Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পরীক্ষামূলকভাবে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলবে জুলাইয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আগামী জুলাইয়ে মতিঝিল থেকে মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডে (ডিএমটিসিএল)। তবে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু হবে আগামী ডিসেম্বর নাগাদ। এখন পর্যন্ত মতিঝিল থেকে কমলাপুর অংশের কাজ চলমান রয়েছে।

সোমবার (৩ এপ্রিল) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডে (ডিএমটিসিএল) গণসংযোগ বিভাগ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

উত্তরা থেকে আগারগাঁও রুটে যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে মেট্রোরেল। অন্যদিকে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৯২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। যাত্রী উঠানামার এক্সিট-এন্ট্রি আর ছোটখাটো কিছু কাজ বাদে দ্বিতীয় ধাপের স্টেশনগুলোতে গড়ে ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগের।

প্রস্তুত উড়াল রেললাইন, বিদ্যুৎ সঞ্চালন ক্যাবল কিংবা দ্বিতীয় ধাপের ৭টি স্টেশন। এখন শুধু অপেক্ষা মেট্রোরেলের জন্য।

মেট্রোরেল লাইন-৬ এর উপ প্রকল্প পরিচালক (গণসংযোগ) নাজমুল ইসলাম ভূইয়া জাগোনিউজকে বলেন, জুলাই মাস থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে মেট্রোরেল চলাচল করবে। হাতে সময়ও নেই। তবে পরীক্ষামূলকভাবে মতিঝিল পর্যন্ত চলাচলের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হওয়ার পর আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু এখন তবে মতিঝিল থেকে মেট্রোরেল চলাচল করবে।

আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পুরো ৮ কিলোমিটারের বেশি অংশের উড়ালপথ নির্মাণকাজ শেষ। এর ওপর বসে গেছে আসা যাওয়ার জন্য ১৬ দশমিক ১৯ কিলোমিটার ট্র্যাক রেললাইন।
আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশে মতিঝিল রিসিভিং সাব-স্টেশনের ভবন নির্মাণ সম্পন্ন করে যাবতীয় বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি স্থাপন ও ১৩২ কেভি ক্যাবল লেইং-এর কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

মেট্রোলাইনের এই অংশে মতিঝিলে নির্মিত ১৩২ কিলো ভোল্ট সাব স্টেশন থেকে শক্তি যোগান আসবে। সাব স্টেশন থেকে মেট্রোর বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে উচ্চগতির ক্যাবল টানাসহ সকল সরঞ্জাম বসানো হয়ে গেছে। এর আগে মেট্রোতে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য রেল-ট্র্যাকের ওপর দিয়ে টানা আগারগাঁও থেকে মতিঝিল ১৬ কিলোমিটারের বেশি অংশের ওসিএস ক্যাবল টানার কাজ শেষ হয়েছে।

সবমিলিয়ে ইলেকট্রিক্যাল আর মেক্যানিক্যাল অংশের ছোটখাটো ১০ শতাংশেরও কম কাজ বাকি আছে। এসব কাজ তিন মাসের মধ্যেই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়ক চার লেন দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন 

পরীক্ষামূলকভাবে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলবে জুলাইয়ে

প্রকাশের সময় : ১২:৫৬:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আগামী জুলাইয়ে মতিঝিল থেকে মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডে (ডিএমটিসিএল)। তবে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু হবে আগামী ডিসেম্বর নাগাদ। এখন পর্যন্ত মতিঝিল থেকে কমলাপুর অংশের কাজ চলমান রয়েছে।

সোমবার (৩ এপ্রিল) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডে (ডিএমটিসিএল) গণসংযোগ বিভাগ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

উত্তরা থেকে আগারগাঁও রুটে যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে মেট্রোরেল। অন্যদিকে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৯২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। যাত্রী উঠানামার এক্সিট-এন্ট্রি আর ছোটখাটো কিছু কাজ বাদে দ্বিতীয় ধাপের স্টেশনগুলোতে গড়ে ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগের।

প্রস্তুত উড়াল রেললাইন, বিদ্যুৎ সঞ্চালন ক্যাবল কিংবা দ্বিতীয় ধাপের ৭টি স্টেশন। এখন শুধু অপেক্ষা মেট্রোরেলের জন্য।

মেট্রোরেল লাইন-৬ এর উপ প্রকল্প পরিচালক (গণসংযোগ) নাজমুল ইসলাম ভূইয়া জাগোনিউজকে বলেন, জুলাই মাস থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে মেট্রোরেল চলাচল করবে। হাতে সময়ও নেই। তবে পরীক্ষামূলকভাবে মতিঝিল পর্যন্ত চলাচলের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হওয়ার পর আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু এখন তবে মতিঝিল থেকে মেট্রোরেল চলাচল করবে।

আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পুরো ৮ কিলোমিটারের বেশি অংশের উড়ালপথ নির্মাণকাজ শেষ। এর ওপর বসে গেছে আসা যাওয়ার জন্য ১৬ দশমিক ১৯ কিলোমিটার ট্র্যাক রেললাইন।
আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশে মতিঝিল রিসিভিং সাব-স্টেশনের ভবন নির্মাণ সম্পন্ন করে যাবতীয় বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি স্থাপন ও ১৩২ কেভি ক্যাবল লেইং-এর কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

মেট্রোলাইনের এই অংশে মতিঝিলে নির্মিত ১৩২ কিলো ভোল্ট সাব স্টেশন থেকে শক্তি যোগান আসবে। সাব স্টেশন থেকে মেট্রোর বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে উচ্চগতির ক্যাবল টানাসহ সকল সরঞ্জাম বসানো হয়ে গেছে। এর আগে মেট্রোতে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য রেল-ট্র্যাকের ওপর দিয়ে টানা আগারগাঁও থেকে মতিঝিল ১৬ কিলোমিটারের বেশি অংশের ওসিএস ক্যাবল টানার কাজ শেষ হয়েছে।

সবমিলিয়ে ইলেকট্রিক্যাল আর মেক্যানিক্যাল অংশের ছোটখাটো ১০ শতাংশেরও কম কাজ বাকি আছে। এসব কাজ তিন মাসের মধ্যেই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।