নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে গ্রেফতারের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এ্যানির নামে লক্ষ্মীপুরে দুটি মামলা ছিল। তিনি জামিন নেননি। তাই তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে নির্যাতন করা হয়নি। তিনি আদালতে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। তার বাসার কোনো দরজা ভাঙা হয়নি। বরং আদালতে দাঁড়িয়ে তিনি এ বিষয়ে মিথ্যা কথা বলেছেন।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় সত্যেন সেন শিল্পী গোষ্ঠী আয়োজিত শরৎ উৎসবের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যারা ওয়ারেন্টপ্রাপ্ত আসামি তাদের কোর্টে গিয়ে জামিন নিতে হয়। কিন্তু এ্যানি সাহেব জামিন নেননি। এ্যানি কোর্টে যেটা বলেছেন, সেটা অসত্য। তিনি প্রমাণ দেখাতে পারেননি কোর্টে যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা পুলিশ তাকে অত্যাচার করেছে। থানায় সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে, সেখানেও কোনো আলামত আমরা দেখতে পাইনি। কোর্ট ইন্সপেক্টর সুন্দর করে তার জবাব দিয়েছেন। বলেছেন, মাননীয় আদালত, তিনি সাদা পোশাক পরা ছিলেন, যে পোশাকে তিনি এখনো দাঁড়িয়ে আছেন। সেই পোশাকের কোনো এক জায়গায় কোনো দাগ বা আঘাতের চিহ্ন নেই। তিনিও আঘাতের চিহ্ন প্রমাণ করতে পারেননি। কাজেই এগুলো সবই অসত্য কথা, সবই কোর্টকে আকৃষ্ট করার জন্য বলা।
পুলিশ বিএনপি নেতা এ্যানির বাসায় গিয়ে দরজা ভেঙেছে- এ অভিযোগের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী সবসময়ই দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কাজ করে। আমরা সবসময় বলে থাকি- যারা আসামি হয়ে যান বা মামলা হয় বা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি, তারা কোর্টে গিয়ে জামিন নিয়ে নেন। কিন্তু এ্যানি সাহেব জামিন না নেওয়াতে পুলিশ তাকে ধরতে যায়। এটা পুলিশের কর্তব্য। তাকে বলা হয়েছিল, তার আত্মীয়-স্বজনকেও অনুরোধ করা হয়েছিল দরজা খুলে দেওয়ার জন্য। কিন্তু দরজা না খোলাতে পুলিশ দরজায় ধাক্কা দেয়, জোর করে দরজা ভাঙেনি।’
গত মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে পুলিশ এ্যানিকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করে বিএনপি। পরদিন বুধবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
এদিকে এ্যানিকে তার বাসভবন ঘেরাও, পরবর্তীতে থানায় তুলে নেওয়া এবং তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অসদাচরণ ও অপেশাদার আচরণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।