Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পদত্যাগ করে সংলাপ ডাকুন : পেশাজীবী পরিষদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন পেশাজীবী নেতারা। পাশাপাশি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিলও দ্রুত বাতিল করার দাবি জানান তারা।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের (বিএসপিপি) এক সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘নির্বিচারে পেশাজীবীদের গ্রেপ্তার-নির্যাতন বন্ধ, একতরফা নির্বাচনের তফসিল বাতিল, নির্দলীয় সরকারের অধীনে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে’ এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের করেন পেশাজীবী নেতারা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. তাজমেরী এসএ ইসলাম বলেন, দেশে যখন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস হয়, রাষ্ট্র থেকে যখন গণতন্ত্র বিদায় হয়, সরকার যখন বিপদগামী হয়, গণতন্ত্র থেকে সরে যায় তখনই প্রশাসনের নেতারা বিপথগামী সরকারকে সঠিক পথে আনার জন্য সংগ্রাম করেছেন। সেই সুবাদে আজকের এ সংগ্রাম গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। এ সংগ্রাম জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। আপনারা জানেন গত দুইটি নির্বাচন ২০১৪ ও ২০১৮ পরে জনগণ আবার চায় তাদের ভোট দিতে। তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে চাই। তারা চায় জনগণের সরকার ও গণতন্ত্রের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে। গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে চায়। এরকম একটি অবস্থা যখন বিদ্যমান তখন এ সংগ্রামে যারা আছেন পেশাজীবীদের ওপর পুঁজিবাদীরা জেল জুলুম অত্যাচারে অনেকেই কারাগারে বন্দি আছেন।

তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির একটি সমাবেশ ছিল। সে সমাবেশে একটি গোলযোগ-গোলমাল লাগিয়ে সমাবেশটা অসমাপ্তভাবে শেষ করা হলো। নাটকীয়ভাবে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের কারাবন্দি করা হলো। আরেকটি নাটকীয়ভাবে তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলো।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাদা দলের সাবেক এ নেত্রী বলেন, তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলো। এ তফসিল বন্ধ করতে হবে। নতুন করে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। এ পরিস্থিতি ও পরিবেশে জনগণ নিরাপদে ও স্বস্তিতে ভোট দিতে পারবে না। যেখানে সমস্ত রাজনীতিবিদরা কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। সেরকম একটা পরিস্থিতি তৈরি করে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। তাহলে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।

অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, আমরা পেশাজীবীরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনে আছি। আমাদের দাবি হলো- বর্তমানে জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদেরকে মুক্তি ও ঘোষিত নির্বাচনের তপশিল বাতিল করতে হবে।

পেশাজীবীদের হয়রানি বন্ধ করে অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তি দিয়ে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানিয়ে দ্বাদশ সংসদের ঘোষিত তপশিল বাতিলের আহ্বান জানান বিএসপিপির সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. আবদুল কুদ্দুস বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে ক্ষমতাসীনদের ইন্ধনে পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়েছে। আজকে বিএনপির সকল কার্যালয়ে তালা দেয়া হয়েছে। এদিকে একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। কিন্তু জনগণ এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না।

ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, আমরা পেশাজীবীরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনে আছি। আমাদের দাবি হলো-বর্তমানে জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদেরকে মুক্তি ও ঘোষিত নির্বাচনের তফসিল বাতিল করতে হবে। এটা হচ্ছে দেশের জনগণের প্রধান দাবি।

সভাপতির বক্তব্যে সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী বলেন, আজকে পেশাজীবীদের নানাভাবে নির্যাতন-নিপীড়ন করা হচ্ছে। কারণ আমরা জনগণের পক্ষে ও গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলি। আপনারা পেশাজীবীদের গ্রেপ্তার করবেন আবার নির্বাচন করবেন। এটা ভুলে যান যে দেশে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন আর হবে না। সুতরাং নির্বাচনের তফসিল বাতিল করুন। পেশাজীবীদের ওপর হামলাসহ নির্যাতন বন্ধ করুন এবং গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দিতে হবে।

বিএসপিপির সাবেক আহ্বায়ক সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে ও বিএসপিপির সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি মো. শহীদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. খুরশিদ আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (এ্যাব) সভাপতি প্রকৌশলী মো. রিয়াজুল ইসলাম রিজু, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের অধ্যাপক শামসুল আলম ও অধ্যাপক মো. কামরুল আহসান, এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (অ্যাব) কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন ও ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) ডা. এমএ সেলিম, ডা. শহিদ হাসান, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. মো. মেহেদী হাসান, ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

