Dhaka মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র, আর নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখায় মির্জা ফখরুল : কাদের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ১০:১৬:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৮৯ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র, আর নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখায় মির্জা ফখরুল। মির্জা ফখরুল কি এজেন্সি পেয়েছে? ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞায় ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হয়নি। তারা পারেনি রাশা ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে। নিষেধাজ্ঞা কেউ শোনে না। কাজেই আমরা যারা রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি, নিষেধাজ্ঞায় ভয় দেখাবেন না।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দেয়, আর নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখায় বিএনপি। কী আশ্চর্য, মনে হয় আমেরিকা বিএনপিকে ভয় দেখানোর এজেন্ট (নিয়োগ) দিয়েছে।

কাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো কর্মীর গায়ে আঘাত করলে এবার পাল্টা আঘাত করা হবে, কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কারও কাছে মাথা নত করবে না। বিএনপি কীভাবে ঢাকা দখল করে তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে আওয়ামী লীগ। লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে আওয়ামী লীগ সারাদেশ দখল করবে।

নিষেধাজ্ঞায় ভেনেজুয়েলার সরকারের পতন হয়নি উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, পাল্টা সরকার চেষ্টা করেও বসাতে পারেনি। আপনাদের নিষেধাজ্ঞায় সুদানের দুই জেনারেলের যুদ্ধ বন্ধ হয়নি। আপনাদের নিষেধাজ্ঞা সোমালিয়ায় প্রতি মিনিটে একজন মানুষ না খেয়ে মরছে। সেটা তো বন্ধ করতে পারেননি। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধ করতে পারেননি।

মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে মাতৃৃভূমিতে বিজয়ের পতাকা উড়িয়েছি। একাত্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থামাতে পারেনি। আজও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে শেখ হাসিনার বাংলাদেশকে থামানো যাবে না। আমরা কারও নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করি না। আমরা পরোয়া করি আমাদের সংবিধান। আমাদের সংবিধান আমরা পরোয়া করি। আমরা চলবো আমাদের সংবিধান অনুযায়ী। কোনো দেশের নিষেধাজ্ঞা আমরা মানি না, মানবো না।

তিনি বলেন, আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা কেউ শোনে না। ভেনেজুয়েলা, গ্যাবন, সুদান কেউ শোনেনি। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাও প্রথম সারির মোড়ল অনেক দেশ মানে না।

বিএনপিকে তৈরি হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্যাপ্টেন আমেরিকার ওয়াশিংটনে আছেন। তৈরি হয়ে যান। ক্যাপ্টেন আসবে, খেলা হবে। রাজপথ কে দখল করে দেখা যাবে। লাল সবুজের জাতীয় পতাকা হাতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিজয়ের মিছিল অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে চলবে।

মির্জা ফখরুলের কান্না প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কত মায়ের বুক খালি করে, কতজনকে স্বামীহারা, বাবাহারা করে বিএনপি এখন নিজেই কাঁদছে। ফখরুল সাহেব, কাঁদতে কাঁদতে বাংলাদেশে কান্নার দরিয়া হয়ে যাবে তবুও আপনাদের ক্ষমা নেই। পিতৃহত্যা, মাতৃহত্যার প্রতিশোধ আমরা নেবো। আপনাদের ক্ষমা নেই। বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে ক্ষমা করবে না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ফখরুলের চোখে কান্না। খালেদা জিয়ার জন্য কান্না। খালেদা জিয়া এত বছর জেলে। আর এখন আমাদের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে। অথচ তার জন্য আন্দোলন করে ৪৮ মিনিটও দাঁড়াতে পারেনি। বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার জন্য, তার অসুস্থতার জন্য যতটা কথা বলেছে, তার চেয়ে বেশি রাজনীতি করেছে। বিএনপি খালেদা জিয়ার অসুস্থতার চেয়ে খালেদা জিয়াকে নিয়ে বেশি রাজনীতি করতে চেয়েছে এবং সেটাই তাদের উদ্দেশ্য।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব যতদিন আছে ততদিন আমরা লড়ে যাব। এই বীরের দেশে বীর জনতা, কারো কাছে মাথা নত করবে না।

কেরানীগঞ্জের নেতাকর্মীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বারবার আসতে পারব না, ভোটের জন্য তৈরি হয়ে যান। ভোট জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। বারবার আসব না, আপনারাই শেখ হাসিনার হয়ে জনগণের কাছে যাবেন। নৌকার হয়ে শেখ হাসিনার জন্য ভোট চাইবেন। শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা বলবেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে ক্ষমা করবে না। মির্জা আব্বাস ঝিনাইদহের রাস্তায় দাঁড়িয়ে বলছে আজ নাকি চাঁদরাত, চাঁদ রাতের আনন্দ। কিছু লোকজন দেখে মির্জা আব্বাস আপ্লুত হয়ে চাঁদ রাতের স্বপ্ন দেখছে। ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন মনে মনে দেখছে। মির্জা আব্বাস সাহেব যত চাঁদ রাত দেখুন, আপনাদের এই স্বপ্ন, রঙিন বেলুনের মতো অচিরেই চুপসে যাবে। ক্ষমতার মুখ আপনারা দেখবেন না।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বিদুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানসহ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।

