Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেত্রকোনা পৌরসভার সড়ক খানাখন্দে আর ভাঙাচোরা, ভোগান্তিতে পৌরবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নেত্রকোনা পৌরসভার কয়েকটি সড়ক খানাখন্দে ভরা আর ভাঙাচোরা । সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। ভোগান্তির শিকার হন পৌরবাসী। অথচ সড়কগুলো সংস্কার ও জলাবদ্ধতা নিরসনে উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

কয়েক দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। গতকাল রোববার ভোরেও বৃষ্টি হয়েছে। এতে নেত্রকোনা পৌরসভার নতুন হাসপাতাল রোড, কাটলী, শাহ সুলতান রোড, মালনী, সাতপাই সড়কের খানাখন্দে হাঁটুপানি জমে যায়। এ ছাড়া সাতপাই এলাকায় পানি ভবন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ও নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল সড়কে জলাবদ্ধতা দীর্ঘদিনের।

সাতপাই সড়ক দিয়ে নেত্রকোনা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, এন আকন্দ আলিয়া মাদ্রাসাসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী কষ্ট করে চলাচল করেন। জয়নগর এলাকার সদর হাসপাতালে বিভিন্ন উপজেলা থেকে রোগীদের আসা-যাওয়া করতে হয়। কিন্তু বৃষ্টি ছাড়াও সড়কটিতে পানি জমে থাকে।

শাহ সুলতান রোডে নেত্রকোনা-মদন, কেন্দুয়া-নেত্রকোনা সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করেন। ওই সড়কের পুলিশ লাইন্স ও তিতাস গ্যাস অফিসের সামনের সড়কের অবস্থাও নাজুক। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। সড়কের গর্তে জমে থাকা পানির কারণে পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

সাতপাই, কুরপাড়, কাটলী ও জয়নগর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সাতপাই রেলক্রসিং থেকে চাঁনখার মোড় পর্যন্ত এক পাশে নালা দেখা গেলেও অন্য পাশে নামমাত্র নালা রয়েছে। নালার মধ্যে ময়লা– আবর্জনা ফেলে রাখায় পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে গেছে। কোথাও পানি যেতে না পারায় সড়কে জমে থাকে। সামান্য বৃষ্টিতে ওই সড়ক দিয়ে চলাচল বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল এলাকায় জলাবদ্ধতার চিত্র বিদ্যমান। জমে থাকা পানি কখনও কখনও ঢুকে পড়ছে সড়কের পাশের দোকান ও বাসাবাড়িতে। পথচারী ও এলাকাবাসী পানি মাড়িয়ে চলাচল করছেন।

পৌরসভার বাসিন্দাদের অভিযোগ, পৌর শহরের পাশে মগড়া নদী থাকলেও কার্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাবে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ভোগান্তি পোহাতে হয়। শুধু বর্ষা মৌসুমই নয়, সামান্য বৃষ্টি হলেই জমে যায় পানি।

সাতপাই এলাকার বাসিন্দা কবীর হোসেন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনের রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ। সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে যায়। সড়কটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।

নিউটাউন এলাকার বাসিন্দা এ বি চৌধুরী নাদিম জানান, তাঁদের এলাকায় সড়কে জলাবদ্ধতার সমস্যা নতুন নয়। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে তাঁদের এই ভোগান্তি।

সদর হাসপাতাল রোডের বাসিন্দা কামরুল হক বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গার উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু আমাদের এলাকার কোনো উন্নয়ন হচ্ছে না। গড়ে ওঠেনি পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা। যার জন্য সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে যায়।

নেত্রকোনা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর হোসেনের দাবি, পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে অপরিকল্পিত নালা (ড্রেন) নির্মাণ করা হয়েছে। লোকবলের অভাবে নালাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। নালায় ময়লা ও আবর্জনা ফেলার কারণে কয়েকটি ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এসব বিষয় মাথায় রেখে নতুন পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খান বলেন, কিছু এলাকায় বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ওইসব এলাকায় নালা নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে। কাজ শেষ হলে আশা করা যায়, এই সমস্যা আর থাকবে না।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

