Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ২০ কর্মকর্তা বরখাস্ত, কমপ্লিট শাটডাউন ও লংমার্চের হুঁশিয়ারি

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি : 

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ২০ জন জিএম, ডিজিএম ও এজিএমকে চাকরি থেকে অবসানের প্রতিবাদে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সেই সঙ্গে দুই দফা দাবি আদায় না হলে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বৈষ্যমবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই হুঁশিয়ারি দেন। সেই সঙ্গে মিথ্যা মামলা দায়ের ও চাকরি থেকে অবসানের প্রতিবাদে ইতোমধ্যে দেশের ১২টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে রাজশাহীর কয়েকটি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

রাজশাহী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তানোর বিভাগীয় সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) কামাল হোসেন বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে চান। তা ছাড়া দাবি আদায়ে সারা দেশের কর্মীরা ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

কামাল হোসেন আরও বলেন, দেশের ৬৪টি জেলায় ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আছে। এসব সমিতিতে কর্মরত আছেন প্রায় ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। তাঁরা দেশের ১৪ কোটি মানুষকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করেন। দেশের মোট গ্রাহকের হিসাবে এটি প্রায় ৮০ শতাংশ। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বোর্ডের কাছে কিছু দাবি জানিয়ে আসছিলেন। দাবি আদায়ে প্রায় ১০ মাস ধরে তাঁরা আন্দোলন করছিলেন। এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন এমন ২০ জন কর্মকর্তাকে গতকাল বুধবার চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

পল্লী বিদ্যুতের এই কর্মকর্তা বলেন, চাকরিচ্যুত ২০ জনই কর্মকর্তা। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন মহাব্যবস্থাপক (জিএম) রয়েছেন। আজ তাঁরা চাকরিচ্যুতির বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর চাকরিচ্যুতির এই আদেশ প্রত্যাহার ও তাঁদের আগের দাবি আদায়ে তাঁরা বিদ্যুৎ শাটডাউন রাখার মতো কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। তাঁরা ঢাকায় বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ঘেরাও করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আগামী রোববার থেকে এ কর্মসূচি চলবে।

রাজশাহী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জ্যেষ্ঠ মহাব্যবস্থাপক রমেন্দ্র চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর পাচ্ছি। ইতোমধ্যে কয়েকটি উপজেলায় বিদ্যুৎ বন্ধ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ চালুর চেষ্টা চলছে, তবে এখনও পর্যন্ত কোথাও চালু করতে পারিনি।’

জানতে চাইলে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সচিব হাসিনা বেগম বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ শাটডাউন করে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর পাচ্ছি। বিদ্যুৎ চালু করার ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। মাঠপর্যায়ের সমিতির অফিসগুলো এ নিয়ে কাজ করছে। বিস্তারিত বোর্ডের জনসংযোগ শাখা বলবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাবনায় সেপটিক ট্যাংকে আটকা পড়ে দুই নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ২০ কর্মকর্তা বরখাস্ত, কমপ্লিট শাটডাউন ও লংমার্চের হুঁশিয়ারি

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৮:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি : 

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ২০ জন জিএম, ডিজিএম ও এজিএমকে চাকরি থেকে অবসানের প্রতিবাদে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সেই সঙ্গে দুই দফা দাবি আদায় না হলে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বৈষ্যমবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই হুঁশিয়ারি দেন। সেই সঙ্গে মিথ্যা মামলা দায়ের ও চাকরি থেকে অবসানের প্রতিবাদে ইতোমধ্যে দেশের ১২টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে রাজশাহীর কয়েকটি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

রাজশাহী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তানোর বিভাগীয় সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) কামাল হোসেন বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে চান। তা ছাড়া দাবি আদায়ে সারা দেশের কর্মীরা ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

কামাল হোসেন আরও বলেন, দেশের ৬৪টি জেলায় ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আছে। এসব সমিতিতে কর্মরত আছেন প্রায় ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। তাঁরা দেশের ১৪ কোটি মানুষকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করেন। দেশের মোট গ্রাহকের হিসাবে এটি প্রায় ৮০ শতাংশ। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বোর্ডের কাছে কিছু দাবি জানিয়ে আসছিলেন। দাবি আদায়ে প্রায় ১০ মাস ধরে তাঁরা আন্দোলন করছিলেন। এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন এমন ২০ জন কর্মকর্তাকে গতকাল বুধবার চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

পল্লী বিদ্যুতের এই কর্মকর্তা বলেন, চাকরিচ্যুত ২০ জনই কর্মকর্তা। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন মহাব্যবস্থাপক (জিএম) রয়েছেন। আজ তাঁরা চাকরিচ্যুতির বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর চাকরিচ্যুতির এই আদেশ প্রত্যাহার ও তাঁদের আগের দাবি আদায়ে তাঁরা বিদ্যুৎ শাটডাউন রাখার মতো কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। তাঁরা ঢাকায় বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ঘেরাও করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আগামী রোববার থেকে এ কর্মসূচি চলবে।

রাজশাহী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জ্যেষ্ঠ মহাব্যবস্থাপক রমেন্দ্র চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর পাচ্ছি। ইতোমধ্যে কয়েকটি উপজেলায় বিদ্যুৎ বন্ধ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ চালুর চেষ্টা চলছে, তবে এখনও পর্যন্ত কোথাও চালু করতে পারিনি।’

জানতে চাইলে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সচিব হাসিনা বেগম বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ শাটডাউন করে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর পাচ্ছি। বিদ্যুৎ চালু করার ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। মাঠপর্যায়ের সমিতির অফিসগুলো এ নিয়ে কাজ করছে। বিস্তারিত বোর্ডের জনসংযোগ শাখা বলবে।