Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেত্রকোনায় স্টেশনের বর্ধিত প্ল্যাটফর্মে নেই যাত্রী ছাউনি, দুর্ভোগে যাত্রীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নেত্রকোনা রেলওয়ে স্টেশনের বর্ধিত প্ল্যাটফর্মে নেই যাত্রী ছাউনি। রোদ-বৃষ্টিতে ভোগান্তি নিয়ে ট্রেনে ওঠা-নামা করেন যাত্রীরা। শৌচাগার ও একমাত্র বিশ্রামাগারটি তালাবদ্ধ থাকায় বেশি দুর্ভোগে পড়েন নারীরা। এমন পরিস্থিতিতে আসন্ন ঈদযাত্রা নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন যাত্রীরা।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ময়মনসিংহ থেকে মোহনগঞ্জ পর্যন্ত নতুন করে ১৩টি রেলস্টেশন নির্মাণ এবং নতুন রেললাইন নির্মাণের কাজ করা হয়। পরে ঢাকা থেকে নেত্রকোনা পথে মহুয়া ও হাওর এক্সপ্রেস নামে দুটি ট্রেন চালু করা হয়। এগুলো প্রতিদিন ১৪টি যাত্রীবাহী বগি নিয়ে চলাচল করে। কিন্তু প্ল্যাটফর্ম ছোট হওয়ায় ট্রেনের বেশ কয়েকটি বগি বাইরেই থেকে যেত।

২০২১ সালের অক্টোবরে স্টেশনটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়। ওই সময় রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এখানে এসে প্ল্যাটফর্ম উঁচুকরণ, স্টেশন ভবন সংস্কার, এক্সেল কন্ট্রোল ও পুরোনো প্ল্যাটফর্মে ছাউনি নির্মাণসহ কয়েকটি কাজের উদ্বোধন করেন। এরপর নতুন করে প্ল্যাটফর্মের পূর্বদিকে ৪০০ ফুট এবং পশ্চিম দিকে ৩৫০ ফুট বর্ধিত করা হয়। এ সময় পুরোনো প্ল্যাটফর্মের যাত্রী ছাউনি সংস্কার করা হলেও বর্ধিত অংশে নতুন করে কোনো ছাউনি নির্মাণ করা হয়নি।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, স্টেশনের জন্য নামফলকের স্ট্যান্ড থাকলেও নামফলক নেই। প্ল্যাটফর্মের বর্ধিত অংশের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। ভেতরের শৌচাগার ও নারী যাত্রীদের জন্য নির্মিত বিশ্রামাগারটি বন্ধ। এ ছাড়া সাতপাই রেলওয়ে ক্রসিংয়ে নেই কোনো সংকেত ঘর। এখানে থাকা প্রতিবন্ধকটিরও নড়বড়ে অবস্থা।

স্থানীয় যাত্রীরা জানান, সাতপাই লেভেল ক্রসিংয়ে কোনো সংকেত ঘর না থাকায় ট্রেন আসা-যাওয়ার সময় যানবাহন নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হয় গেইটম্যানকে। এ কারণে রেলওয়ে ক্রসিংসহ আশপাশের এলাকায় বিগত সময়ে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় এক নারী ও মাদ্রাসা ছাত্রসহ অন্তত চারজন নিহত হন।

ট্রেনে নিয়মিত চলাচল করা গোলাম মহিউদ্দীন নামে এক যাত্রী বলেন, প্রায়ই এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকায় যেতে হয়। কিন্তু প্ল্যাটফর্মের বর্ধিত অংশে যাত্রী ছাউনি না থাকায় ট্রেনে বর্ষাকালে ভিজে ওঠা-নামা করতে হয়। অতি দ্রুত এখানে একটি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করা উচিত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ে স্টেশনের এক কর্মচারী বলেন, নারীদের বিশ্রামাগারটি মাঝেমধ্যে বিশেষ ক্ষেত্রে খোলা হয়। সব সময় খোলা হয় না। বহিরাগতরা যাতে এটি নোংরা করতে না পারে, সে জন্যই এটা করা হয়।

এ বিষয়ে রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্ল্যাটফর্মের ছাউনি সম্প্রসারিত করার জন্য রেলওয়ে বিভাগকে জানানো হয়েছে। এ নিয়ে চিঠিও দেয়া হয়েছে। আশা করছেন দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

