্চলের জনবল সঙ্কটে বন্ধ রেলওয়ের ৭২টি স্টেশন

প্রকাশের সময় : ০৪:২৫:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগ নিয়ে গঠিত দেশের পশ্চিমাঞ্চলে জনবল সঙ্কটে বন্ধ হয়ে গেছে রেলওয়ে ৭২টি স্টেশন। নষ্ট হচ্ছে এসব স্টেশনের দামি যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র ও অবকাঠামো। রেলসেবা না পেয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন বিপুলসংখ্যক মানুষ।

এর অধীনে রেলপথ রয়েছে ১ হাজার ৫৬৮ কিলোমিটার। জনবল সঙ্কটসহ নানা কারণে বন্ধ হয়ে গেছে এ অঞ্চলের ৭২টি স্টেশন। স্টেশন মাস্টার না থাকায় গত ১৮ বছরে বন্ধ হয়েছে নাটোরের বাসুদেবপুর, ইয়াছিনপুর, মালঞ্চি ও আজিমনগর স্টেশন।

নীলফামারীর ৯টি রেলস্টেশনের পাঁচটিতেই নেই স্টেশন মাস্টার। ১০ বছর ধরে বন্ধ থাকায় ভাষা সৈনিক খয়রাত হোসেনের নামে করা স্টেশন চত্বরটি পরিণত হয়েছে গোচারণ ভূমিতে। এসব স্টেশনে যে দু’একটি ট্রেন থামে তাতে মানা হয় না বিরতির সময়। ফলে ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে উঠতে হয় যাত্রীদের। অনেক সময় ট্রেন ধরতে দূরের সুবিধাজনক স্টেশনে যেতে বাধ্য হন যাত্রীরা।

অরক্ষিত থাকায় নষ্ট হচ্ছে স্টেশনগুলোর যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র ও অবকাঠামো। রাতের আঁধারে বসছে মাদকসেবীদের আড্ডা । সিগন্যাল বাতি না থাকায় বেড়েছে দুর্ঘটনাও।

গোপালপুর পৌরসভার মেয়র রুখসানা মুর্তজা লিলি বলেন, কখনকার ট্রেন কখন ছাড়বে, কখনকার গেট কখন পড়বে- এটা নিয়ে মানুষ আতঙ্কিত।

নাটোর স্টেশন মাস্টার অশোক চক্রবর্তী বলেন, গেটম্যানের সঙ্গে যোগাযোগটা খুব একটা হয় না, যার কারণে স্টেশন ক্লোজ-ডাউনে খুব সমস্যা হয়।

সমস্যা সমাধানে দ্রুত জনবল নিয়োগের আশ্বাস কর্তৃপক্ষের।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে জেনারেল ম্যানেজার অসীম কুমার তালুকদার বলেন, প্রথম পর্যায়ে ৩৫টি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। স্টেশন মাস্টার হিসেবে ১৭০ জনকে পেয়েছি। বেশ কিছু যন্ত্রাংশ নতুন করে লাগাতে হবে, যেগুলো কাজ করছেনা সেগুলোর সংস্কার চলছে।

বন্ধ স্টেশনগুলো আবারও চালু হবে; আগের মতো সরগরম হয়ে উঠবে যাত্রীদের পদচারণায় এমন আশা এলাকাবাসীর।