Dhaka রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোবেলের স্ত্রীও আমাদের কাছে অজস্র অভিযোগ করেছে: ডিবি প্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, সে (নোবেল) যে বিভিন্ন জায়গায় স্টেজ প্রোগ্রাম করতে গিয়ে মাতাল অবস্তায় স্টেজ ভেঙে ফেলা। তারপর তার ওয়াইফকে প্রচণ্ড পরিমানে মারপিট করে বাসা থেকে বের করে দিয়েছে। সে আমাদের কাছে অজস্র অভিযোগ করেছে এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে আমরা তার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাত, টাকা নিয়ে প্রোগ্রাম না করা- এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে আমরা নিয়ে এসেছি। যেহেতু মামলা হয়েছে, মামলার প্রেক্ষিতে তাকে আমরা আদালতে প্রেরণ করব।

শনিবার (২০ মে) দুপুরে মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

নোবেলের স্ত্রী বিভিন্ন সময় অভিযোগ করেছেন যে, তার স্বামী প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার মদ্যপান করেন। তার পেছনে একটি বড় চক্র রয়েছে– এ বিষয়ে ডিবি কোনো তথ্য পেয়েছে কি না জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, এ বিষয়ে ওনার স্ত্রী বলতে পারবেন বিস্তারিত। তবে এসব অভিযোগ আমরা খতিয়ে দেখছি। তাকে রিমান্ডে এনে আমরা এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করব।

নোবেলকে গ্রেফতারের বিষয়ে হারুন অর রশীদ বলেন, নোবেল একজন প্রতিষ্ঠিত গায়ক। কিন্তু সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হাইস্কুলে সাবেক শিক্ষার্থীদের আয়োজনে গান গাওয়ার চুক্তি করেন। তাদের কাছ থেকে অগ্রিম ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা নেন। নিজেও যাওয়ার কথা জানিয়ে বিজ্ঞাপন দেন। কিন্তু অনুষ্ঠানে যাননি নোবেল। টাকা চাওয়ার পরে তাও ফেরত দেননি তিনি। এ ঘটনায় পরে মামলা হয়। কিন্তু মামলার পরও তিনি পুলিশ কিংবা আদালতে আত্মসমর্পণ করেননি।

তিনি বলেন, তিনি অনেক সময় টাকা নিয়ে প্রোগ্রাম করতে যান না। আর যদি যানও সেখানে গিয়ে অতিরিক্ত মদ্যপান করে প্রোগ্রামের মঞ্চে ভাঙচুর করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে আমরা বিভিন্ন সময় বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তার স্ত্রী আমাদের কাছে তিন-চার দিন এসেছেন। তিনি স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় মারধর করতেন, মারধর করার পর তাকে চিকিৎসাও করাতেন। তার স্ত্রী এসব বিষয়ে আমাদের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছে।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, নোবেলের সঙ্গে কথা বলে আমরা জানতে পেরেছি, তার জীবনে অধঃপতন নেমে এসেছে। তাকে প্রতিদিন মদপান করতে হয় এবং প্রতিদিন ৩-৪টি ঘুমের ওষুধ খেয়ে তাকে ঘুমাতে হয়। তিনি আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন, অন্য শিল্পীদের কাছ থেকে মদ্যপান, গাঁজা ও ইয়াবা সেবন শিখেছেন। আমরা তার কথায় বুঝতে পারি, তিনি এসব কারণে সারাদিন ঘুমান এবং ঘুমের কারণে টাকা নিয়ে প্রোগ্রাম করতে যেতে পারেন না। অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খাওয়ার কারণে প্রোগ্রামের তারিখ দিলেও তিনি যেতে পারেন না।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সেনাবাহিনীর সমর্থন না থাকলে এই সরকার টিকবে না : ফরহাদ মজহার

নোবেলের স্ত্রীও আমাদের কাছে অজস্র অভিযোগ করেছে: ডিবি প্রধান

প্রকাশের সময় : ০৪:২৫:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, সে (নোবেল) যে বিভিন্ন জায়গায় স্টেজ প্রোগ্রাম করতে গিয়ে মাতাল অবস্তায় স্টেজ ভেঙে ফেলা। তারপর তার ওয়াইফকে প্রচণ্ড পরিমানে মারপিট করে বাসা থেকে বের করে দিয়েছে। সে আমাদের কাছে অজস্র অভিযোগ করেছে এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে আমরা তার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাত, টাকা নিয়ে প্রোগ্রাম না করা- এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে আমরা নিয়ে এসেছি। যেহেতু মামলা হয়েছে, মামলার প্রেক্ষিতে তাকে আমরা আদালতে প্রেরণ করব।

শনিবার (২০ মে) দুপুরে মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

নোবেলের স্ত্রী বিভিন্ন সময় অভিযোগ করেছেন যে, তার স্বামী প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার মদ্যপান করেন। তার পেছনে একটি বড় চক্র রয়েছে– এ বিষয়ে ডিবি কোনো তথ্য পেয়েছে কি না জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, এ বিষয়ে ওনার স্ত্রী বলতে পারবেন বিস্তারিত। তবে এসব অভিযোগ আমরা খতিয়ে দেখছি। তাকে রিমান্ডে এনে আমরা এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করব।

নোবেলকে গ্রেফতারের বিষয়ে হারুন অর রশীদ বলেন, নোবেল একজন প্রতিষ্ঠিত গায়ক। কিন্তু সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হাইস্কুলে সাবেক শিক্ষার্থীদের আয়োজনে গান গাওয়ার চুক্তি করেন। তাদের কাছ থেকে অগ্রিম ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা নেন। নিজেও যাওয়ার কথা জানিয়ে বিজ্ঞাপন দেন। কিন্তু অনুষ্ঠানে যাননি নোবেল। টাকা চাওয়ার পরে তাও ফেরত দেননি তিনি। এ ঘটনায় পরে মামলা হয়। কিন্তু মামলার পরও তিনি পুলিশ কিংবা আদালতে আত্মসমর্পণ করেননি।

তিনি বলেন, তিনি অনেক সময় টাকা নিয়ে প্রোগ্রাম করতে যান না। আর যদি যানও সেখানে গিয়ে অতিরিক্ত মদ্যপান করে প্রোগ্রামের মঞ্চে ভাঙচুর করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে আমরা বিভিন্ন সময় বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তার স্ত্রী আমাদের কাছে তিন-চার দিন এসেছেন। তিনি স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় মারধর করতেন, মারধর করার পর তাকে চিকিৎসাও করাতেন। তার স্ত্রী এসব বিষয়ে আমাদের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছে।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, নোবেলের সঙ্গে কথা বলে আমরা জানতে পেরেছি, তার জীবনে অধঃপতন নেমে এসেছে। তাকে প্রতিদিন মদপান করতে হয় এবং প্রতিদিন ৩-৪টি ঘুমের ওষুধ খেয়ে তাকে ঘুমাতে হয়। তিনি আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন, অন্য শিল্পীদের কাছ থেকে মদ্যপান, গাঁজা ও ইয়াবা সেবন শিখেছেন। আমরা তার কথায় বুঝতে পারি, তিনি এসব কারণে সারাদিন ঘুমান এবং ঘুমের কারণে টাকা নিয়ে প্রোগ্রাম করতে যেতে পারেন না। অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খাওয়ার কারণে প্রোগ্রামের তারিখ দিলেও তিনি যেতে পারেন না।