স্পোর্টস ডেস্ক :
অবশেষে পদত্যাগ করলেন ‘চুমুকাণ্ডে’ সমালোচিত স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস। সম্প্রতি নারী বিশ্বকাপের ফাইনাল শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান মঞ্চে জেনিফার হারমোসোকে চুমু দিয়েছিলেন তিনি। এরপর সমালোচনার মুখে পড়েন স্পেনের ফুটবল প্রধান। এই ঘটনায় প্রথমে পদত্যাগ করবেন না বলে জানিয়েছিলেন রুবিয়ালেস। তবে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করলেন এই ফুটবল সংগঠক।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে স্পেনের টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ ঘোষণা দেন।
রুবিয়ালেস বলেন, আমাদের নারী ফুটবল দলের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট পিয়ার্স মরগানকে আমি বলেছি আমার পক্ষে দায়িত্ব পালন আর সম্ভব নয়। কারণ যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে তা আর আমার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাও আমাকে পদত্যাগ করতে পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমার নিজের সত্যের ওপর আস্থা আছে এবং জেতার জন্য আমি নিজের শক্তি অনুযায়ী সবকিছু করব। আমার মেয়ে, পরিবার এবং যারা আমাকে ভালোবাসে, তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কেন এতদিন পর এ সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি এমন প্রশ্নের জবাবে রুবিয়ালেস বলেন, আমার বাবা এবং মেয়েদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তারা জানে, বিষয়টা আমাকে নিয়ে নয়। আর কিছু বন্ধুও বলেছে আমাকে যে নিজের মর্যাদার ওপর মনোযোগ দেওয়া দরকার এবং নিজের জীবন চালিয়ে নেওয়া দরকার। সবার কথা বিবেচনা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি।
প্রায় এক মাসে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে নারী ফুটবল বিশ্বকাফে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক শূন্য গোলে জয় পায় স্পেন। এরপর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ডিফেন্ডার জেনি হারমোসো জড়িয়ে চুম্বন করেন রুবিয়ালেস। এটা নিয়ে স্পেনের পাশাপাশি সারা বিশ্বে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ‘সেক্সিজম’ করেছেন। কারণ তিনি নারীদের জয়কে ‘স্বাভাবিকভাবে’ না দেখে ‘স্পেশাল’ করে তুলেছেন। অর্থাৎ তার কাজে নারীদের প্রতি প্রকারান্তরে অবাজ্ঞা প্রকাশ পেয়েছে।
তবে সমালোচনা শুরুর পর রুবিয়ালেস বারবার দাবি করেতে থাকেন, হারমোসোকে তিনি জোর করে চুম্বন দেননি। তা ছাড়া সমালোচকদের ইডিয়ট বলেও গালমন্দ করেন রুবিয়ালেস।
কিন্তু ৫ আগস্ট হারমোসো বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন রুবিয়ালেস। তা ছাড়া সমালোচনা শুরুর পরপরই স্পেনের নারী ফুটবল দলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে রুবিয়ালেসের দায়িত্ব স্থগিত করে ফিফা।