Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের চাপ দেওয়ার অধিকার নেই : ইসি আলমগীর

জামালপুর জেলা প্রতিনিধি : 

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বরেছেন, সংসদ নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ওপর বিদেশিদের কোনো চাপ নেই এবং চাপ দেওয়ার কোনো অধিকারও নেই।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় জামালপুর জেলার রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচনসংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের কোনো চাপ নেই। চাপ দেওয়ার কোনো অধিকারও বিদেশিদের নেই। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ। নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। তারা (বিদেশি) জানতে চায় নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কার্যক্রমের মাধ্যমে বুঝতে চায়, একটি ভালো নির্বাচন করার যেসব ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, তা আমরা নিয়েছি কি না। আমরা নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা দেখছি না। যথাসময়েই নির্বাচন হবে।

আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে তিনি বলেন, অনেকেই আচরণ বিধি পড়েন না, আচরণবিধি ভঙ্গের কারণগুলো, অনেকেই কী করলে আচরণবিধি ভঙ্গ হয় ভালোভাবে জানেন না। কোনো প্রার্থী যদি বারবার আচরণবিধি ভঙ্গ করেন, তাকে আর ক্ষমা করা হবে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে এবং ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সে জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার, তার সবই করা হবে।

তিনি বলেন, বিএনপি যেহেতু নির্বাচনে আসেনি তাদের জন্য নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা প্রযোজ্য নয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ যেহেতু নির্বাচনে এসেছে তাদের জন্য আচরণ বিধিমালা প্রযোজ্য।

বিএনপির নির্বাচনে না আসা প্রসঙ্গে ইসি বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে না আসে সেটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। সেই বিষয়ে কারও কোনও হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই। যারা নির্বাচনের বিপক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে বা হিংসাত্মক কার্যক্রম করছে সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। সুষ্ঠু ও সুন্দর ভোট হলে এবং যদি ভোটার সংখ্যা বেশি হয় তাহলে সেটা অবশ্যই দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা পাবে।’

রাজনৈতিক দলগুলোর সভাসমাবেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বিএনপি যেহেতু নির্বাচনে আসেনি তাদের জন্য নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা প্রযোজ্য নয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ যেহেতু নির্বাচনে এসেছে তাদের জন্য আচরণ বিধিমালা প্রযোজ্য। বিএনপি আমাদের কাছে কর্মসূচি পালনের জন্য অনুমতি চায়নি। অনুমতি চাইবে পুলিশের কাছে, আমাদের কাছে না।’

১০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক কর্মসূচি অনুমতি না দেওয়া এবং বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ইসি বলেন, যেহেতু আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আছে তাই নির্বাচন আচরণবিধি প্রযোজ্য। বিএনপি আমাদের কাছে অনুমতি চায়নি, সভা সমাবেশের জন্য পুলিশের অনুমতি চাইতে পারে। ওটা পুলিশের বিষয়।

পুলিশ নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করছে, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মসূচির অনুমতি পেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যস্ততা বাড়বে এবং আওয়ামী লীগের নির্বাচন আচরণবিধি ভঙ্গের কারণও হতে পারে, তাই সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে কোনো অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারের রুমে গিয়ে পরিচয় দেবেন এবং সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারকে আপনার কার্ড দেখাবেন। আপনি ভোটকেন্দ্রে লাইভ, রেকর্ড ও সাক্ষাৎকার নিতে চাইলে লাইনে থাকা অবস্থায় করতে হবে। এছাড়া কক্ষের ভেতরে ঢুকতে পারবেন, ছবি তুলতে পারবেন তবে বক্তব্য নিতে পারবেন না, লাইভ করতে পারবেন না। এক রুমে ১০ মিনিটের বেশি থাকা যাবে না।

জামালপুরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মো. শফিউর রহমান, পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শানিয়াতজ্জামানসহ নির্বাচনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের চাপ দেওয়ার অধিকার নেই : ইসি আলমগীর

