Dhaka সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন যাতে না হয় সেজন্য বিরাট চক্রান্ত ছিল : প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৪:১৫:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১৯১ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন যাতে না হয় তার জন্য বিরাট চক্রান্ত ছিল। ২৮ অক্টোবরের কথাটা চিন্তা করেন, ২০১৩ সালে অগ্নিসন্ত্রাস, এগুলো হঠাৎ করে করার কথা না, এগুলো পরিকল্পিতভাবে করা।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে গণভবনে তিনদিনের জার্মানি সফর নিয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ইউরোপের প্রত্যেক দেশের সঙ্গে রাষ্ট্রীয়ভাবে এবং আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকার কারণে একটা সুবিধা হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো কথা আমাকে বলেনি। তারা নিজেরাই জানত যে, নির্বাচনে আমি জিতে আসব। যারা চায়নি (যে আমি জয়ী হই) তারাই প্রশ্ন ওঠায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা নির্বাচন বানচালের পক্ষে, তারা যখন দেখল যে নির্বাচন কোনোভাবে আটকাতে পারবে না, তখন চক্রান্ত হলো জিনিসের দাম বাড়বে। তারপর সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হবে। তখন আন্দোলন করে সরকারকে উৎখাত করব। এটা তাদের পরিকল্পনার অংশ। এ চক্রান্তটা আছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ষড়যন্ত্র চলছে, ষড়যন্ত্র আছে। আমি আসার পর থেকে বারবার আমাকে বাধা দেওয়া হয়েছে, আমি যেন ক্ষমতা না যেতে পারি। ৭৫-এ জাতির পিতা হত্যাকে ধরেন না কেন? রাসেলকে তো তারা ছাড়েনি। কেন? ওই রক্তের কেউ বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসতে না পারে। আমি আর আমার ছোট বোন বিদেশে ছিলাম বেঁচে গেছি, তারপরও ফিরে এসে দায়িত্ব নিয়েছি। আমার চেষ্টায় হচ্ছে, যে স্বপ্ন নিয়ে জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেছেন সেটা পূরণ করা। সেক্ষেত্রে ষড়যন্ত্র বারবার হচ্ছে। ভোটের অধিকার আন্দোলনের মধ্যে আমরাই প্রতিষ্ঠিত করেছি। গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে এনেছি।

তিনি বলেন, মাঘের শেষেও বৃষ্টি হলো, আবার ফাল্গুনের শুরুতে বৃষ্টি, আমের মুকুলগুলো আবার তরতাজা হয়ে উঠছে। সেচের প্রয়োজন হবে না বৃষ্টি হচ্ছে। খাদ্যপণ্যের উৎপাদনে কোনো অসুবিধা হবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, কিছু কথা বলা আমাদের বাঙালির চরিত্র, কিছু ভালো লাগে না। একটা দলই আছে যাদের কিছু ভালো লাগে না। তারপর যখন হয়, তখন সেটা তারা উপভোগ করে।

তিনি বলেন, আমি নিজেই একটি টেলিভিশনের টকশোতে শুনেছি। হঠাৎ মাঝে মাঝে শোনা হয়। আমি জানি না, আমার কী রকম ভাগ্য আছে। মাঝে মাঝে কিছু ক্রিটিকাল জায়গায় হয়তো বসে আছি, (রিমোট কন্ট্রোল) টিপে একটার পর একটা দেখতে থাকি। খেলা যখন দেখি, তখন দেখলাম তুমুল আলোচনা। এই ৩০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে মেট্রোরেল করার কী দরকার ছিল, ৩ হাজার কোটি টাকায় ট্রাফিক জ্যাম বন্ধ করা যেত, এ টাকা বাস কিনে দিলে ট্রাফিক জ্যাম বন্ধ হয়ে যেত, কাজেই ৩০ হাজার কোটি টাকা কেন লাগবে?– এটা নিয়ে তুমুল অবস্থা, অনেক আলোচনা। যারা এ আলোচনাগুলো করেছিল এখন কী ভাবছে? তার মধ্যে একজন ছিল দূষণের ব্যাপারে। মেট্রোরেল তো দূষণ করে না। এটা নিয়ে তার কিছুই বলার ছিল না, বলেনি। একজনকে পেয়েছিলাম, জিজ্ঞেস করলাম কী ব্যাপার? তখন সে বলেছিল আপা আমি কিছু বলি নাই।

