Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনকালীন সময় কার্যত সরকারের কোনো কার্যক্রম থাকে না : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনকালীন সময় কার্যত সরকারের কোনো কার্যক্রম থাকে না। কাউকে ট্রান্সপারের ক্ষমতা থাকে না। সরকার রুটিন কাজ ছাড়া কিছুই করতে পারে না।

সোমবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এসময় বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক নির্মাণ সমাপ্তি ও দেশব্যাপী প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য সিনেমা হল মালিক সমিতির পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।

তিনি বলেন, ক্ষমতা মূলত নির্বাচন কমিশনের কাছে ন্যাস্ত হয় নির্বাচনি আইন অনুযায়ী। এটি অত্যন্ত স্বচ্ছ নির্বাচনি আইন এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বকৃীত একটি ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থার ওপর যদি আস্থা না থাকে তাহলে দেশ, রাষ্ট্র, জনগণ কোনও কিছুর ওপর আস্থা নেই। তাদের দেশের ওপর আস্থা নেই দেখেই ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন পাকিস্তান আমল ভালো ছিল। যারা একথা বলে তাদের দেশে রাজনীতি করার অধিকার থাকা উচিত নয় বলে মনে করেন বোদ্ধাব্যক্তিরা। তবে আমরা মনে করি, তারা যেহেতু রাজনীতি করছে তারা নির্বাচনে আসুক। আমরা তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক একটি নির্বাচন চাই।

মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল আজ বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করেছে সেখানে দলটি বলেছে, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বারংবার এ কথা বলে আসছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বলেছিল পড়ে আবার নির্বাচনে অংশগ্রহণও করেছিল। আমি আশা করবো এবারও তারা নির্বাচনে অংশ নেবে।

তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলো কি করলো না তার চেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে জনগণ অংশগ্রহণ করলো কি না। জনগণের অংশগ্রহণে কোন কোন রাজনৈতিক দল যদি অর্থাৎ বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা যদি নির্বাচন বর্জনও করে সঠিক সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের অংশগ্রহণে একটি আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপি বলেছে, আওয়ামী লীগ চায় না বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক বিষয়টি কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা চাই তারা নির্বাচনে আসুক। আমরা না চাইলে বারংবার কেন আহ্বান জানাচ্ছি। আসলে বিএনপি চায় নির্বাচনে জেতার নিশ্চয়তা। তাদের বক্তব্যটা এরকম নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা। তারা যদি এত জনপ্রিয় হয় তাহলে নির্বাচনে আসুক।

বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার মেডিক্যাল বোর্ড আজ বলেছে, তার লিভার প্রতিস্থাপন করা দরকার। তার মৃত্যু ঝুঁকিও রয়েছে। এ অবস্থায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে দেওয়া উচিত কিনা- এবিষয় মতামত জানতে চাইল তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি মহান স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি বেগম জিয়া যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন বরাবরের মতো। অতীতেও যখন খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়েছেন তখনও বিএনপি বলেছিল বেগম জিয়ার মৃত্যুঝুঁকি রয়েছে, তাকে বাঁচানো যাবে না যদি বিদেশ নেওয়া না হয়। তখনও মেডিক্যাল টিম এ ধরনের ব্রিফ করেছিল। কিন্তু আল্লাহর রহমতে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের চিকিৎসা সেবায় তিনি প্রতিবারই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। আমি প্রার্থনা করি তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাবেন। তিনি যাতে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা পান সেজন্য সরকার আন্তরিক এবং সব ধরনের সহযোগিতা করছে।

তিনি বলেন, দেশের সবচেয়ে ভালো একটি হাসপাতালে তার চিকিৎসা অনুযায়ী চিকিৎসা নিচ্ছেন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যদি বাইরের ডাক্তার আনার প্রয়োজন পড়ে তারা আনতে পারেন। আর বিদেশে পাঠানো সেটি আদালতের এখতিয়ার। তাদের সেটি করতে হলে আদালতের শরণাপন্ন হতে হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চাঁদাবাজি নয়, ভাঙারি দোকান দখল দ্বন্দ্বেই মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড: ডিএমপি

