Dhaka সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন থেকে দৃষ্টি সরাতে একের পর এক নাটক চলছে : জয়নুল আবদীন ফারুক

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মূল দাবি নির্বাচন থেকে দৃষ্টি সরাতে দেশে একের পর এক নাটক চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক।

বুধবার (২১ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক আন্দোলন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, বর্তমান ইসি নিয়ে কারও কোনো অভিযোগ নেই, অথচ তাদের সরাতে একটি দল উঠেপড়ে লেগেছে। মূল দাবি নির্বাচন থেকে দৃষ্টি সরাতে দেশে একের পর এক নাটক চলছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে অনেকেই ষড়যন্ত্র করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সব ষড়যন্ত্র থেকে বাঁচতে অবিলম্বে নির্বাচন দিতে হবে। এ সরকারের প্রতি বিএনপির সমর্থন আছে, তবে তা কতো দিন থাকবে সেটি নির্ভর করবে সরকারের আচরণের ওপর।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ইসি পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে কমিশনের সামনে যে আন্দোলন হচ্ছে তা গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দেয়।

সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের বিদেশ যাত্রা, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আইভী রহমানকে গ্রেফতার ও অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেফতারের পর জামিন দেয়ার মতো দেশে একের পর এক নাটক চলছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এগুলো জনগণের মূল দাবি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টা কি না ভাববার বিষয়।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নানা নাটক মঞ্চস্থ করে ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, নতুন দল এনসিপির নির্বাচন কমিশন ঘেরাওয়ের পেছনে ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে।

এ সময় তিনি নানা প্রশ্ন তুলে বলেন, কারও যদি কান কথা শুনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে ইশরাকের শপথ বন্ধ করে দেয়া হয়, তাহলে খুব খারাপ কাজ হয়েছে। বিচারক রায় দিয়েছেন কার পরামর্শে? আজকে জনগণ রাস্তায়। এ পরামর্শ না নিলেই পারতেন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের তো ভয় পাওয়ার কথা না, তাহলে কেন ইশরাক শপথ নিতে পারলেন না?

ইশরাক হোসেনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, বিচারক রায় দিয়েছেন কার ইঙ্গিতে, কার বলে, কার পরামর্শে? আজকে জনগণ রাস্তায়, এই পরামর্শটা আপনি না নিলেই পারতেন।

সাবেক এই চিফ হুইপ বলেন, আপনার হাতে ক্ষমতা আল্লাহ দিয়েছে, জনগণ পাশে আছে। তাহলে কিসের এত ভয়? আপনার তো ভয় পাওয়ার কথা না। কারণ সবাই আপনার সঙ্গে শুধু আওয়ামী লীগ ছাড়া। তাহলে কেন ইশরাক শপথ নিতে পারলেন না? ইশরাকের সমর্থকরা কেন সিটি কর্পোরেশন তালা দিলেন? আপনারা যদি কারো কান কথা শুনে ইশরাকের শপথ গ্রহণ কে বন্ধ করে থাকেন, তাহলে এটি খুব ঘৃণিত কাজ করেছেন।

ফারুক বলেন, আমি এসব প্রঙ্গে যাব না আর আব্দুল হামিদ প্রসঙ্গেও যেতে চাইন। এমনকি নাইকার নাটকের মঞ্চস্থেও আমি যেতে চাইনা। এসব মঞ্চস্থ হচ্ছে কারণ আজ ১১ টায় নির্বাচন কমিশনের সামনে একটি রাজনৈতিক দলের (এনসিপি) বিক্ষোভ মিছিল হল।

তিনি বলেন, যে নির্বাচন কমিশন ঠিক একটি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যার কোন সমালোচনা ইতোমধ্যে হয়নি ঠিক তখনই তাকে (নির্বাচন কমিশন) নিয়ে কেন, কি কারণে এবং কার ইঙ্গিতে কমিশনের সামনে বিক্ষোভ হচ্ছে?

তিনি আরও বলেন, আমার মনেহয় তলেতলে আপনারা তাদের কথা শুনে ইশরাকের শপথ করান নাই এবং হামিদের মত লোককে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এবং বিভিন্ন নাটক মঞ্চস্থ করে দেশের মানুষের ভোটের অধিকারের পথ থেকে বঞ্চিত করার পরিকল্পনা হচ্ছে।

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, আপনাদের ওপর আস্থা আপনাদের ওপর বিশ্বাস সবকিছুই মানুষ হারিয়ে ফেলেছে। এসব হারিয়ে যাওয়ার পর কি হবে? কেউ লন্ডন চলে যাবে, কেউ আমেরিকা চলে যাবে। কেউ পরিবেশের নামে বিদেশ চলে যাবে। আপনার আশেপাশে যারা কান কথা দিয়ে আপনাকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছে, তারা তখন কেউই আপনার পাশে থাকবে না। আপনার সুনাম এবং আপনার অর্জনকে এরা ক্ষুন্ন করে চলে যাবে।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আ. ক. ম মোজাম্মেল হক প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আড়াই বছরেও শেষ হয়নি সেতু নির্মাণ কাজ, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