এবারের সংসদে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন পেয়েছেন। তাদের কেউ সরাসরি ভোটে নির্বাচিত আবার কেউ সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন। সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সংসদে নেওয়ার কারণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সংসদে আনার চেষ্টা করি। দেশে দীর্ঘদিন সামরিক স্বৈরশাসন চলেছে। এ জন্য গণতান্ত্রিক অনুশীলনের সুযোগ কম আমাদের ছিল। এ সময় জাতীয় সংসদে সাংবিধানিক কাজগুলো কীভাবে হয় তা সাংবাদিকদের সরাসরি দেখার সুযোগ দিতেই সাংবাদিক ও গণমাধ্যম মালিকদের সংসদে আনার চেষ্টা করা হয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

এ বিষয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিক মনজুরুল ইসলাম বুলবুল। তিনি টানা চতুর্থ ও পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রীকে। পাশাপাশি ১১জন গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সংসদ সদস্য মনোনয়ন দেওয়ায় ধন্যবাদ জানান। এসময় হাসতে হাসতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দিছি কেনো জানেন না? সাংবাদিকরা যাতে আমাদের সমালোচনা না করতে পারে, সে জন্য।’

শেখ হাসিনা বলেন, সংসদ কীভাবে কাজ করে, আমাদের সাংবিধানিক কাজ কীভাবে হয় সেটা সবার দেখা দরকার। জানা দরকার। সে জন্য সাংবাদিকদের সংসদের আনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী মজা করে বলেন, ‘সাংবাদিকেরা যাতে আমাদের সমালোচনা করতে না পারেন তার জন্য মনোনয়ন দিয়েছি।’

সংবাদ সম্মেলনে জার্মানি সফরে পশ্চিমা বিশ্বের একাধিক রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গে বৈঠক ও সাক্ষাতের সময় বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা উঠেছে কি না—এমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে তাদের সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। নির্বাচন নিয়ে তাদের কোনো উদ্বেগও নেই, মন্তব্যও নেই, প্রশ্ন নাই। নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয় নাই, বেশির ভাগ কথা হয়েছে দ্বিপক্ষীয়।’

পাকিস্তানের নির্বাচন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, যেসব দেশের ভোটের ফল ঘোষণা করতে ১০ / ১২ দিন লাগল সেই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু। আর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যে দেশ ফলাফল দিল সেটা অবাধ, সুষ্ঠু না। এ রোগের কোনো ওষুধ আমাদের কাছে নেই। শক্তি আমাদের জনগণ, সেটাই বিশ্বাস করি। আমি কোনো দেশের নাম বলব না। আপনারা জানেন ভালো করে। এখন কেবল সমঝোতায় এসেছে। কে প্রেসিডেন্ট হবে, কে কী হবে। এ রকম আমাদের দেশে হলে তারা খুশি হতো, সেটা হয়নি দেখে তাদের মন খারাপ। তবে মন খারাপ ভালো হয়ে যাবে, অসুবিধা নেই।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে ভালো বন্ধুত্ব আমাদের আছে। ফ্রান্স জলবায়ু পরিবর্তনের (প্রভাব মোকাবিলার) জন্য ১ বিলিয়ন ডলার দেবে। ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক আছে, আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকায়ও সুবিধা হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে কেউ কোন কথা বলেনি। তারা নিজেরাই জানত নির্বাচনে আমি জিতে আসব। যারা চায় নাই, তারাই কথা ওঠায়।’

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর প্রথমবারের মত সংবাদ সম্মেলন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবাদ সম্মেলনে ‘মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন’-এ যোগদান উপলক্ষে সম্প্রতি জার্মানি সফরের নানা দিক নিয়ে অভিজ্ঞতা জানান।

