Dhaka মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তির বিলাসিতা করবে না সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৫৬:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩
  • ১৯৬ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তি করার মতো বিলাসিতা সরকার করবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ৩০ জনেরও বেশি বিশিষ্টজনের সঙ্গে পৌনে ৩ ঘণ্টা ধরে মতবিনিময় করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অস্ত্র চুক্তি প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তি করার মতো বিলাসিতার ইচ্ছা সরকারের নেই। আমরা সবার আগে জনগণের ভাতের অধিকার নিশ্চিতে প্রাধান্য দিচ্ছি।

ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে কেউ যুক্তরাষ্ট্রে টাকা নিয়ে যাওয়ার পর সে দেশ যদি তা জব্দ করে তাহলে আমরা খুশি হব।

মতবিনিময় সভা শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে দুর্নীতির মাধ্যমে কেউ যুক্তরাষ্ট্রে টাকা পাচার করলে, সেই টাকা জব্দ করা হবে।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে আমরা খুব খুশি হব। তবে ওদের (যুক্তরাষ্ট্রের) দেশে আইন আছে কেউ সেখানে টাকা নিয়ে গেলে ওয়ার্ক পারমিট পায়, সিটিজেনশিপ পায়। ওদের মতো এমন আরো অনেক দেশ আছে। তবে আমাদের দেশ থেকে কেউ যদি সেখানে (যুক্তরাষ্ট্রে) টাকা নিয়ে যায়, আর তারা যদি সে টাকা জব্দ করে, আমরা খুব খুশি হব।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে নতুন করে ১১ জন বাংলাদেশির ওপর নিষেধাজ্ঞা আসছে। গণমাধ্যমের এমন খবরের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেটা তারাই বলতে পারবে, তাদের জিজ্ঞেস করেন।

মতবিনিময়ে কী বিষয়ে আলাপ হয়েছে জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, এটা রুটিন ওয়ার্ক। প্রায়ই এ ধরনের মতবিনিময় করে আমরা পরামর্শ নিয়ে থাকি।

তিনি বলেন, বিদেশি দূতদের সঙ্গে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের কী ধরনের প্রশ্ন করা উচিৎ, সে বিষয়ে মতবিনিময় সভায় অনেকেই পরামর্শ দিয়েছেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশন দেওয়া উচিত বলেও জানিয়েছেন কেউ কেউ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে প্রশ্ন করা উচিৎ জেনেভা কনভেনশন তারা ভঙ্গ করেছেন কি না, তাদের ওখানে বিচার বহির্ভূত হত্যা কেন হয়, তাদের ওখানে অংশীদারিত্বমূলক নির্বাচন হয় কি না। তবে এমন প্রশ্ন এখানকার সাংবাদিকরা করেন না। কীভাবে প্রশ্ন করতে হবে, সাংবাদিকদের তা নিয়ে ওরিয়েন্টেশন দেওয়া উচিত।

ড. মোমেন আরও বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে মতবিনিময় সভায় তারা আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন, সে জন্য আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ১৪ কংগ্রেসম্যান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে যে চিঠি দিয়েছেন, সেখানকার অনেক তথ্য সঠিক নয়। সে কারণে আমাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, এ বিষয়ে সেমিনার করে সঠিক তথ্য তুলে ধরা উচিত।

মতবিনিময়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা কী নির্দেশনা দিয়েছেন, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটা হচ্ছে আগামী দিনে আমরা কীভাবে কূটনীতিকদের ম্যানেজ করবো, তারা বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বলেছেন, ১৪ জন কংগ্রেসম্যান চিঠি লিখেছেন। সেখানে তারা বলেছেন, বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এত বেশি নির্যাতিত হয়েছেন যে গত ১০ বছরে তাদের সংখ্যা অর্ধেক কমে গেছে। এর ওপর একটি সেমিনার করতে বলেছেন। সেই সেমিনারে আসল তথ্য তুলে ধরা উচিত।

কূটনীতিকদের কীভাবে ম্যানেজ করতে বলেছেন- প্রশ্নে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিদেশি কূটনীতিকরা একটু আগ বাড়িয়ে কথা বলেন। অন্য কোনো দেশে এভাবে বলেন না। আলোচনায় যেসব কূটনীতিক ছিলেন, তারা বলেছেন যে আমরা তো বহু বছর বিদেশে চাকরি করেছি, কিন্তু বাংলাদেশের মতো এমন অবস্থা কোথাও দেখিনি।

ড. এ কে আব্দুল মোমেন আরও বলেন, আমাদের দেশে ঐতিহাসিকভাবে এটা হয়ে আসছে, এ জন্য বিভিন্ন মহল দায়ী। তবে এই সংস্কৃতি একদিনে পরিবর্তন করা হয়তো সম্ভব হবে না। কিন্তু আমি মনে করি, এখন সময় হয়েছে। এরপর একটা সেমিনার করবো।

