Dhaka বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পর্তুগালের ইউরো জয় বিশ্বকাপ জয়ের সমান : রোনালদো

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০২:১৬:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ২২১ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

গত প্রায় দুই দশক বিশ্ব ফুটবলে নিজেদের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং লিওনেল মেসি। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এ দুই তারকা দীর্ঘ সময় একই লিগে খেলেছেন, ফলে দুজনের দ্বৈরথ আরও বেশি জমজমাট হয়েছিল। মাঠের খেলায় একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগীতায়ই ছিলেন এ দুজন। ফলে দুজনের মধ্যে কে সেরা এই প্রশ্নও ছিল সবসময়ই।

তবে কাতার বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্য নিয়ে কে সেরা- সেই বিতর্কের ইতি টেনেছেন মেসি। আন্তর্জাতিক এবং ক্লাব ফুটবল মিলিয়ে সম্ভাব্য সব শিরোপা জেতা মেসিকেই এখন সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে গণ্য করেন অনেক সমর্থক।

অন্যদিকে বিশ্বকাপ না জিততে পারা রোনালদো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সর্বোচ্চ সাফল্য পেয়েছেন ইউরোতে। ২০১৬ সালে এ প্রতিযোগীতায় চ্যাম্পিয়ন হয় পর্তুগাল। এরপর নিজ দেশের হয়ে নেশন্স লিগের শিরোপাও জিতেছেন রোনালদো।

এবার আরও একবার নেশন্স লিগে খেলতে নেমেছেন রোনালদো। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে গোল করেছেন তিনি যা তাঁর ক্যারিয়ারের ৯০০তম গোল। তাঁর এই মাইলফলক ছোঁয়ার দিনে পর্তুগাল ম্যাচটি জিতে নিয়েছে ২-১ গোলে। ৩৯ বছর বয়সী পর্তুগীজ এ মহাতারকা এবারই শেষবারের মত এ প্রতিযোগীতায় খেলবেন এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে চল্লিশের কাছাকাছি বয়সে এসেও ফুটবল মাঠে দাপিয়ে বেড়ানো রোনালদো আগামী বিশ্বকাপেও খেলবেন কি না এমন প্রশ্নও ভক্তদের প্রায়ই করতে দেখা যায়। গতকাল ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের পরও তাকে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে। জবাবে রোনালদো বলেন, পর্তুগালের একটা ইউরো (চ্যাম্পিয়নশিপ) জেতাই বিশ্বকাপ জয়ের সমান। আমি পর্তুগালের হয়ে দুটি ট্রফি জিতেছি, যা সত্যিই চেয়েছিলাম।

ফুটবল খেলা উপভোগ করেন জানিয়ে রোনালদো আরও বলেন, এসব আমাকে অনুপ্রাণিত করে না। আমি ফুটবল উপভোগ করি। এটাই আমাকে অনুপ্রেরণা জোগায়। রেকর্ডগুলো প্রাকৃতিক উপায়েই হয়। আমি রেকর্ডের পেছনে ছুটি না, রেকর্ডই আমার পেছনে ছোটে।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, রোনালদোর কথার সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যায় তারই একসময়ের ভক্ত কিলিয়ান এমবাপ্পের কথাতেও। গত জুনে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার মতে, বিশ্বকাপের চেয়ে ইউরো অনেক বেশি জটিল। যদিও বিশ্বকাপের চাপ অনেক বেশি। তবে ইউরোর দলগুলোর কথা চিন্তা করলে দুইটা কৌশলগতভাবে একই। ‘

এমবাপ্পে ২০১৮ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সেই বিশ্বকাপ জেতার স্বাদ পেয়েছিলেন। এরপর ২০২২ বিশ্বকাপে তার দল ফাইনালে গিয়ে হারে আর্জেন্টিনার কাছে। সেই বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনার অধিনায়ক মেসি পরে এমবাপ্পের যুক্তি খণ্ডন করেন। তিনি বলেন, ইউরো অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এমবাপ্পে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল এবং উরুগুয়ের মতো তিন বিশ্বকাপজয়ী দলের কথা ভুলে গেছে। বিশ্বকাপে বিশ্বের সেরা দলগুলো খেলে। যে কারণে বিশ্বকাপ জেতা সবার স্বপ্ন।

শীর্ষ স্তরের ফুটবলে ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৩৩টি ট্রফি জিতেছেন রোনালদো। মেসি জিতেছেন রেকর্ড ৪৫টি। তবে ক্যারিয়ারে মেসির চেয়ে ৬২ গোল বেশি করেছেন তাঁর চেয়ে বয়সে ২ বছর ৪ মাসের বড় রোনালদো।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পর্তুগালের ইউরো জয় বিশ্বকাপ জয়ের সমান : রোনালদো