নির্বাচন থেকে দৃষ্টি সরাতে একের পর এক নাটক চলছে : জয়নুল আবদীন ফারুক

প্রকাশের সময় : ০৪:০৬:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মূল দাবি নির্বাচন থেকে দৃষ্টি সরাতে দেশে একের পর এক নাটক চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক।

বুধবার (২১ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক আন্দোলন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, বর্তমান ইসি নিয়ে কারও কোনো অভিযোগ নেই, অথচ তাদের সরাতে একটি দল উঠেপড়ে লেগেছে। মূল দাবি নির্বাচন থেকে দৃষ্টি সরাতে দেশে একের পর এক নাটক চলছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে অনেকেই ষড়যন্ত্র করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সব ষড়যন্ত্র থেকে বাঁচতে অবিলম্বে নির্বাচন দিতে হবে। এ সরকারের প্রতি বিএনপির সমর্থন আছে, তবে তা কতো দিন থাকবে সেটি নির্ভর করবে সরকারের আচরণের ওপর।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ইসি পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে কমিশনের সামনে যে আন্দোলন হচ্ছে তা গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দেয়।

সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের বিদেশ যাত্রা, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আইভী রহমানকে গ্রেফতার ও অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেফতারের পর জামিন দেয়ার মতো দেশে একের পর এক নাটক চলছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এগুলো জনগণের মূল দাবি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টা কি না ভাববার বিষয়।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নানা নাটক মঞ্চস্থ করে ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, নতুন দল এনসিপির নির্বাচন কমিশন ঘেরাওয়ের পেছনে ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে।

এ সময় তিনি নানা প্রশ্ন তুলে বলেন, কারও যদি কান কথা শুনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে ইশরাকের শপথ বন্ধ করে দেয়া হয়, তাহলে খুব খারাপ কাজ হয়েছে। বিচারক রায় দিয়েছেন কার পরামর্শে? আজকে জনগণ রাস্তায়। এ পরামর্শ না নিলেই পারতেন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের তো ভয় পাওয়ার কথা না, তাহলে কেন ইশরাক শপথ নিতে পারলেন না?

ইশরাক হোসেনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, বিচারক রায় দিয়েছেন কার ইঙ্গিতে, কার বলে, কার পরামর্শে? আজকে জনগণ রাস্তায়, এই পরামর্শটা আপনি না নিলেই পারতেন।

সাবেক এই চিফ হুইপ বলেন, আপনার হাতে ক্ষমতা আল্লাহ দিয়েছে, জনগণ পাশে আছে। তাহলে কিসের এত ভয়? আপনার তো ভয় পাওয়ার কথা না। কারণ সবাই আপনার সঙ্গে শুধু আওয়ামী লীগ ছাড়া। তাহলে কেন ইশরাক শপথ নিতে পারলেন না? ইশরাকের সমর্থকরা কেন সিটি কর্পোরেশন তালা দিলেন? আপনারা যদি কারো কান কথা শুনে ইশরাকের শপথ গ্রহণ কে বন্ধ করে থাকেন, তাহলে এটি খুব ঘৃণিত কাজ করেছেন।

ফারুক বলেন, আমি এসব প্রঙ্গে যাব না আর আব্দুল হামিদ প্রসঙ্গেও যেতে চাইন। এমনকি নাইকার নাটকের মঞ্চস্থেও আমি যেতে চাইনা। এসব মঞ্চস্থ হচ্ছে কারণ আজ ১১ টায় নির্বাচন কমিশনের সামনে একটি রাজনৈতিক দলের (এনসিপি) বিক্ষোভ মিছিল হল।

তিনি বলেন, যে নির্বাচন কমিশন ঠিক একটি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যার কোন সমালোচনা ইতোমধ্যে হয়নি ঠিক তখনই তাকে (নির্বাচন কমিশন) নিয়ে কেন, কি কারণে এবং কার ইঙ্গিতে কমিশনের সামনে বিক্ষোভ হচ্ছে?

তিনি আরও বলেন, আমার মনেহয় তলেতলে আপনারা তাদের কথা শুনে ইশরাকের শপথ করান নাই এবং হামিদের মত লোককে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এবং বিভিন্ন নাটক মঞ্চস্থ করে দেশের মানুষের ভোটের অধিকারের পথ থেকে বঞ্চিত করার পরিকল্পনা হচ্ছে।

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, আপনাদের ওপর আস্থা আপনাদের ওপর বিশ্বাস সবকিছুই মানুষ হারিয়ে ফেলেছে। এসব হারিয়ে যাওয়ার পর কি হবে? কেউ লন্ডন চলে যাবে, কেউ আমেরিকা চলে যাবে। কেউ পরিবেশের নামে বিদেশ চলে যাবে। আপনার আশেপাশে যারা কান কথা দিয়ে আপনাকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছে, তারা তখন কেউই আপনার পাশে থাকবে না। আপনার সুনাম এবং আপনার অর্জনকে এরা ক্ষুন্ন করে চলে যাবে।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আ. ক. ম মোজাম্মেল হক প্রমুখ।