আগামী সপ্তাহে দুই মার্কিন কংগ্রেসম্যান বাংলাদেশ সফরে আসছেন। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের ৫০ বছর পূর্তি উৎসবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন খুব আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক, খুবই শক্তিশালী সম্পর্ক করতে চান তিনি। তখন তিনি বলেছেন যে বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনীতি। এশিয়ান টাইগার। তারই পরিপ্রেক্ষিতে একের পর এক সিনিয়র কর্মকর্তারা এসেছেন, আমরা তাদের স্বাগত জানিয়েছি। তারা স্বেচ্ছায় এসেছেন, আমরাও খুব খুশি। কারণ, করোনা মহামারির সময় দুই বছরের বেশি সময় এই এনগেজমেন্ট (যোগাযোগ) কম ছিল। আর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক। কাজেই তারা এসেছেন।

আব্দুল মোমেন জানান, এছাড়াও বাংলাদেশে একটি বড় ইস্যু রোহিঙ্গা। ওই দুজন আসছেন মূলত রোহিঙ্গাদের বিষয়টি দেখার জন্য। রোহিঙ্গাদের আগে ১২ ডলার সহায়তা দেওয়া হতো, এখন কমিয়ে আট ডলার করা হয়েছে। আর রোহিঙ্গা ইস্যুতে সবচেয়ে বড় দাতা যুক্তরাষ্ট্র। তারা (দুই কংগ্রেসম্যান) একটি অনুমোদন কমিটির সদস্য, তারাই টাকা অনুমোদন করেন। এখন এসে দেখবেন, আরও অর্থের দরকার আছে কি না, বাড়ানোর প্রয়োজন কি না। কেন কমলো? আর যে টাকা দেন, সেটির কতটা ব্যবহার হচ্ছে। এসব যাচাই-বাছাই করবেন। তারা তো আমাদের টাকা দেন না, দেন ইউনিসেফকে।

মতবিনিময় সভায় অংশ নেন সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক এ করিম, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ফারুক সোবহান, শমসের মবিন চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, অধ্যাপক লাইলুফার ইয়াসমিন, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, নাঈমুল ইসলাম খান, রাহুল রাহা, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) আব্দুর রশীদ প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংসদ নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি হলে ব্যবস্থা নেবে দুদক : দুদক চেয়ারম্যান

নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তির বিলাসিতা করবে না সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৬:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তি করার মতো বিলাসিতা সরকার করবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ৩০ জনেরও বেশি বিশিষ্টজনের সঙ্গে পৌনে ৩ ঘণ্টা ধরে মতবিনিময় করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অস্ত্র চুক্তি প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তি করার মতো বিলাসিতার ইচ্ছা সরকারের নেই। আমরা সবার আগে জনগণের ভাতের অধিকার নিশ্চিতে প্রাধান্য দিচ্ছি।

ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে কেউ যুক্তরাষ্ট্রে টাকা নিয়ে যাওয়ার পর সে দেশ যদি তা জব্দ করে তাহলে আমরা খুশি হব।

মতবিনিময় সভা শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে দুর্নীতির মাধ্যমে কেউ যুক্তরাষ্ট্রে টাকা পাচার করলে, সেই টাকা জব্দ করা হবে।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে আমরা খুব খুশি হব। তবে ওদের (যুক্তরাষ্ট্রের) দেশে আইন আছে কেউ সেখানে টাকা নিয়ে গেলে ওয়ার্ক পারমিট পায়, সিটিজেনশিপ পায়। ওদের মতো এমন আরো অনেক দেশ আছে। তবে আমাদের দেশ থেকে কেউ যদি সেখানে (যুক্তরাষ্ট্রে) টাকা নিয়ে যায়, আর তারা যদি সে টাকা জব্দ করে, আমরা খুব খুশি হব।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে নতুন করে ১১ জন বাংলাদেশির ওপর নিষেধাজ্ঞা আসছে। গণমাধ্যমের এমন খবরের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেটা তারাই বলতে পারবে, তাদের জিজ্ঞেস করেন।

মতবিনিময়ে কী বিষয়ে আলাপ হয়েছে জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, এটা রুটিন ওয়ার্ক। প্রায়ই এ ধরনের মতবিনিময় করে আমরা পরামর্শ নিয়ে থাকি।