প্রকাশের সময় : ০৫:৫৫:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩

জামালপুর জেলা প্রতিনিধি : 

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বরেছেন, সংসদ নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ওপর বিদেশিদের কোনো চাপ নেই এবং চাপ দেওয়ার কোনো অধিকারও নেই।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় জামালপুর জেলার রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচনসংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের কোনো চাপ নেই। চাপ দেওয়ার কোনো অধিকারও বিদেশিদের নেই। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ। নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। তারা (বিদেশি) জানতে চায় নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কার্যক্রমের মাধ্যমে বুঝতে চায়, একটি ভালো নির্বাচন করার যেসব ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, তা আমরা নিয়েছি কি না। আমরা নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা দেখছি না। যথাসময়েই নির্বাচন হবে।

আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে তিনি বলেন, অনেকেই আচরণ বিধি পড়েন না, আচরণবিধি ভঙ্গের কারণগুলো, অনেকেই কী করলে আচরণবিধি ভঙ্গ হয় ভালোভাবে জানেন না। কোনো প্রার্থী যদি বারবার আচরণবিধি ভঙ্গ করেন, তাকে আর ক্ষমা করা হবে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে এবং ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সে জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার, তার সবই করা হবে।

তিনি বলেন, বিএনপি যেহেতু নির্বাচনে আসেনি তাদের জন্য নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা প্রযোজ্য নয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ যেহেতু নির্বাচনে এসেছে তাদের জন্য আচরণ বিধিমালা প্রযোজ্য।

বিএনপির নির্বাচনে না আসা প্রসঙ্গে ইসি বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে না আসে সেটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। সেই বিষয়ে কারও কোনও হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই। যারা নির্বাচনের বিপক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে বা হিংসাত্মক কার্যক্রম করছে সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। সুষ্ঠু ও সুন্দর ভোট হলে এবং যদি ভোটার সংখ্যা বেশি হয় তাহলে সেটা অবশ্যই দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা পাবে।’

রাজনৈতিক দলগুলোর সভাসমাবেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বিএনপি যেহেতু নির্বাচনে আসেনি তাদের জন্য নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা প্রযোজ্য নয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ যেহেতু নির্বাচনে এসেছে তাদের জন্য আচরণ বিধিমালা প্রযোজ্য। বিএনপি আমাদের কাছে কর্মসূচি পালনের জন্য অনুমতি চায়নি। অনুমতি চাইবে পুলিশের কাছে, আমাদের কাছে না।’

১০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক কর্মসূচি অনুমতি না দেওয়া এবং বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ইসি বলেন, যেহেতু আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আছে তাই নির্বাচন আচরণবিধি প্রযোজ্য। বিএনপি আমাদের কাছে অনুমতি চায়নি, সভা সমাবেশের জন্য পুলিশের অনুমতি চাইতে পারে। ওটা পুলিশের বিষয়।

পুলিশ নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করছে, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মসূচির অনুমতি পেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যস্ততা বাড়বে এবং আওয়ামী লীগের নির্বাচন আচরণবিধি ভঙ্গের কারণও হতে পারে, তাই সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে কোনো অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারের রুমে গিয়ে পরিচয় দেবেন এবং সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারকে আপনার কার্ড দেখাবেন। আপনি ভোটকেন্দ্রে লাইভ, রেকর্ড ও সাক্ষাৎকার নিতে চাইলে লাইনে থাকা অবস্থায় করতে হবে। এছাড়া কক্ষের ভেতরে ঢুকতে পারবেন, ছবি তুলতে পারবেন তবে বক্তব্য নিতে পারবেন না, লাইভ করতে পারবেন না। এক রুমে ১০ মিনিটের বেশি থাকা যাবে না।

জামালপুরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মো. শফিউর রহমান, পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শানিয়াতজ্জামানসহ নির্বাচনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।