Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পত্র-পত্রিকায় আগের মতো কার্টুন দেখা যায় না : পরিকল্পনামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পত্র-পত্রিকায় আগের মতো কার্টুন দেখা যায় না বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মানিক মিয়া মিলনায়তনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সভাপতি প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট এম এ কুদ্দুসের সম্মানে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।কার্টুনিস্ট কুদ্দুস ঢাকাস্থ রাজবাড়ী জেলা সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন।

এম এ মান্নান বলেন, একটি কার্টুনের মাধ্যমে হাজারও শব্দের চেয়েও বেশি কিছু বোঝানো যায়। কিন্তু বর্তমানে পত্র-পত্রিকায় আগের মতো কার্টুন দেখি না।আগে বেশি দেখা যেত। পশ্চিমা জগতে কার্টুনের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। একটি ছবি দিয়ে অনেক শব্দের চেয়েও বেশি কিছু বোঝানো যায়। আর একটা কার্টুন দিয়ে মিলিয়ন শব্দ বোঝানো যায়। এই মাধ্যমের সৃজনশীল স্রষ্টা ছিলেন এম এ কুদ্দুস।

অনেকেই বলেন আমি সাংবাদিক বান্ধব, এটা আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানের। লক্ষ কোটি টাকা দিয়ে আমরা কি কাজ করছি, কেন করছি, সেই টাকার মালিক জনগণের সেটা জানার অধিকার ও প্রয়োজন আছে। মানুষের জানার বাহক সাংবাদিকরা। সাংবাদিকদের কাছ থেকে আমিও জানি। আমি নিজের প্রয়োজন এবং জানার জন্য, ভালোবাসার জন্য সাংবাদিকদের সাথে মেশার চেষ্টা করি।

সাংবাদিকদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনাদের (সাংবাদিকদের) ওয়েজ বোর্ডের ব্যাপারে মাঝে মাঝে শুনি। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট না হওয়ার কারণে আমার গভীর জ্ঞান নেই, তবে এটাও জানি ওয়েজবোর্ড ঘোষণা হয়, কিন্তু বাস্তবায়ন হয় না। এটাও মাঝে মাঝে পড়ি, ওয়েজবোর্ড ঘোষণা হয়, কেউ এটা মানে, কেউ মানে না। ওয়েজবোর্ড যেহেতু সবার সাথে আলোচনা করেই হয়েছে, তাহলে মানবে না কেন? না মানার স্কোপ কোথায়? সাংবাদিকতা পেশায় নিরাপত্তার জন্য ওয়েজবোর্ডের প্রয়োজনীয়তা আছে, এটা আমি বুঝতে পারি। আমি নিজেও সরকারি চাকরি করেছি, আমরা যেমন নিরাপত্তা পাই, আপনারা সাংবাদিকরা তেমনটা পান না। আবার কেউ কেউ নানা শর্টকাট উপায়ে অনেক দূর চলে যান। কিন্তু যারা মূল ধারার সাংবাদিকতা করে তাদের জীবন অনেক ঝড়-ঝাপটার। আমার ছোটবেলার অনেক সাংবাদিক বন্ধুদের দেখেছি ঢাকায় তারা অনেক কষ্ট করেছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের দেশে পরিবর্তন হচ্ছে। সার্বিকভাবে দেশের ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে। অস্বীকার করবো না সেখানে অনেক গ্যাপ আছে, দৃশ্যমান ঘাটতি আছে, অন্যায় আছে। বাংলাদেশ সৃষ্টির তার থেকে বর্তমান সময়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছে এটা নিশ্চিত। সেখানে এই পেশায় আপনারা যারা ভূমিকা পালন করছেন, আপনাদের প্রতি সমাজের এবং রাষ্ট্রের অবশ্যই দায়িত্ব আছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতি-রাজনীতিতে কার্টুনের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকাস্থ রাজবাড়ী জেলা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী হক। পরিচালনা করেন সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রিমন রহমান। আলোচনা করেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আব্দুল লতিফ মোল্লা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজা, রওনক হাসান এবং প্রয়াত কার্টুনিস্ট এম এ কুদ্দুসের স্ত্রী তানিয়া কুদ্দুস।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

