Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেপালকে কাঁদিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ১ রানের জয়

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১১:৫৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪
  • ১৯৭ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

শেষ ওভারে দরকার ৮ রান। বার্টম্যানের প্রথম দুইটা বল ব্যাটে লাগাতে পারলেন না গুলশান ঝা। তৃতীয় বলটা ওয়াইড লেংথে ইয়র্কার। কভার দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠালেন ঝা। উল্লাসে ফেটে পড়লো নেপালের সমর্থকরা। পরের দুই বল থেকে ২ রান। শেষ বলটা ব্যাটেই পারলেন না ঝা। তাতেই তীরে এসে তরী ডুবলো নেপালের। ১ রানে হারের বেদনায় পুড়লো রোহিত পাউডেলের দল।

শনিবার (১৫ জুন) সেন্ট ভিনসেন্টের কিংস্টোনের আর্নোস ভ্যালে স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নেপালের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রানে থামতে হয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। জবাবে ওপেনিং জুটিতে দারুণ শুরুর পরও ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৪ রানে থামে নেপালের ইনিংস।

১১৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর ওপেনার কুশাল ভুর্তেল এবং আসিফ শেখ মিলে ৩৫ রানের জুটি গড়ে তোলেন। এর মধ্যে ১৩ রান করে আউট হন কুশল। একই ওভারে মাত্র ২ বল খেলে কোনো রান না করে আউট হয়ে যান অধিনায়ক রোহিত পাউডেল।

তবে আসিফ শেখ এবং অনিল শাহ মিলে দুর্দান্ত জুটি গড়ে তোলেন। এই জুটিতে নেপালের স্কোর ১৪তম ওভারে ৮৫ রানে চলে যায়। নিশ্চিত জিতে যাবে নেপাল- এমনটাই মনে হচ্ছিলো।

এমন সময়ই অকেশনাল বোলার এইডেন মারক্রাম বল করতে এসে ব্রেক থ্রু দিলেন। ২৪ বলে ২৭ রান করা অনিল শাহকে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন মার্কো ইয়ানসেনের হাতে। ৩টি বাউন্ডারি এবং ১টি ছক্কার মার মারেন তিনি।

জুটি ভাঙার পরই নেপাল ব্যাকফুটে চলে যায়। এ সময়ই স্পষ্ট হয়ে যায় অভিজ্ঞতা এবং অনভিজ্ঞতার পার্থক্য। তাবরিজ শামসির বলে ফিরে যান দিপেন্দ্র সিং আইরি (৬ রানে), আসিফ শেখ ৪৯ বলে ৪২ রানে। আসিফ শেখ আউট হতেই নেপালের আশা শেষ হয়ে যায়।

তবুও শেষ মুহূর্তে গুলশান ঝা এবং সম্পাল কামি মিলে চেষ্টা করেন নেপালকে জয় এনে দিতে। শেষ ওভারে প্রয়োজন হয় ৮ রান। গুলশান ঝা একটি বাউন্ডারি মেরে খেলা জমিয়ে দেন। তার আগের ওভারে ছক্কা মারেন সম্পাল কামি। তবে, ওটনিয়েল বার্টম্যানের কাছ থেকে শেষ ওভারে ৬ রানের বেশি নিতে পারলো না নেপালি ব্যাটাররা। ফলে ১ রানে জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

এর আগে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় নেপাল। এই ম্যাচে নেপালের জার্সি গায়ে নেমেছিলেন নেপালের লেগ স্পিনার সন্দীপ লামিচানে। প্রোটিয়াদের শুরুটা মোটামুটি ভালো হলেও কুইন্টন ডি কককে বেশিদূর যেতে দেননি দীপেন্দ্র সিং আইরে। দলীয় ২২ রানে ১১ বলে ১০ রান করে ফেরেন ডি কক।

এরপর হেনড্রিকসকে সাথে নিয়ে এগিয়েছেন মার্করাম। দেখেশুনে দুজন আগালেও জুটি বড় করতে পারেননি। সেই সঙ্গে বাকিদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে গেছেন রানরেটের ভার। দুইজনে গড়েন ৪৬ বলে ৪৬ রানের জুটি। ২২ বলে ১৫ রান করে কুশলের শিকার হন মার্করাম। এরপর অল্পতেই ফিরেছেন হেনরিখ ক্লাসেন।

রিজা হেনড্রিকস একপ্রান্ত আগলে রান করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তাকেও বেশিদূর যেতে দেননি আইরে। আইরের শিকার হওয়ার আগে ৪৯ বলে পাঁচটি চার ও এক ছক্কায় ৪৩ রান করেন তিনি। ইনিংস বড় হয়নি ডেভিড মিলারেরও। শেষ দিকে একাই প্রোটিয়াদের ইনিংসকে টেনেছেন ত্রিস্টান স্টাবস। ১৮ বলে দুইটি চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত ২৭ রান করেন তিনি।

নেপালের পক্ষে চার উইকেট শিকার করেন ভুরতেল। তিনটি উইকেট নেন দীপেন্দ্র সিং আইরে। ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়েও কোনো উইক্কেট পাননি সন্দীপ লামিচানে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