প্রকাশের সময় : ০২:১৬:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

গত প্রায় দুই দশক বিশ্ব ফুটবলে নিজেদের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং লিওনেল মেসি। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এ দুই তারকা দীর্ঘ সময় একই লিগে খেলেছেন, ফলে দুজনের দ্বৈরথ আরও বেশি জমজমাট হয়েছিল। মাঠের খেলায় একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগীতায়ই ছিলেন এ দুজন। ফলে দুজনের মধ্যে কে সেরা এই প্রশ্নও ছিল সবসময়ই।

তবে কাতার বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্য নিয়ে কে সেরা- সেই বিতর্কের ইতি টেনেছেন মেসি। আন্তর্জাতিক এবং ক্লাব ফুটবল মিলিয়ে সম্ভাব্য সব শিরোপা জেতা মেসিকেই এখন সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে গণ্য করেন অনেক সমর্থক।

অন্যদিকে বিশ্বকাপ না জিততে পারা রোনালদো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সর্বোচ্চ সাফল্য পেয়েছেন ইউরোতে। ২০১৬ সালে এ প্রতিযোগীতায় চ্যাম্পিয়ন হয় পর্তুগাল। এরপর নিজ দেশের হয়ে নেশন্স লিগের শিরোপাও জিতেছেন রোনালদো।

এবার আরও একবার নেশন্স লিগে খেলতে নেমেছেন রোনালদো। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে গোল করেছেন তিনি যা তাঁর ক্যারিয়ারের ৯০০তম গোল। তাঁর এই মাইলফলক ছোঁয়ার দিনে পর্তুগাল ম্যাচটি জিতে নিয়েছে ২-১ গোলে। ৩৯ বছর বয়সী পর্তুগীজ এ মহাতারকা এবারই শেষবারের মত এ প্রতিযোগীতায় খেলবেন এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে চল্লিশের কাছাকাছি বয়সে এসেও ফুটবল মাঠে দাপিয়ে বেড়ানো রোনালদো আগামী বিশ্বকাপেও খেলবেন কি না এমন প্রশ্নও ভক্তদের প্রায়ই করতে দেখা যায়। গতকাল ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের পরও তাকে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে। জবাবে রোনালদো বলেন, পর্তুগালের একটা ইউরো (চ্যাম্পিয়নশিপ) জেতাই বিশ্বকাপ জয়ের সমান। আমি পর্তুগালের হয়ে দুটি ট্রফি জিতেছি, যা সত্যিই চেয়েছিলাম।

ফুটবল খেলা উপভোগ করেন জানিয়ে রোনালদো আরও বলেন, এসব আমাকে অনুপ্রাণিত করে না। আমি ফুটবল উপভোগ করি। এটাই আমাকে অনুপ্রেরণা জোগায়। রেকর্ডগুলো প্রাকৃতিক উপায়েই হয়। আমি রেকর্ডের পেছনে ছুটি না, রেকর্ডই আমার পেছনে ছোটে।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, রোনালদোর কথার সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যায় তারই একসময়ের ভক্ত কিলিয়ান এমবাপ্পের কথাতেও। গত জুনে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার মতে, বিশ্বকাপের চেয়ে ইউরো অনেক বেশি জটিল। যদিও বিশ্বকাপের চাপ অনেক বেশি। তবে ইউরোর দলগুলোর কথা চিন্তা করলে দুইটা কৌশলগতভাবে একই। ‘

এমবাপ্পে ২০১৮ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সেই বিশ্বকাপ জেতার স্বাদ পেয়েছিলেন। এরপর ২০২২ বিশ্বকাপে তার দল ফাইনালে গিয়ে হারে আর্জেন্টিনার কাছে। সেই বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনার অধিনায়ক মেসি পরে এমবাপ্পের যুক্তি খণ্ডন করেন। তিনি বলেন, ইউরো অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এমবাপ্পে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল এবং উরুগুয়ের মতো তিন বিশ্বকাপজয়ী দলের কথা ভুলে গেছে। বিশ্বকাপে বিশ্বের সেরা দলগুলো খেলে। যে কারণে বিশ্বকাপ জেতা সবার স্বপ্ন।

শীর্ষ স্তরের ফুটবলে ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৩৩টি ট্রফি জিতেছেন রোনালদো। মেসি জিতেছেন রেকর্ড ৪৫টি। তবে ক্যারিয়ারে মেসির চেয়ে ৬২ গোল বেশি করেছেন তাঁর চেয়ে বয়সে ২ বছর ৪ মাসের বড় রোনালদো।