তিনি বলেন, বিদেশি দূতদের সঙ্গে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের কী ধরনের প্রশ্ন করা উচিৎ, সে বিষয়ে মতবিনিময় সভায় অনেকেই পরামর্শ দিয়েছেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশন দেওয়া উচিত বলেও জানিয়েছেন কেউ কেউ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে প্রশ্ন করা উচিৎ জেনেভা কনভেনশন তারা ভঙ্গ করেছেন কি না, তাদের ওখানে বিচার বহির্ভূত হত্যা কেন হয়, তাদের ওখানে অংশীদারিত্বমূলক নির্বাচন হয় কি না। তবে এমন প্রশ্ন এখানকার সাংবাদিকরা করেন না। কীভাবে প্রশ্ন করতে হবে, সাংবাদিকদের তা নিয়ে ওরিয়েন্টেশন দেওয়া উচিত।

ড. মোমেন আরও বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে মতবিনিময় সভায় তারা আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন, সে জন্য আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ১৪ কংগ্রেসম্যান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে যে চিঠি দিয়েছেন, সেখানকার অনেক তথ্য সঠিক নয়। সে কারণে আমাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, এ বিষয়ে সেমিনার করে সঠিক তথ্য তুলে ধরা উচিত।

মতবিনিময়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা কী নির্দেশনা দিয়েছেন, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটা হচ্ছে আগামী দিনে আমরা কীভাবে কূটনীতিকদের ম্যানেজ করবো, তারা বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বলেছেন, ১৪ জন কংগ্রেসম্যান চিঠি লিখেছেন। সেখানে তারা বলেছেন, বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এত বেশি নির্যাতিত হয়েছেন যে গত ১০ বছরে তাদের সংখ্যা অর্ধেক কমে গেছে। এর ওপর একটি সেমিনার করতে বলেছেন। সেই সেমিনারে আসল তথ্য তুলে ধরা উচিত।

কূটনীতিকদের কীভাবে ম্যানেজ করতে বলেছেন- প্রশ্নে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিদেশি কূটনীতিকরা একটু আগ বাড়িয়ে কথা বলেন। অন্য কোনো দেশে এভাবে বলেন না। আলোচনায় যেসব কূটনীতিক ছিলেন, তারা বলেছেন যে আমরা তো বহু বছর বিদেশে চাকরি করেছি, কিন্তু বাংলাদেশের মতো এমন অবস্থা কোথাও দেখিনি।

ড. এ কে আব্দুল মোমেন আরও বলেন, আমাদের দেশে ঐতিহাসিকভাবে এটা হয়ে আসছে, এ জন্য বিভিন্ন মহল দায়ী। তবে এই সংস্কৃতি একদিনে পরিবর্তন করা হয়তো সম্ভব হবে না। কিন্তু আমি মনে করি, এখন সময় হয়েছে। এরপর একটা সেমিনার করবো।

আগামী সপ্তাহে দুই মার্কিন কংগ্রেসম্যান বাংলাদেশ সফরে আসছেন। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের ৫০ বছর পূর্তি উৎসবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন খুব আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক, খুবই শক্তিশালী সম্পর্ক করতে চান তিনি। তখন তিনি বলেছেন যে বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনীতি। এশিয়ান টাইগার। তারই পরিপ্রেক্ষিতে একের পর এক সিনিয়র কর্মকর্তারা এসেছেন, আমরা তাদের স্বাগত জানিয়েছি। তারা স্বেচ্ছায় এসেছেন, আমরাও খুব খুশি। কারণ, করোনা মহামারির সময় দুই বছরের বেশি সময় এই এনগেজমেন্ট (যোগাযোগ) কম ছিল। আর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক। কাজেই তারা এসেছেন।

আব্দুল মোমেন জানান, এছাড়াও বাংলাদেশে একটি বড় ইস্যু রোহিঙ্গা। ওই দুজন আসছেন মূলত রোহিঙ্গাদের বিষয়টি দেখার জন্য। রোহিঙ্গাদের আগে ১২ ডলার সহায়তা দেওয়া হতো, এখন কমিয়ে আট ডলার করা হয়েছে। আর রোহিঙ্গা ইস্যুতে সবচেয়ে বড় দাতা যুক্তরাষ্ট্র। তারা (দুই কংগ্রেসম্যান) একটি অনুমোদন কমিটির সদস্য, তারাই টাকা অনুমোদন করেন। এখন এসে দেখবেন, আরও অর্থের দরকার আছে কি না, বাড়ানোর প্রয়োজন কি না। কেন কমলো? আর যে টাকা দেন, সেটির কতটা ব্যবহার হচ্ছে। এসব যাচাই-বাছাই করবেন। তারা তো আমাদের টাকা দেন না, দেন ইউনিসেফকে।

মতবিনিময় সভায় অংশ নেন সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক এ করিম, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ফারুক সোবহান, শমসের মবিন চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, অধ্যাপক লাইলুফার ইয়াসমিন, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, নাঈমুল ইসলাম খান, রাহুল রাহা, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) আব্দুর রশীদ প্রমুখ।