নিজস্ব প্রতিবেদক :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি এখন সংলাপের কথা বলছে। আগে নির্বাচন হোক। নির্বাচনের পর বিএনপির সংলাপের প্রস্তাব ভেবে দেখবো
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি ভোট থেকে সরে গেছে। পদযাত্রা থেকে তারা পশ্চাৎযাত্রা শুরু করেছে। কতটা দেউলিয়া হলে একটা দল এমন কর্মসূচিতে চলে যায়!
তিনি বলেন, বিএনপি স্বাভাবিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নাশকতার দিকে গেছে। আমরা খবর পাচ্ছি, লন্ডন থেকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে, প্রয়োজনে গুপ্তহত্যা চালাবে। তারা আরও ভয়ংকর গুপ্ত হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা সবাইকে সর্তক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। বিএনপির অপপ্রচারে কেউ কান দেবেন না। তারা কী সারাদেশে উৎসব মুখরতা দেখতে পাচ্ছে না? আমরা দেখছি মানুষ ভোট দিতে অপেক্ষা করছে। বিএনপি মানুষকে ভোটকেন্দ্রে না যেতে আতঙ্ক ছড়াতে পারে।
তিনি বলেন, মানুষ ভোট প্রদানের জন্য মুখিয়ে আসে, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। বিএনপি যতই অপপ্রচার করুক, তাদের কথায় জনগণ কান দিবে না। কতটা দেউলিয়া হলে তারা লিফলেট বিতরণ করে। দেউলিয়া হলে লিফলেট বিতরণের মতো পর্যায়ে পৌঁছে পশ্চাৎযাত্রায় যেতে পারে তা দেশের মানুষ দেখছে।
নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় যে কারও বিরুদ্ধে নেওয়া কমিশনের সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগের সমর্থন থাকবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন একটা চ্যালেঞ্জ। আমরা এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করব। নির্বাচন হবেই। নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। আমাদের জয়েরও কোনো বিকল্প নেই।’
জনগণকে ভোট দেয়া থেকে বিরত রাখতে বিএনপি লাশ ফেলে আতঙ্ক করার চেষ্টা করবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই নির্বাচনকে আমরা ব্যর্থ হতে দেবো না। নির্বাচন হবেই। তারা লাশ বানিয়ে জনগণকে আতংক সৃষ্টি করতে পারে, এই বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো সর্তক হতে হবে।
মানুষ ভোট দেয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে জানিয়ে কাদের বলেন, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। বিএনপি যতই অপপ্রচার করুক, মানুষ তাদের কথায় কান দেবে না। ২০২৪ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে নতুন গণতন্ত্রের ধারা শুরু হবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রার্থীরা সংঘর্ষে জড়ালে আমরা দায় নেব না। নির্বাচন কমিশন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা মাধ্যমে কোনো ব্যবস্থা নিলে আমরা হস্তক্ষেপ করব না। প্রার্থীদের দায়িত্বশীল আচরণের জন্য আহ্বান জানাবো।’
নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এসব নির্ভর করে টার্ন আউট নির্বাচনের আগের প্রচার-প্রচারণায় কেমন পরিবেশ থাকে, জনগণের উপস্থিতি কেমন থাকে তার উপর। যেমন বরিশালে নেত্রীর সভায় অনেকেই বহুদুর থেকে হেঁটে এসেছেন। নির্বাচনের টার্ন-আউট আমি এক কথায় বলবো সন্তোষজনক।
এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।