নির্বাচনকালীন সময় কার্যত সরকারের কোনো কার্যক্রম থাকে না : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৩:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনকালীন সময় কার্যত সরকারের কোনো কার্যক্রম থাকে না। কাউকে ট্রান্সপারের ক্ষমতা থাকে না। সরকার রুটিন কাজ ছাড়া কিছুই করতে পারে না।

সোমবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এসময় বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক নির্মাণ সমাপ্তি ও দেশব্যাপী প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য সিনেমা হল মালিক সমিতির পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।

তিনি বলেন, ক্ষমতা মূলত নির্বাচন কমিশনের কাছে ন্যাস্ত হয় নির্বাচনি আইন অনুযায়ী। এটি অত্যন্ত স্বচ্ছ নির্বাচনি আইন এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বকৃীত একটি ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থার ওপর যদি আস্থা না থাকে তাহলে দেশ, রাষ্ট্র, জনগণ কোনও কিছুর ওপর আস্থা নেই। তাদের দেশের ওপর আস্থা নেই দেখেই ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন পাকিস্তান আমল ভালো ছিল। যারা একথা বলে তাদের দেশে রাজনীতি করার অধিকার থাকা উচিত নয় বলে মনে করেন বোদ্ধাব্যক্তিরা। তবে আমরা মনে করি, তারা যেহেতু রাজনীতি করছে তারা নির্বাচনে আসুক। আমরা তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক একটি নির্বাচন চাই।

মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল আজ বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করেছে সেখানে দলটি বলেছে, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বারংবার এ কথা বলে আসছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বলেছিল পড়ে আবার নির্বাচনে অংশগ্রহণও করেছিল। আমি আশা করবো এবারও তারা নির্বাচনে অংশ নেবে।

তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলো কি করলো না তার চেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে জনগণ অংশগ্রহণ করলো কি না। জনগণের অংশগ্রহণে কোন কোন রাজনৈতিক দল যদি অর্থাৎ বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা যদি নির্বাচন বর্জনও করে সঠিক সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের অংশগ্রহণে একটি আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপি বলেছে, আওয়ামী লীগ চায় না বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক বিষয়টি কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা চাই তারা নির্বাচনে আসুক। আমরা না চাইলে বারংবার কেন আহ্বান জানাচ্ছি। আসলে বিএনপি চায় নির্বাচনে জেতার নিশ্চয়তা। তাদের বক্তব্যটা এরকম নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা। তারা যদি এত জনপ্রিয় হয় তাহলে নির্বাচনে আসুক।

বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার মেডিক্যাল বোর্ড আজ বলেছে, তার লিভার প্রতিস্থাপন করা দরকার। তার মৃত্যু ঝুঁকিও রয়েছে। এ অবস্থায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে দেওয়া উচিত কিনা- এবিষয় মতামত জানতে চাইল তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি মহান স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি বেগম জিয়া যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন বরাবরের মতো। অতীতেও যখন খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়েছেন তখনও বিএনপি বলেছিল বেগম জিয়ার মৃত্যুঝুঁকি রয়েছে, তাকে বাঁচানো যাবে না যদি বিদেশ নেওয়া না হয়। তখনও মেডিক্যাল টিম এ ধরনের ব্রিফ করেছিল। কিন্তু আল্লাহর রহমতে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের চিকিৎসা সেবায় তিনি প্রতিবারই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। আমি প্রার্থনা করি তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাবেন। তিনি যাতে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা পান সেজন্য সরকার আন্তরিক এবং সব ধরনের সহযোগিতা করছে।

তিনি বলেন, দেশের সবচেয়ে ভালো একটি হাসপাতালে তার চিকিৎসা অনুযায়ী চিকিৎসা নিচ্ছেন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যদি বাইরের ডাক্তার আনার প্রয়োজন পড়ে তারা আনতে পারেন। আর বিদেশে পাঠানো সেটি আদালতের এখতিয়ার। তাদের সেটি করতে হলে আদালতের শরণাপন্ন হতে হবে।