Dhaka বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পরেও রাজধানীর বেশিরভাগ সিনেমা হল খোলেনি

বলাকা সিনেমা হলের ফাইল ছবি

করোনায় দেশের সিনেমা হলগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। দীর্ঘদিন পর সরকার সিনেমা হল খুলতে অনুমতি দেয়। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ১৪ অক্টোবর থেকে সিনেমা হল খুলতে আর কোনো বাধা না থাকবে না। অথচ সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পরেও শুক্রবার রাজধানীর বেশিরভাগ সিনেমা হল খোলেনি।

হল না খোলার তালিকায় রয়েছে, ঢাকার অন্যতম পুরনো হল বলাকা, মধুমিতা, জোনাকী, অভিসার, নেপচুন, শ্যামলী সিনেপ্লেক্স ও স্টার সিনেপ্লেক্স। অবশ্য স্টার সিনেপ্লেক্স আগামী ২৩ অক্টোবর খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বলাকা হলের ব্যবস্থাপক শাহীন হোসেন বলেন, ‘আমরা কিছুদিন দেখব, তারপর ভেবে সিদ্ধান্ত নেব। এখনো হল খোলার বিষয়ে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

পুরান ঢাকায় অবস্থিত অভিসার সিনেমা হল। একই ভবনে নেপচুন সিনেমা হল। অভিসার হলে ৩০ বছর ধরে নিরাপওার কাজে নিয়োজিত আছেন মাহবুবুর রহমান খোকন। তিনি বলেন, ‘মালিকপক্ষের আদেশ এসেছে এখনই অভিসার খুলবে না।’

শ্যামলীতে অবস্থিত শ্যামলী সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ জানায়, এখনই তারা হল খোলার সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। কিছুদিন পরিস্থিতি দেখে এরপর তারা সিদ্ধান্ত নেবে।

আরও পড়ুন : জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কুমার শানু করোনায় আক্রান্ত

মধুমিতা হলের মালিক ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, ‘বড় তারকার নতুন সিনেমা মুক্তি না পেলে হল খুলে লাভ কী? লোকসান কতদিন গুনব?’

অন্যদিকে সারাদেশের মানুষের কাছে পরিচিত যশোরের মনিহার সিনেমা হলটিও শুক্রবার খোলেনি।

ঢাকার অল্প কয়েকটি সিনেমা হল শুক্রবার খুললেও সেখানে নেই বড় তারকার কোনো সিনেমা। আনন্দ ও চিত্রামহল হলে মুক্তি পেয়েছে হিরো আলম অভিনীত নতুন সিনেমা ‘সাহসী হিরো আলম’।

ছন্দ সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে শাকিব খানের পুরনো সিনেমা।

উল্লেখ্য, ১৪ অক্টোবর তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে সিনেমা হল খোলার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, কোভিড ১৯’র বর্তমান পরিস্থিতিতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ ও সিনেমা হলের আসন সংখ্যার কমপক্ষে অর্ধেক আসন খালি রাখা সাপেক্ষে সারাদেশের সিনেমা হলগুলোতে চলচ্চিত্র প্রদর্শনের অনুমতি নির্দেশক্রমে প্রদান করা হলো।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে চলতি বছরের ১৮ মার্চ থেকে সরকারিভাবে সিনেমা হল বন্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছিল।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নারায়ণগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১০

নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পরেও রাজধানীর বেশিরভাগ সিনেমা হল খোলেনি

প্রকাশের সময় : ০২:১৯:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০

করোনায় দেশের সিনেমা হলগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। দীর্ঘদিন পর সরকার সিনেমা হল খুলতে অনুমতি দেয়। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ১৪ অক্টোবর থেকে সিনেমা হল খুলতে আর কোনো বাধা না থাকবে না। অথচ সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পরেও শুক্রবার রাজধানীর বেশিরভাগ সিনেমা হল খোলেনি।

হল না খোলার তালিকায় রয়েছে, ঢাকার অন্যতম পুরনো হল বলাকা, মধুমিতা, জোনাকী, অভিসার, নেপচুন, শ্যামলী সিনেপ্লেক্স ও স্টার সিনেপ্লেক্স। অবশ্য স্টার সিনেপ্লেক্স আগামী ২৩ অক্টোবর খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বলাকা হলের ব্যবস্থাপক শাহীন হোসেন বলেন, ‘আমরা কিছুদিন দেখব, তারপর ভেবে সিদ্ধান্ত নেব। এখনো হল খোলার বিষয়ে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

পুরান ঢাকায় অবস্থিত অভিসার সিনেমা হল। একই ভবনে নেপচুন সিনেমা হল। অভিসার হলে ৩০ বছর ধরে নিরাপওার কাজে নিয়োজিত আছেন মাহবুবুর রহমান খোকন। তিনি বলেন, ‘মালিকপক্ষের আদেশ এসেছে এখনই অভিসার খুলবে না।’

শ্যামলীতে অবস্থিত শ্যামলী সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ জানায়, এখনই তারা হল খোলার সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। কিছুদিন পরিস্থিতি দেখে এরপর তারা সিদ্ধান্ত নেবে।

আরও পড়ুন : জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কুমার শানু করোনায় আক্রান্ত

মধুমিতা হলের মালিক ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, ‘বড় তারকার নতুন সিনেমা মুক্তি না পেলে হল খুলে লাভ কী? লোকসান কতদিন গুনব?’

অন্যদিকে সারাদেশের মানুষের কাছে পরিচিত যশোরের মনিহার সিনেমা হলটিও শুক্রবার খোলেনি।

ঢাকার অল্প কয়েকটি সিনেমা হল শুক্রবার খুললেও সেখানে নেই বড় তারকার কোনো সিনেমা। আনন্দ ও চিত্রামহল হলে মুক্তি পেয়েছে হিরো আলম অভিনীত নতুন সিনেমা ‘সাহসী হিরো আলম’।

ছন্দ সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে শাকিব খানের পুরনো সিনেমা।

উল্লেখ্য, ১৪ অক্টোবর তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে সিনেমা হল খোলার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, কোভিড ১৯’র বর্তমান পরিস্থিতিতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ ও সিনেমা হলের আসন সংখ্যার কমপক্ষে অর্ধেক আসন খালি রাখা সাপেক্ষে সারাদেশের সিনেমা হলগুলোতে চলচ্চিত্র প্রদর্শনের অনুমতি নির্দেশক্রমে প্রদান করা হলো।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে চলতি বছরের ১৮ মার্চ থেকে সরকারিভাবে সিনেমা হল বন্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছিল।