Dhaka শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন আয়োজন নিয়ে জনগণের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে : দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

  • প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশের সময় : ১২:১১:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
  • ১৭৮ জন দেখেছেন

খুলনা জেলা প্রতিনিধি :

নির্বাচন আয়োজন নিয়ে জনগণের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ও নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, নাগরিকদের আস্থা ফেরাতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) খুলনার একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত নাগরিক প্ল্যাটফর্মের প্রাক-নির্বাচনী উদ্যোগ: আঞ্চলিক পরামর্শ সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, নাগরিকদের মনে এখনো যে শঙ্কা ও ভীতি রয়েছে, তা দূর করা না গেলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়। জনগণ আস্থা না পেলে নির্বাচন গণতান্ত্রিক রূপ পায় না। তাই মুক্ত আলোচনা,স্বচ্ছতা ও সততার ভিত্তিতে আস্থা পুনরুদ্ধার সময়ের দাবি।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আগামী নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোকে সাধারণ মানুষের মতামতের ভিত্তিতে নাগরিক ইশতেহার তৈরির সুযোগ দেয়া হচ্ছে। নাগরিকদের কণ্ঠস্বর রাজনৈতিক নেতাদের কাছে পৌঁছানো জরুরি। তবে শুধু ইশতেহারে যুক্ত হলেই তা বাস্তবায়িত হয় না। সবারই নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করা প্রয়োজন।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়ন সম্ভাবনা বহুদিন ধরে আলোচিত হলেও বাস্তবায়ন এখনো দৃশ্যমান নয়। পদ্মা সেতু চালুর পরে প্রত্যাশিত অর্থনৈতিক অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। জমির মূল্য বৃদ্ধি পেলেও কর্মসংস্থান বাড়েনি।

তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের শ্রমিককে আকৃষ্ট করতে অঞ্চলভিত্তিক শিল্পায়ন জরুরি। খুলনা অঞ্চলে কৃষি ভিত্তিক শিল্প, চিংড়ি ও মাছ উৎপাদন এবং পর্যটন খাতে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। সুন্দরবন ও সাংস্কৃতিক সম্পদকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের পর্যটন শিল্প গড়ে ওঠা সম্ভব।

তিনি আরো বলেন, এলাকা থেকে যারা নির্বাচন করবেন, তাদের অবশ্যই আঞ্চলিক উন্নয়ন পরিকল্পনার প্রতিশ্রুতি ইশতেহারে দিতে হবে। নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যম পরবর্তীতে এর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে জবাবদিহিতা তৈরি করবে।

চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সংস্কার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং বন্দর ব্যবস্থাপনাকে আরো উন্নত করতে হবে। এজন্য বৈদেশিক বিনিয়োগের প্রয়োজন হতে পারে। তবে সঠিক সংস্কার যদি ভুলভাবে করা হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট সংস্থা কাঙ্ক্ষিত ফল দিতে পারে না। বন্দর ব্যবস্থাপনায় যে অস্বচ্ছতা ও ধীরগতি দেখা যাচ্ছে, তার কারণে কাঙ্ক্ষিত সুফল পাওয়া যাবে না।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী মারা গেছেন

নির্বাচন আয়োজন নিয়ে জনগণের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে : দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

প্রকাশের সময় : ১২:১১:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫

খুলনা জেলা প্রতিনিধি :

নির্বাচন আয়োজন নিয়ে জনগণের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ও নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, নাগরিকদের আস্থা ফেরাতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) খুলনার একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত নাগরিক প্ল্যাটফর্মের প্রাক-নির্বাচনী উদ্যোগ: আঞ্চলিক পরামর্শ সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, নাগরিকদের মনে এখনো যে শঙ্কা ও ভীতি রয়েছে, তা দূর করা না গেলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়। জনগণ আস্থা না পেলে নির্বাচন গণতান্ত্রিক রূপ পায় না। তাই মুক্ত আলোচনা,স্বচ্ছতা ও সততার ভিত্তিতে আস্থা পুনরুদ্ধার সময়ের দাবি।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আগামী নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোকে সাধারণ মানুষের মতামতের ভিত্তিতে নাগরিক ইশতেহার তৈরির সুযোগ দেয়া হচ্ছে। নাগরিকদের কণ্ঠস্বর রাজনৈতিক নেতাদের কাছে পৌঁছানো জরুরি। তবে শুধু ইশতেহারে যুক্ত হলেই তা বাস্তবায়িত হয় না। সবারই নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করা প্রয়োজন।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়ন সম্ভাবনা বহুদিন ধরে আলোচিত হলেও বাস্তবায়ন এখনো দৃশ্যমান নয়। পদ্মা সেতু চালুর পরে প্রত্যাশিত অর্থনৈতিক অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। জমির মূল্য বৃদ্ধি পেলেও কর্মসংস্থান বাড়েনি।

তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের শ্রমিককে আকৃষ্ট করতে অঞ্চলভিত্তিক শিল্পায়ন জরুরি। খুলনা অঞ্চলে কৃষি ভিত্তিক শিল্প, চিংড়ি ও মাছ উৎপাদন এবং পর্যটন খাতে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। সুন্দরবন ও সাংস্কৃতিক সম্পদকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের পর্যটন শিল্প গড়ে ওঠা সম্ভব।

তিনি আরো বলেন, এলাকা থেকে যারা নির্বাচন করবেন, তাদের অবশ্যই আঞ্চলিক উন্নয়ন পরিকল্পনার প্রতিশ্রুতি ইশতেহারে দিতে হবে। নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যম পরবর্তীতে এর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে জবাবদিহিতা তৈরি করবে।

চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সংস্কার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং বন্দর ব্যবস্থাপনাকে আরো উন্নত করতে হবে। এজন্য বৈদেশিক বিনিয়োগের প্রয়োজন হতে পারে। তবে সঠিক সংস্কার যদি ভুলভাবে করা হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট সংস্থা কাঙ্ক্ষিত ফল দিতে পারে না। বন্দর ব্যবস্থাপনায় যে অস্বচ্ছতা ও ধীরগতি দেখা যাচ্ছে, তার কারণে কাঙ্ক্ষিত সুফল পাওয়া যাবে না।