নেত্রকোনায় স্টেশনের বর্ধিত প্ল্যাটফর্মে নেই যাত্রী ছাউনি, দুর্ভোগে যাত্রীরা

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৯:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নেত্রকোনা রেলওয়ে স্টেশনের বর্ধিত প্ল্যাটফর্মে নেই যাত্রী ছাউনি। রোদ-বৃষ্টিতে ভোগান্তি নিয়ে ট্রেনে ওঠা-নামা করেন যাত্রীরা। শৌচাগার ও একমাত্র বিশ্রামাগারটি তালাবদ্ধ থাকায় বেশি দুর্ভোগে পড়েন নারীরা। এমন পরিস্থিতিতে আসন্ন ঈদযাত্রা নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন যাত্রীরা।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ময়মনসিংহ থেকে মোহনগঞ্জ পর্যন্ত নতুন করে ১৩টি রেলস্টেশন নির্মাণ এবং নতুন রেললাইন নির্মাণের কাজ করা হয়। পরে ঢাকা থেকে নেত্রকোনা পথে মহুয়া ও হাওর এক্সপ্রেস নামে দুটি ট্রেন চালু করা হয়। এগুলো প্রতিদিন ১৪টি যাত্রীবাহী বগি নিয়ে চলাচল করে। কিন্তু প্ল্যাটফর্ম ছোট হওয়ায় ট্রেনের বেশ কয়েকটি বগি বাইরেই থেকে যেত।

২০২১ সালের অক্টোবরে স্টেশনটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়। ওই সময় রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এখানে এসে প্ল্যাটফর্ম উঁচুকরণ, স্টেশন ভবন সংস্কার, এক্সেল কন্ট্রোল ও পুরোনো প্ল্যাটফর্মে ছাউনি নির্মাণসহ কয়েকটি কাজের উদ্বোধন করেন। এরপর নতুন করে প্ল্যাটফর্মের পূর্বদিকে ৪০০ ফুট এবং পশ্চিম দিকে ৩৫০ ফুট বর্ধিত করা হয়। এ সময় পুরোনো প্ল্যাটফর্মের যাত্রী ছাউনি সংস্কার করা হলেও বর্ধিত অংশে নতুন করে কোনো ছাউনি নির্মাণ করা হয়নি।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, স্টেশনের জন্য নামফলকের স্ট্যান্ড থাকলেও নামফলক নেই। প্ল্যাটফর্মের বর্ধিত অংশের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। ভেতরের শৌচাগার ও নারী যাত্রীদের জন্য নির্মিত বিশ্রামাগারটি বন্ধ। এ ছাড়া সাতপাই রেলওয়ে ক্রসিংয়ে নেই কোনো সংকেত ঘর। এখানে থাকা প্রতিবন্ধকটিরও নড়বড়ে অবস্থা।

স্থানীয় যাত্রীরা জানান, সাতপাই লেভেল ক্রসিংয়ে কোনো সংকেত ঘর না থাকায় ট্রেন আসা-যাওয়ার সময় যানবাহন নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হয় গেইটম্যানকে। এ কারণে রেলওয়ে ক্রসিংসহ আশপাশের এলাকায় বিগত সময়ে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় এক নারী ও মাদ্রাসা ছাত্রসহ অন্তত চারজন নিহত হন।

ট্রেনে নিয়মিত চলাচল করা গোলাম মহিউদ্দীন নামে এক যাত্রী বলেন, প্রায়ই এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকায় যেতে হয়। কিন্তু প্ল্যাটফর্মের বর্ধিত অংশে যাত্রী ছাউনি না থাকায় ট্রেনে বর্ষাকালে ভিজে ওঠা-নামা করতে হয়। অতি দ্রুত এখানে একটি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করা উচিত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ে স্টেশনের এক কর্মচারী বলেন, নারীদের বিশ্রামাগারটি মাঝেমধ্যে বিশেষ ক্ষেত্রে খোলা হয়। সব সময় খোলা হয় না। বহিরাগতরা যাতে এটি নোংরা করতে না পারে, সে জন্যই এটা করা হয়।

এ বিষয়ে রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্ল্যাটফর্মের ছাউনি সম্প্রসারিত করার জন্য রেলওয়ে বিভাগকে জানানো হয়েছে। এ নিয়ে চিঠিও দেয়া হয়েছে। আশা করছেন দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে।