নিজস্ব প্রতিবেদক :
নির্বাচন যত পিছিয়ে যাবে সংকট তত তীব্র হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
শনিবার (১২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন আয়োজিত প্রতীকী প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। অবিলম্বে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচন যত পিছিয়ে যাবে সংকট তত তীব্র হবে উল্লেখ করে তিনি শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বর্তমান সরকারের কাছে ছোট একটি প্রত্যাশা ছাড়া তেমন কিছু নেই। দীর্ঘ ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারে না। ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার জ্ঞান গরিমা ও কর্মের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ব্যক্তি। তিনি নির্বাচন কবে হবে এ কথাটা যতদিন জাতিকে জানাতে না পারবেন, ততদিন নানা বিতর্ক তৈরি হবে। এই বিতর্ক সৃষ্টিতে সরকারের ভূমিকা থাক এটা আমরা প্রত্যাশা এবং পছন্দ করি না।
তিনি বলেন, এক মাসে কিছু হয় না। ১৬টি বছর এদেশের মানুষ রক্ত দিয়েছে। ১৬টি বছর এদেশের ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক গুম ও নিখোঁজ হয়েছে। ১৬টি বছর জেল খেটেছে। এক মাসের আন্দোলনের কথা সব বিবেচনায় যদি এনে থাকেন সেটা ঠিক হয়নি। এজন্য যত তাড়াতাড়ি নির্বাচন করা সম্ভব হবে তত তাড়াতাড়ি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। যত তাড়াতাড়ি নির্বাচন করা সম্ভব হবে তত তাড়াতাড়ি নির্বাচিত সরকার দেশ পরিচালনায় তার উপযুক্ততা প্রমাণ করতে পারবে। এটাই আমাদের মাথায় রাখতে হবে। সেদিকেই আমি সরকারকে আহ্বান করি। কারণ এই সরকার আমাদের সরকার। এই সরকার ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা গণতন্ত্র বিপন্ন হবে। সে জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান করছি।
কৃষক দলের সাবেক আহ্বায়ক আরও বলেন, আমাদের আন্দোলনের একমাত্র মাস্টারমাইন্ড হচ্ছেন তারেক রহমান। কার্যকর আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য যা করা দরকার সবই করেছেন তিনি। এটা যদি কাউকে ব্যাখ্যা করে বোঝাতে হয় তাহলে একটু অসুবিধা আছে। ১৬ বছর ধরে হাসিনা বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছে। আর তারেক রহমান বিচক্ষণতার সঙ্গে বিএনপিকে রক্ষা করেছেন।
তিনি বলেন, বাজারে আগুন লেগে গেছে। দ্রব্যমূল্যের দাম এতটাই বেড়েছে যে মানুষ অস্বস্তিতে পড়েছে। নতুন সরকার আসার পরে এই অবস্থা হবে সেটা কেউ প্রত্যাশা করেনি। তারা প্রত্যাশা করেছিল, জিনিসপত্রের দাম কমবে। সংস্কার সরকার করবে সে সংস্কার পরবর্তী সরকার সংসদে এসে অনুমোদন করবে।
দুদু বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মিলেমিশে চলাটাই এ সরকারের সাফল্যের একটি কারণ হতে পারে। দূরত্ব বাড়লে দেশের জন্য গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীনতার জন্য মানুষের বিপদ হতে পারে। সরকার অনতিবিলম্বে কতদিনের মধ্যে নির্বাচন প্রত্যাশা করে এটি যত তাড়াতাড়ি তারা বলবে।
প্রতীকী সমাবেশে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক এম জাহাঙ্গীর আলম সভাপতিত্ব করেন এবং সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মোফাজ্জেল হোসেন হৃদয় সঞ্চালনা করেন। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক জেড খান মো. রিয়াজউদদীন নসু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রিন্সিপাল শাহ মুহাম্মদ নেছারুল হক।
নিজস্ব প্রতিবেদক 
























