নিজস্ব প্রতিবেদক :
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন নিয়ে আসা বিভিন্ন মন্তব্যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ।
মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম আয়োজিত ছাত্র-জনতার সংহতি সমাবেশ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বিপ্লব ও সংস্কারের মূলমন্ত্রই হলো জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন। সেজন্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। তবে সরকার নির্বাচন নিয়ে রহস্য করছে। সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে আসা নানা মন্তব্যে জনমনে ধূম্রজাল তৈরি হয়েছে।
ববি হাজ্জাজ বলেন, সংস্কারে গঠিত কমিশনগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করতে পারেনি, যা আজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। এখন সরকার বলছে সংস্কার নিয়ে প্রথমে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করবে। আমরাও এ দাবি জানিয়েছিলাম। দেরিতে হলেও সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হওয়ায় আমরা আনন্দিত। আমরা এ সরকারকে কোনভাবেই ব্যর্থ দেখতে চাই না।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, নির্বাচন কবে হবে সেটা ঠিক করবে দেশের জনগণ। আমাদের প্রশ্ন, জনগণকে কি তাহলে নির্বাচনের দাবি আদায়ের জন্য আবার রাজপথে নামতে হবে? একমাত্র নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেই জনগণের রায় জানা যাবে।
গণ-অভ্যুত্থানের লড়াইয়ে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়ে ববি হাজ্জাজ বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে থাকা বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামসহ ধর্মভিত্তিক অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আমরা কোনও দূরত্ব চাই না। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ না থাকলে পরাজিত আওয়ামী ফ্যাসিবাদ চোরাগোপ্তা হামলার সুযোগ খুঁজবে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে থাকা বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীসহ ধর্মভিত্তিক অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আমরা কোনো দূরত্ব চাই না। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ না থাকলে পরাজিত আওয়ামী ফ্যাসিবাদ চোরাগোপ্তা হামলার সুযোগ খুঁজবে। স্বৈরাচার হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শেষ অপরাধীর বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
এনডিএমর ছাত্র সংগঠন ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের মুখপাত্র মাসুদ রানা জুয়েলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য দেন এনডিএম মহাসচিব মোমিনুল আমিন।