পদত্যাগ করে সংলাপ ডাকুন : পেশাজীবী পরিষদ

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৬:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন পেশাজীবী নেতারা। পাশাপাশি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিলও দ্রুত বাতিল করার দাবি জানান তারা।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের (বিএসপিপি) এক সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘নির্বিচারে পেশাজীবীদের গ্রেপ্তার-নির্যাতন বন্ধ, একতরফা নির্বাচনের তফসিল বাতিল, নির্দলীয় সরকারের অধীনে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে’ এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের করেন পেশাজীবী নেতারা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. তাজমেরী এসএ ইসলাম বলেন, দেশে যখন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস হয়, রাষ্ট্র থেকে যখন গণতন্ত্র বিদায় হয়, সরকার যখন বিপদগামী হয়, গণতন্ত্র থেকে সরে যায় তখনই প্রশাসনের নেতারা বিপথগামী সরকারকে সঠিক পথে আনার জন্য সংগ্রাম করেছেন। সেই সুবাদে আজকের এ সংগ্রাম গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। এ সংগ্রাম জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। আপনারা জানেন গত দুইটি নির্বাচন ২০১৪ ও ২০১৮ পরে জনগণ আবার চায় তাদের ভোট দিতে। তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে চাই। তারা চায় জনগণের সরকার ও গণতন্ত্রের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে। গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে চায়। এরকম একটি অবস্থা যখন বিদ্যমান তখন এ সংগ্রামে যারা আছেন পেশাজীবীদের ওপর পুঁজিবাদীরা জেল জুলুম অত্যাচারে অনেকেই কারাগারে বন্দি আছেন।

তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির একটি সমাবেশ ছিল। সে সমাবেশে একটি গোলযোগ-গোলমাল লাগিয়ে সমাবেশটা অসমাপ্তভাবে শেষ করা হলো। নাটকীয়ভাবে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের কারাবন্দি করা হলো। আরেকটি নাটকীয়ভাবে তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলো।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাদা দলের সাবেক এ নেত্রী বলেন, তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলো। এ তফসিল বন্ধ করতে হবে। নতুন করে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। এ পরিস্থিতি ও পরিবেশে জনগণ নিরাপদে ও স্বস্তিতে ভোট দিতে পারবে না। যেখানে সমস্ত রাজনীতিবিদরা কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। সেরকম একটা পরিস্থিতি তৈরি করে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। তাহলে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।

অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, আমরা পেশাজীবীরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনে আছি। আমাদের দাবি হলো- বর্তমানে জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদেরকে মুক্তি ও ঘোষিত নির্বাচনের তপশিল বাতিল করতে হবে।

পেশাজীবীদের হয়রানি বন্ধ করে অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তি দিয়ে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানিয়ে দ্বাদশ সংসদের ঘোষিত তপশিল বাতিলের আহ্বান জানান বিএসপিপির সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. আবদুল কুদ্দুস বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে ক্ষমতাসীনদের ইন্ধনে পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়েছে। আজকে বিএনপির সকল কার্যালয়ে তালা দেয়া হয়েছে। এদিকে একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। কিন্তু জনগণ এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না।

ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, আমরা পেশাজীবীরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনে আছি। আমাদের দাবি হলো-বর্তমানে জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদেরকে মুক্তি ও ঘোষিত নির্বাচনের তফসিল বাতিল করতে হবে। এটা হচ্ছে দেশের জনগণের প্রধান দাবি।

সভাপতির বক্তব্যে সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী বলেন, আজকে পেশাজীবীদের নানাভাবে নির্যাতন-নিপীড়ন করা হচ্ছে। কারণ আমরা জনগণের পক্ষে ও গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলি। আপনারা পেশাজীবীদের গ্রেপ্তার করবেন আবার নির্বাচন করবেন। এটা ভুলে যান যে দেশে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন আর হবে না। সুতরাং নির্বাচনের তফসিল বাতিল করুন। পেশাজীবীদের ওপর হামলাসহ নির্যাতন বন্ধ করুন এবং গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দিতে হবে।

বিএসপিপির সাবেক আহ্বায়ক সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে ও বিএসপিপির সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি মো. শহীদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. খুরশিদ আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (এ্যাব) সভাপতি প্রকৌশলী মো. রিয়াজুল ইসলাম রিজু, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের অধ্যাপক শামসুল আলম ও অধ্যাপক মো. কামরুল আহসান, এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (অ্যাব) কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন ও ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) ডা. এমএ সেলিম, ডা. শহিদ হাসান, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. মো. মেহেদী হাসান, ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম প্রমুখ।