পত্র-পত্রিকায় আগের মতো কার্টুন দেখা যায় না : পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৬:০৭:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পত্র-পত্রিকায় আগের মতো কার্টুন দেখা যায় না বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মানিক মিয়া মিলনায়তনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সভাপতি প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট এম এ কুদ্দুসের সম্মানে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।কার্টুনিস্ট কুদ্দুস ঢাকাস্থ রাজবাড়ী জেলা সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন।

এম এ মান্নান বলেন, একটি কার্টুনের মাধ্যমে হাজারও শব্দের চেয়েও বেশি কিছু বোঝানো যায়। কিন্তু বর্তমানে পত্র-পত্রিকায় আগের মতো কার্টুন দেখি না।আগে বেশি দেখা যেত। পশ্চিমা জগতে কার্টুনের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। একটি ছবি দিয়ে অনেক শব্দের চেয়েও বেশি কিছু বোঝানো যায়। আর একটা কার্টুন দিয়ে মিলিয়ন শব্দ বোঝানো যায়। এই মাধ্যমের সৃজনশীল স্রষ্টা ছিলেন এম এ কুদ্দুস।

অনেকেই বলেন আমি সাংবাদিক বান্ধব, এটা আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানের। লক্ষ কোটি টাকা দিয়ে আমরা কি কাজ করছি, কেন করছি, সেই টাকার মালিক জনগণের সেটা জানার অধিকার ও প্রয়োজন আছে। মানুষের জানার বাহক সাংবাদিকরা। সাংবাদিকদের কাছ থেকে আমিও জানি। আমি নিজের প্রয়োজন এবং জানার জন্য, ভালোবাসার জন্য সাংবাদিকদের সাথে মেশার চেষ্টা করি।

সাংবাদিকদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনাদের (সাংবাদিকদের) ওয়েজ বোর্ডের ব্যাপারে মাঝে মাঝে শুনি। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট না হওয়ার কারণে আমার গভীর জ্ঞান নেই, তবে এটাও জানি ওয়েজবোর্ড ঘোষণা হয়, কিন্তু বাস্তবায়ন হয় না। এটাও মাঝে মাঝে পড়ি, ওয়েজবোর্ড ঘোষণা হয়, কেউ এটা মানে, কেউ মানে না। ওয়েজবোর্ড যেহেতু সবার সাথে আলোচনা করেই হয়েছে, তাহলে মানবে না কেন? না মানার স্কোপ কোথায়? সাংবাদিকতা পেশায় নিরাপত্তার জন্য ওয়েজবোর্ডের প্রয়োজনীয়তা আছে, এটা আমি বুঝতে পারি। আমি নিজেও সরকারি চাকরি করেছি, আমরা যেমন নিরাপত্তা পাই, আপনারা সাংবাদিকরা তেমনটা পান না। আবার কেউ কেউ নানা শর্টকাট উপায়ে অনেক দূর চলে যান। কিন্তু যারা মূল ধারার সাংবাদিকতা করে তাদের জীবন অনেক ঝড়-ঝাপটার। আমার ছোটবেলার অনেক সাংবাদিক বন্ধুদের দেখেছি ঢাকায় তারা অনেক কষ্ট করেছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের দেশে পরিবর্তন হচ্ছে। সার্বিকভাবে দেশের ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে। অস্বীকার করবো না সেখানে অনেক গ্যাপ আছে, দৃশ্যমান ঘাটতি আছে, অন্যায় আছে। বাংলাদেশ সৃষ্টির তার থেকে বর্তমান সময়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছে এটা নিশ্চিত। সেখানে এই পেশায় আপনারা যারা ভূমিকা পালন করছেন, আপনাদের প্রতি সমাজের এবং রাষ্ট্রের অবশ্যই দায়িত্ব আছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতি-রাজনীতিতে কার্টুনের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকাস্থ রাজবাড়ী জেলা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী হক। পরিচালনা করেন সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রিমন রহমান। আলোচনা করেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আব্দুল লতিফ মোল্লা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজা, রওনক হাসান এবং প্রয়াত কার্টুনিস্ট এম এ কুদ্দুসের স্ত্রী তানিয়া কুদ্দুস।