আবহাওয়া

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি তরুণীর পা বিচ্ছিন্ন

নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র, আর নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখায় মির্জা ফখরুল : কাদের

প্রকাশের সময় : ১০:১৬:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র, আর নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখায় মির্জা ফখরুল। মির্জা ফখরুল কি এজেন্সি পেয়েছে? ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞায় ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হয়নি। তারা পারেনি রাশা ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে। নিষেধাজ্ঞা কেউ শোনে না। কাজেই আমরা যারা রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি, নিষেধাজ্ঞায় ভয় দেখাবেন না।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দেয়, আর নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখায় বিএনপি। কী আশ্চর্য, মনে হয় আমেরিকা বিএনপিকে ভয় দেখানোর এজেন্ট (নিয়োগ) দিয়েছে।

কাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো কর্মীর গায়ে আঘাত করলে এবার পাল্টা আঘাত করা হবে, কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কারও কাছে মাথা নত করবে না। বিএনপি কীভাবে ঢাকা দখল করে তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে আওয়ামী লীগ। লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে আওয়ামী লীগ সারাদেশ দখল করবে।

নিষেধাজ্ঞায় ভেনেজুয়েলার সরকারের পতন হয়নি উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, পাল্টা সরকার চেষ্টা করেও বসাতে পারেনি। আপনাদের নিষেধাজ্ঞায় সুদানের দুই জেনারেলের যুদ্ধ বন্ধ হয়নি। আপনাদের নিষেধাজ্ঞা সোমালিয়ায় প্রতি মিনিটে একজন মানুষ না খেয়ে মরছে। সেটা তো বন্ধ করতে পারেননি। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধ করতে পারেননি।

মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে মাতৃৃভূমিতে বিজয়ের পতাকা উড়িয়েছি। একাত্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থামাতে পারেনি। আজও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে শেখ হাসিনার বাংলাদেশকে থামানো যাবে না। আমরা কারও নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করি না। আমরা পরোয়া করি আমাদের সংবিধান। আমাদের সংবিধান আমরা পরোয়া করি। আমরা চলবো আমাদের সংবিধান অনুযায়ী। কোনো দেশের নিষেধাজ্ঞা আমরা মানি না, মানবো না।

তিনি বলেন, আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা কেউ শোনে না। ভেনেজুয়েলা, গ্যাবন, সুদান কেউ শোনেনি। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাও প্রথম সারির মোড়ল অনেক দেশ মানে না।

বিএনপিকে তৈরি হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্যাপ্টেন আমেরিকার ওয়াশিংটনে আছেন। তৈরি হয়ে যান। ক্যাপ্টেন আসবে, খেলা হবে। রাজপথ কে দখল করে দেখা যাবে। লাল সবুজের জাতীয় পতাকা হাতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিজয়ের মিছিল অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে চলবে।

মির্জা ফখরুলের কান্না প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কত মায়ের বুক খালি করে, কতজনকে স্বামীহারা, বাবাহারা করে বিএনপি এখন নিজেই কাঁদছে। ফখরুল সাহেব, কাঁদতে কাঁদতে বাংলাদেশে কান্নার দরিয়া হয়ে যাবে তবুও আপনাদের ক্ষমা নেই। পিতৃহত্যা, মাতৃহত্যার প্রতিশোধ আমরা নেবো। আপনাদের ক্ষমা নেই। বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে ক্ষমা করবে না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ফখরুলের চোখে কান্না। খালেদা জিয়ার জন্য কান্না। খালেদা জিয়া এত বছর জেলে। আর এখন আমাদের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে। অথচ তার জন্য আন্দোলন করে ৪৮ মিনিটও দাঁড়াতে পারেনি। বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার জন্য, তার অসুস্থতার জন্য যতটা কথা বলেছে, তার চেয়ে বেশি রাজনীতি করেছে। বিএনপি খালেদা জিয়ার অসুস্থতার চেয়ে খালেদা জিয়াকে নিয়ে বেশি রাজনীতি করতে চেয়েছে এবং সেটাই তাদের উদ্দেশ্য।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব যতদিন আছে ততদিন আমরা লড়ে যাব। এই বীরের দেশে বীর জনতা, কারো কাছে মাথা নত করবে না।

কেরানীগঞ্জের নেতাকর্মীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বারবার আসতে পারব না, ভোটের জন্য তৈরি হয়ে যান। ভোট জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। বারবার আসব না, আপনারাই শেখ হাসিনার হয়ে জনগণের কাছে যাবেন। নৌকার হয়ে শেখ হাসিনার জন্য ভোট চাইবেন। শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা বলবেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে ক্ষমা করবে না। মির্জা আব্বাস ঝিনাইদহের রাস্তায় দাঁড়িয়ে বলছে আজ নাকি চাঁদরাত, চাঁদ রাতের আনন্দ। কিছু লোকজন দেখে মির্জা আব্বাস আপ্লুত হয়ে চাঁদ রাতের স্বপ্ন দেখছে। ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন মনে মনে দেখছে। মির্জা আব্বাস সাহেব যত চাঁদ রাত দেখুন, আপনাদের এই স্বপ্ন, রঙিন বেলুনের মতো অচিরেই চুপসে যাবে। ক্ষমতার মুখ আপনারা দেখবেন না।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বিদুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানসহ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।