নেপালকে কাঁদিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ১ রানের জয়

প্রকাশের সময় : ১১:৫৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

শেষ ওভারে দরকার ৮ রান। বার্টম্যানের প্রথম দুইটা বল ব্যাটে লাগাতে পারলেন না গুলশান ঝা। তৃতীয় বলটা ওয়াইড লেংথে ইয়র্কার। কভার দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠালেন ঝা। উল্লাসে ফেটে পড়লো নেপালের সমর্থকরা। পরের দুই বল থেকে ২ রান। শেষ বলটা ব্যাটেই পারলেন না ঝা। তাতেই তীরে এসে তরী ডুবলো নেপালের। ১ রানে হারের বেদনায় পুড়লো রোহিত পাউডেলের দল।

শনিবার (১৫ জুন) সেন্ট ভিনসেন্টের কিংস্টোনের আর্নোস ভ্যালে স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নেপালের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রানে থামতে হয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। জবাবে ওপেনিং জুটিতে দারুণ শুরুর পরও ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৪ রানে থামে নেপালের ইনিংস।

১১৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর ওপেনার কুশাল ভুর্তেল এবং আসিফ শেখ মিলে ৩৫ রানের জুটি গড়ে তোলেন। এর মধ্যে ১৩ রান করে আউট হন কুশল। একই ওভারে মাত্র ২ বল খেলে কোনো রান না করে আউট হয়ে যান অধিনায়ক রোহিত পাউডেল।

তবে আসিফ শেখ এবং অনিল শাহ মিলে দুর্দান্ত জুটি গড়ে তোলেন। এই জুটিতে নেপালের স্কোর ১৪তম ওভারে ৮৫ রানে চলে যায়। নিশ্চিত জিতে যাবে নেপাল- এমনটাই মনে হচ্ছিলো।

এমন সময়ই অকেশনাল বোলার এইডেন মারক্রাম বল করতে এসে ব্রেক থ্রু দিলেন। ২৪ বলে ২৭ রান করা অনিল শাহকে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন মার্কো ইয়ানসেনের হাতে। ৩টি বাউন্ডারি এবং ১টি ছক্কার মার মারেন তিনি।

জুটি ভাঙার পরই নেপাল ব্যাকফুটে চলে যায়। এ সময়ই স্পষ্ট হয়ে যায় অভিজ্ঞতা এবং অনভিজ্ঞতার পার্থক্য। তাবরিজ শামসির বলে ফিরে যান দিপেন্দ্র সিং আইরি (৬ রানে), আসিফ শেখ ৪৯ বলে ৪২ রানে। আসিফ শেখ আউট হতেই নেপালের আশা শেষ হয়ে যায়।

তবুও শেষ মুহূর্তে গুলশান ঝা এবং সম্পাল কামি মিলে চেষ্টা করেন নেপালকে জয় এনে দিতে। শেষ ওভারে প্রয়োজন হয় ৮ রান। গুলশান ঝা একটি বাউন্ডারি মেরে খেলা জমিয়ে দেন। তার আগের ওভারে ছক্কা মারেন সম্পাল কামি। তবে, ওটনিয়েল বার্টম্যানের কাছ থেকে শেষ ওভারে ৬ রানের বেশি নিতে পারলো না নেপালি ব্যাটাররা। ফলে ১ রানে জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

এর আগে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় নেপাল। এই ম্যাচে নেপালের জার্সি গায়ে নেমেছিলেন নেপালের লেগ স্পিনার সন্দীপ লামিচানে। প্রোটিয়াদের শুরুটা মোটামুটি ভালো হলেও কুইন্টন ডি কককে বেশিদূর যেতে দেননি দীপেন্দ্র সিং আইরে। দলীয় ২২ রানে ১১ বলে ১০ রান করে ফেরেন ডি কক।

এরপর হেনড্রিকসকে সাথে নিয়ে এগিয়েছেন মার্করাম। দেখেশুনে দুজন আগালেও জুটি বড় করতে পারেননি। সেই সঙ্গে বাকিদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে গেছেন রানরেটের ভার। দুইজনে গড়েন ৪৬ বলে ৪৬ রানের জুটি। ২২ বলে ১৫ রান করে কুশলের শিকার হন মার্করাম। এরপর অল্পতেই ফিরেছেন হেনরিখ ক্লাসেন।

রিজা হেনড্রিকস একপ্রান্ত আগলে রান করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তাকেও বেশিদূর যেতে দেননি আইরে। আইরের শিকার হওয়ার আগে ৪৯ বলে পাঁচটি চার ও এক ছক্কায় ৪৩ রান করেন তিনি। ইনিংস বড় হয়নি ডেভিড মিলারেরও। শেষ দিকে একাই প্রোটিয়াদের ইনিংসকে টেনেছেন ত্রিস্টান স্টাবস। ১৮ বলে দুইটি চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত ২৭ রান করেন তিনি।

নেপালের পক্ষে চার উইকেট শিকার করেন ভুরতেল। তিনটি উইকেট নেন দীপেন্দ্র সিং আইরে। ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়েও কোনো উইক্কেট পাননি সন্দীপ লামিচানে।