আবহাওয়া

নির্বাচন যাতে না হয় সেজন্য বিরাট চক্রান্ত ছিল : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৪:১৫:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন যাতে না হয় তার জন্য বিরাট চক্রান্ত ছিল। ২৮ অক্টোবরের কথাটা চিন্তা করেন, ২০১৩ সালে অগ্নিসন্ত্রাস, এগুলো হঠাৎ করে করার কথা না, এগুলো পরিকল্পিতভাবে করা।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে গণভবনে তিনদিনের জার্মানি সফর নিয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ইউরোপের প্রত্যেক দেশের সঙ্গে রাষ্ট্রীয়ভাবে এবং আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকার কারণে একটা সুবিধা হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো কথা আমাকে বলেনি। তারা নিজেরাই জানত যে, নির্বাচনে আমি জিতে আসব। যারা চায়নি (যে আমি জয়ী হই) তারাই প্রশ্ন ওঠায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা নির্বাচন বানচালের পক্ষে, তারা যখন দেখল যে নির্বাচন কোনোভাবে আটকাতে পারবে না, তখন চক্রান্ত হলো জিনিসের দাম বাড়বে। তারপর সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হবে। তখন আন্দোলন করে সরকারকে উৎখাত করব। এটা তাদের পরিকল্পনার অংশ। এ চক্রান্তটা আছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ষড়যন্ত্র চলছে, ষড়যন্ত্র আছে। আমি আসার পর থেকে বারবার আমাকে বাধা দেওয়া হয়েছে, আমি যেন ক্ষমতা না যেতে পারি। ৭৫-এ জাতির পিতা হত্যাকে ধরেন না কেন? রাসেলকে তো তারা ছাড়েনি। কেন? ওই রক্তের কেউ বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসতে না পারে। আমি আর আমার ছোট বোন বিদেশে ছিলাম বেঁচে গেছি, তারপরও ফিরে এসে দায়িত্ব নিয়েছি। আমার চেষ্টায় হচ্ছে, যে স্বপ্ন নিয়ে জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেছেন সেটা পূরণ করা। সেক্ষেত্রে ষড়যন্ত্র বারবার হচ্ছে। ভোটের অধিকার আন্দোলনের মধ্যে আমরাই প্রতিষ্ঠিত করেছি। গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে এনেছি।

তিনি বলেন, মাঘের শেষেও বৃষ্টি হলো, আবার ফাল্গুনের শুরুতে বৃষ্টি, আমের মুকুলগুলো আবার তরতাজা হয়ে উঠছে। সেচের প্রয়োজন হবে না বৃষ্টি হচ্ছে। খাদ্যপণ্যের উৎপাদনে কোনো অসুবিধা হবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, কিছু কথা বলা আমাদের বাঙালির চরিত্র, কিছু ভালো লাগে না। একটা দলই আছে যাদের কিছু ভালো লাগে না। তারপর যখন হয়, তখন সেটা তারা উপভোগ করে।

তিনি বলেন, আমি নিজেই একটি টেলিভিশনের টকশোতে শুনেছি। হঠাৎ মাঝে মাঝে শোনা হয়। আমি জানি না, আমার কী রকম ভাগ্য আছে। মাঝে মাঝে কিছু ক্রিটিকাল জায়গায় হয়তো বসে আছি, (রিমোট কন্ট্রোল) টিপে একটার পর একটা দেখতে থাকি। খেলা যখন দেখি, তখন দেখলাম তুমুল আলোচনা। এই ৩০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে মেট্রোরেল করার কী দরকার ছিল, ৩ হাজার কোটি টাকায় ট্রাফিক জ্যাম বন্ধ করা যেত, এ টাকা বাস কিনে দিলে ট্রাফিক জ্যাম বন্ধ হয়ে যেত, কাজেই ৩০ হাজার কোটি টাকা কেন লাগবে?– এটা নিয়ে তুমুল অবস্থা, অনেক আলোচনা। যারা এ আলোচনাগুলো করেছিল এখন কী ভাবছে? তার মধ্যে একজন ছিল দূষণের ব্যাপারে। মেট্রোরেল তো দূষণ করে না। এটা নিয়ে তার কিছুই বলার ছিল না, বলেনি। একজনকে পেয়েছিলাম, জিজ্ঞেস করলাম কী ব্যাপার? তখন সে বলেছিল আপা আমি কিছু বলি নাই।

