নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপি চেয়ারপারসন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম বলেন, নিয়ন্ত্রণহীন নিত্যপণ্যের মূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতা নিঃশেষ করে দিচ্ছে। বেকারত্ব বৃদ্ধি, ব্যাংক থেকে বাছ-বিচারহীন ঋণ গ্রহণসহ আর্থিক কার্যক্রম দেশের মূল্যস্ফীতিকে আকাশচুম্বী করার পাশাপাশি মানুষের জীবনযাপনকে কঠিন করে তুলেছে। এ অবস্থায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট মরার ওপর খাড়ার গা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।’
শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় কালভার্ট রোডে ক্যানসার সৃষ্টিকারী ৫২৭টি ভারতীয় পণ্য নিষিদ্ধের দাবিতে গণঅধিকার পরিষদের (মশিউজ্জামান-ফারুক) বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাম বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ দখলদার ডামি সরকার ক্ষমতায় থাকায় দেশের অর্থব্যবস্থাকে ফোকলা করে দিয়েছে। একটার পর একটি ঋণনির্ভর মেগা বাজেট দেশের অর্থব্যবস্থাকে পঙ্গুত্বের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ঋণখেলাপিদের সংখ্যা ও টাকার অংক দিন দিন বাড়ছে। মেগা প্রকল্পের নামে দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থপাচারকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সুশাসন, মানবিকতার অনুপস্থিতি, নৈতিক মূল্যবোধহীন দেশের তরুণ সমাজকে বিপদগামী করে তুলেছে। ভিনদেশী নির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা এ দেশের মাটি ও মানুষের সাথে যায় না। শিক্ষাব্যবস্থাকে জনমানুষের চিন্তা-চেতনা ও বিশ্বাসের বিপরীতে দাঁড় করানো হয়েছে। বিজাতীয় সংস্কৃতির অবারিত অনুপ্রবেশ শিক্ষাকে আজ ভয়ংকর দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়ালে আমাদের অস্তিত্ব সংকটে পড়তে হবে। গণতন্ত্র আজ নির্বাসিত।
সালাম বলেন, সরকার ঘোষিত নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যায় না। এটি লজ্জার। ভোটারবিহীন নির্বাচন পরিচালনা করা ইসির অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। দেশের জনগণকে জাগতে হবে। এগিয়ে আসতে হবে। দেশে আইনের শাসন, মানবিকতা, মানবিক মূল্যবোধ, গণতন্ত্র ফেরত আনাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভূমিকা পালন করতে হবে।
সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, যে সরকার আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে হঠাৎ করেই কোটা প্রথা চালু করেছে, এতে করে ছাত্ররা বিক্ষুব্ধ হবে আর চাপা পড়বে বেনজীর-আজিজের পাহাড়সহ দুর্নীতির ইস্যু। একইসাথে সরকার তাদের দেওয়া অবৈধ বাজেট নিয়ে জনগণ যাতে সোচ্চার হতে না পারে।
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ফারুক হাসান বলেন, আমরা ভারত হটাও, বাংলাদেশ বাঁচাও আন্দোলনে নেমেছি, এই আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরেঘরে পৌঁছে দিবো ইনশাআল্লাহ। অনেক চাপ আসছে, কিন্তু কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করা হবে না ইনশাআল্লাহ।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব মোহাম্মদ আতাউল্লাহর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা সৈয়দ এহসানুল হুদা, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, কল্যান পার্টির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ পারভেজ, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এস ফাহিম, মোহাম্মদ তারেক রহমান, জিয়াউর রহমান, শেখ খায়রুল কবূর, শাহাবুদ্দিন শুভ, আব্দুল্লাহ, ফায়সাল, যুবনেতা সাকিব হোসাইন, ছাত্রনেতা মোল্যা রহমতইল্লাহ প্রমুখ।