Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ইলেকট্রনিক টোল আদায় শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার করে চলন্ত গাড়ি থেকে টোল আদায় তথা ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন সিস্টেম-ইটিসিএস পরীক্ষামূলক শুরু।

বুধবার (৫ জুলাই) সকাল ১০টা ২৩ মিনিটে পরীক্ষামূলকভাবে ইলেকট্রনিক টোল দিয়ে এ সেতু পার হন সেতু সচিব মো. মঞ্জুর হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন সিস্টেমের (ইটিসিএস) কার্যক্রম পরীক্ষা করা হয়।

রেডিও ফ্রিকিউয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন-আরএফআইডি পদ্ধতিতে দুই পাড়ে একটি করে বুথে এই টোল আদায় শুরু হয়েছে। এই পদ্ধতির জন্য রেজিস্ট্রেশন করা গাড়ি টোল প্লাজার সামনে আসতেই রোবটিক ক্যামেরা গাড়ি শনাক্ত করবে। নির্ধারিত টোল কাটা হলে ব্যারিয়ার উঠবে এবং স্ক্রিনে ব্যালেন্স দেখা যাবে। এছাড়া হাইব্রিড সিস্টেম-টাচ অ্যান্ড গো পদ্ধতিও থাকবে। কার্ডে ব্যালেন্স থাকলে টাচে ক্যাশলেস টোল দেওয়া যাবে। কেউ চাইলে ক্যাশেও টোল দিতে পারবেন। নতুন এ দুই পদ্ধতি চালু হলে টোল প্লাজা অতিক্রমে কোনো সময় অপচয় হবে না। এতে ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তা সারিয়ে নিয়মিত কার্যক্রম চালু করা হবে।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী বলেন, বর্তমানে কমিপউটার কালেক্টর পদ্ধতিতে ম্যানুয়ালি আদায় হচ্ছে টোল। পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে এখন ১৫টি লেন দিয়ে টোল আদায় করা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া আধুনিক করার ক্ষেত্রে ১৭টি লেন চালু থাকবে। পরিকল্পনা রয়েছে—মাওয়া প্রান্তে ১ নম্বর বুথে আরএফআইডি, ২ নম্বর বুথে হাইব্রিড অর্থাৎ আরএফআইডি, টাচ অ্যান্ড গো এবং ক্যাশ তিন পদ্ধতিই থাকবে। আর ৩ থেকে ৭ নম্বর মোট ৫টি বুথে থাকবে টাচ অ্যান্ড গো এবং ক্যাশ । বাকি ৮ নম্বর বুথে শুধু মোটরসাইকেলের জন্য কমিপউটার কালেক্টর পদ্ধতিতে ম্যানুয়ালি বর্তমান সিস্টেমে টোল আদায় করা হবে। একইভাবে জাজিরা প্রান্তে টোল আদায় হবে। তবে এই প্রান্তের ৯টি বুথ থাকবে। এখানে ৮ ও ৯ নম্বর বুথে কমিপউটার কালেক্টর পদ্ধতিতে ম্যানুয়ালি নগদ টাকা আদায় করা হবে। এই টোল আদায়ের জন্য কার্ড এবং রেজিস্ট্রেশনের জন্য মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতু উত্তর থানার কাছে কাউন্টার চালু করা হবে। বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ‘একপে’ কার্ড এবং রেজিস্ট্রেশনের কাজটা করার কথা রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, যানবাহনের সামনে ড্যাশবোর্ডে থাকবে। আরএফআইডি নম্বর সংযুক্ত হবে ব্যাংক হিসাবে। এই আইডিতে অগ্রিম টাকাও রিচার্জ করা যাবে। বিশ্বের জনপ্রিয় এই দুই পদ্ধতি শুরু হচ্ছে। এই টোল পদ্ধতিতে অপেক্ষায় থাকতে হবে না। প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের খবরে খুশি ব্যবহারকারীরাও।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ইলেকট্রনিক টোল আদায় শুরু