এবারের সংসদে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন পেয়েছেন। তাদের কেউ সরাসরি ভোটে নির্বাচিত আবার কেউ সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন। সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সংসদে নেওয়ার কারণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সংসদে আনার চেষ্টা করি। দেশে দীর্ঘদিন সামরিক স্বৈরশাসন চলেছে। এ জন্য গণতান্ত্রিক অনুশীলনের সুযোগ কম আমাদের ছিল। এ সময় জাতীয় সংসদে সাংবিধানিক কাজগুলো কীভাবে হয় তা সাংবাদিকদের সরাসরি দেখার সুযোগ দিতেই সাংবাদিক ও গণমাধ্যম মালিকদের সংসদে আনার চেষ্টা করা হয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

এ বিষয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিক মনজুরুল ইসলাম বুলবুল। তিনি টানা চতুর্থ ও পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রীকে। পাশাপাশি ১১জন গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সংসদ সদস্য মনোনয়ন দেওয়ায় ধন্যবাদ জানান। এসময় হাসতে হাসতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দিছি কেনো জানেন না? সাংবাদিকরা যাতে আমাদের সমালোচনা না করতে পারে, সে জন্য।’

শেখ হাসিনা বলেন, সংসদ কীভাবে কাজ করে, আমাদের সাংবিধানিক কাজ কীভাবে হয় সেটা সবার দেখা দরকার। জানা দরকার। সে জন্য সাংবাদিকদের সংসদের আনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী মজা করে বলেন, ‘সাংবাদিকেরা যাতে আমাদের সমালোচনা করতে না পারেন তার জন্য মনোনয়ন দিয়েছি।’

সংবাদ সম্মেলনে জার্মানি সফরে পশ্চিমা বিশ্বের একাধিক রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গে বৈঠক ও সাক্ষাতের সময় বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা উঠেছে কি না—এমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে তাদের সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। নির্বাচন নিয়ে তাদের কোনো উদ্বেগও নেই, মন্তব্যও নেই, প্রশ্ন নাই। নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয় নাই, বেশির ভাগ কথা হয়েছে দ্বিপক্ষীয়।’

পাকিস্তানের নির্বাচন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, যেসব দেশের ভোটের ফল ঘোষণা করতে ১০ / ১২ দিন লাগল সেই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু। আর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যে দেশ ফলাফল দিল সেটা অবাধ, সুষ্ঠু না। এ রোগের কোনো ওষুধ আমাদের কাছে নেই। শক্তি আমাদের জনগণ, সেটাই বিশ্বাস করি। আমি কোনো দেশের নাম বলব না। আপনারা জানেন ভালো করে। এখন কেবল সমঝোতায় এসেছে। কে প্রেসিডেন্ট হবে, কে কী হবে। এ রকম আমাদের দেশে হলে তারা খুশি হতো, সেটা হয়নি দেখে তাদের মন খারাপ। তবে মন খারাপ ভালো হয়ে যাবে, অসুবিধা নেই।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে ভালো বন্ধুত্ব আমাদের আছে। ফ্রান্স জলবায়ু পরিবর্তনের (প্রভাব মোকাবিলার) জন্য ১ বিলিয়ন ডলার দেবে। ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক আছে, আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকায়ও সুবিধা হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে কেউ কোন কথা বলেনি। তারা নিজেরাই জানত নির্বাচনে আমি জিতে আসব। যারা চায় নাই, তারাই কথা ওঠায়।’

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর প্রথমবারের মত সংবাদ সম্মেলন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবাদ সম্মেলনে ‘মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন’-এ যোগদান উপলক্ষে সম্প্রতি জার্মানি সফরের নানা দিক নিয়ে অভিজ্ঞতা জানান।