নেত্রকোনা পৌরসভার সড়ক খানাখন্দে আর ভাঙাচোরা, ভোগান্তিতে পৌরবাসী

প্রকাশের সময় : ০৩:৫২:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নেত্রকোনা পৌরসভার কয়েকটি সড়ক খানাখন্দে ভরা আর ভাঙাচোরা । সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। ভোগান্তির শিকার হন পৌরবাসী। অথচ সড়কগুলো সংস্কার ও জলাবদ্ধতা নিরসনে উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

কয়েক দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। গতকাল রোববার ভোরেও বৃষ্টি হয়েছে। এতে নেত্রকোনা পৌরসভার নতুন হাসপাতাল রোড, কাটলী, শাহ সুলতান রোড, মালনী, সাতপাই সড়কের খানাখন্দে হাঁটুপানি জমে যায়। এ ছাড়া সাতপাই এলাকায় পানি ভবন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ও নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল সড়কে জলাবদ্ধতা দীর্ঘদিনের।

সাতপাই সড়ক দিয়ে নেত্রকোনা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, এন আকন্দ আলিয়া মাদ্রাসাসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী কষ্ট করে চলাচল করেন। জয়নগর এলাকার সদর হাসপাতালে বিভিন্ন উপজেলা থেকে রোগীদের আসা-যাওয়া করতে হয়। কিন্তু বৃষ্টি ছাড়াও সড়কটিতে পানি জমে থাকে।

শাহ সুলতান রোডে নেত্রকোনা-মদন, কেন্দুয়া-নেত্রকোনা সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করেন। ওই সড়কের পুলিশ লাইন্স ও তিতাস গ্যাস অফিসের সামনের সড়কের অবস্থাও নাজুক। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। সড়কের গর্তে জমে থাকা পানির কারণে পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

সাতপাই, কুরপাড়, কাটলী ও জয়নগর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সাতপাই রেলক্রসিং থেকে চাঁনখার মোড় পর্যন্ত এক পাশে নালা দেখা গেলেও অন্য পাশে নামমাত্র নালা রয়েছে। নালার মধ্যে ময়লা– আবর্জনা ফেলে রাখায় পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে গেছে। কোথাও পানি যেতে না পারায় সড়কে জমে থাকে। সামান্য বৃষ্টিতে ওই সড়ক দিয়ে চলাচল বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল এলাকায় জলাবদ্ধতার চিত্র বিদ্যমান। জমে থাকা পানি কখনও কখনও ঢুকে পড়ছে সড়কের পাশের দোকান ও বাসাবাড়িতে। পথচারী ও এলাকাবাসী পানি মাড়িয়ে চলাচল করছেন।

পৌরসভার বাসিন্দাদের অভিযোগ, পৌর শহরের পাশে মগড়া নদী থাকলেও কার্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাবে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ভোগান্তি পোহাতে হয়। শুধু বর্ষা মৌসুমই নয়, সামান্য বৃষ্টি হলেই জমে যায় পানি।

সাতপাই এলাকার বাসিন্দা কবীর হোসেন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনের রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ। সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে যায়। সড়কটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।

নিউটাউন এলাকার বাসিন্দা এ বি চৌধুরী নাদিম জানান, তাঁদের এলাকায় সড়কে জলাবদ্ধতার সমস্যা নতুন নয়। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে তাঁদের এই ভোগান্তি।

সদর হাসপাতাল রোডের বাসিন্দা কামরুল হক বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গার উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু আমাদের এলাকার কোনো উন্নয়ন হচ্ছে না। গড়ে ওঠেনি পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা। যার জন্য সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে যায়।

নেত্রকোনা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর হোসেনের দাবি, পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে অপরিকল্পিত নালা (ড্রেন) নির্মাণ করা হয়েছে। লোকবলের অভাবে নালাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। নালায় ময়লা ও আবর্জনা ফেলার কারণে কয়েকটি ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এসব বিষয় মাথায় রেখে নতুন পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খান বলেন, কিছু এলাকায় বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ওইসব এলাকায় নালা নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে। কাজ শেষ হলে আশা করা যায়, এই সমস্যা আর থাকবে না।