প্রকাশের সময় : ১২:৩৩:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার করে চলন্ত গাড়ি থেকে টোল আদায় তথা ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন সিস্টেম-ইটিসিএস পরীক্ষামূলক শুরু।

বুধবার (৫ জুলাই) সকাল ১০টা ২৩ মিনিটে পরীক্ষামূলকভাবে ইলেকট্রনিক টোল দিয়ে এ সেতু পার হন সেতু সচিব মো. মঞ্জুর হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন সিস্টেমের (ইটিসিএস) কার্যক্রম পরীক্ষা করা হয়।

রেডিও ফ্রিকিউয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন-আরএফআইডি পদ্ধতিতে দুই পাড়ে একটি করে বুথে এই টোল আদায় শুরু হয়েছে। এই পদ্ধতির জন্য রেজিস্ট্রেশন করা গাড়ি টোল প্লাজার সামনে আসতেই রোবটিক ক্যামেরা গাড়ি শনাক্ত করবে। নির্ধারিত টোল কাটা হলে ব্যারিয়ার উঠবে এবং স্ক্রিনে ব্যালেন্স দেখা যাবে। এছাড়া হাইব্রিড সিস্টেম-টাচ অ্যান্ড গো পদ্ধতিও থাকবে। কার্ডে ব্যালেন্স থাকলে টাচে ক্যাশলেস টোল দেওয়া যাবে। কেউ চাইলে ক্যাশেও টোল দিতে পারবেন। নতুন এ দুই পদ্ধতি চালু হলে টোল প্লাজা অতিক্রমে কোনো সময় অপচয় হবে না। এতে ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তা সারিয়ে নিয়মিত কার্যক্রম চালু করা হবে।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী বলেন, বর্তমানে কমিপউটার কালেক্টর পদ্ধতিতে ম্যানুয়ালি আদায় হচ্ছে টোল। পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে এখন ১৫টি লেন দিয়ে টোল আদায় করা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া আধুনিক করার ক্ষেত্রে ১৭টি লেন চালু থাকবে। পরিকল্পনা রয়েছে—মাওয়া প্রান্তে ১ নম্বর বুথে আরএফআইডি, ২ নম্বর বুথে হাইব্রিড অর্থাৎ আরএফআইডি, টাচ অ্যান্ড গো এবং ক্যাশ তিন পদ্ধতিই থাকবে। আর ৩ থেকে ৭ নম্বর মোট ৫টি বুথে থাকবে টাচ অ্যান্ড গো এবং ক্যাশ । বাকি ৮ নম্বর বুথে শুধু মোটরসাইকেলের জন্য কমিপউটার কালেক্টর পদ্ধতিতে ম্যানুয়ালি বর্তমান সিস্টেমে টোল আদায় করা হবে। একইভাবে জাজিরা প্রান্তে টোল আদায় হবে। তবে এই প্রান্তের ৯টি বুথ থাকবে। এখানে ৮ ও ৯ নম্বর বুথে কমিপউটার কালেক্টর পদ্ধতিতে ম্যানুয়ালি নগদ টাকা আদায় করা হবে। এই টোল আদায়ের জন্য কার্ড এবং রেজিস্ট্রেশনের জন্য মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতু উত্তর থানার কাছে কাউন্টার চালু করা হবে। বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ‘একপে’ কার্ড এবং রেজিস্ট্রেশনের কাজটা করার কথা রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, যানবাহনের সামনে ড্যাশবোর্ডে থাকবে। আরএফআইডি নম্বর সংযুক্ত হবে ব্যাংক হিসাবে। এই আইডিতে অগ্রিম টাকাও রিচার্জ করা যাবে। বিশ্বের জনপ্রিয় এই দুই পদ্ধতি শুরু হচ্ছে। এই টোল পদ্ধতিতে অপেক্ষায় থাকতে হবে না। প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের খবরে খুশি ব্যবহারকারীরাও।