Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিপুণের প্যানেলের সভাপতি মাহমুদ কলি

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৪৯:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪
  • ১৮৭ জন দেখেছেন

বিনোদন ডেস্ক : 

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নিজ প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী খুঁজে পেলেন আলোচিত চিত্রনায়িকা ও আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচনের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী নিপুণ আক্তার। এবার তিনি মাহমুদ কলিকে নিয়ে নির্বাচনে লড়বেন মিশা-ডিপজলের বিপক্ষে।

একটি বিশেষ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এ বিষয়ে রোববার (১৭ মার্চ) আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন নিপুণ।

এর আগে মাহমুদ কলি শিল্পী সমিতির দুই দফা করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। দীর্ঘ দিন পর আবারও সমিতির নির্বাচনে দেখা যাবে তাকে।

বরেণ্য অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চনের নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েন নিপুণ। হন্যে হয়ে সভাপতি খুঁজে বেড়ান তিনি। সেই তালিকায় ছিলেন শাকিব খান, ফেরদৗস আহমেদ, অনন্ত জলিল ও আহমেদ শরীফ। তারা সবাই নিপুণকে ফিরিয়ে দেন। এমন অবস্থায় নিপুণের পাশে এসে দাঁড়ালেন মাহমুদ কলি।

সংবাদমাধ্যমকে মাহমুদ কলি বলেন, এর আগেও আমি শিল্পী সমিতির নির্বাচন করে বিজয়ী হয়ে দায়িত্ব পালন করেছি। এবারও নির্বাচনে অংশগ্রহন করছি। সভাপতি পদে নির্বাচন করবো।

সতন্ত্র না কোনো প্যানেল থেকে নির্বাচন করবেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আসলে আমি একটি প্যানেলের হয়ে নির্বাচন করছি। সেই প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে লড়বেন নিপুণ আক্তার।

সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি জানিয়েছেন নিপুণ। প্রতিদ্বন্দ্বী মিশা-ডিপজল প্যানেল প্রায় ঘোষণার পথে। কিন্তু আপনাদের সভাপতিই এখনো ঠিক হয়নি। চাপের মুখে পড়ে গিয়েছেন কি? এমন প্রশ্নের জবাবে নিপুণ বলেন, না, কোনো চাপ নেই। গতবার তো শূন্য থেকে এই জায়গায় এসেছি। আর এবার তো আমার তৈরি মাঠ। সভাপতি প্রার্থী ঠিকঠাক হয়ে গেছে। তবে এখনই প্রকাশ করব না। তাহলে সেটি নিয়েও রাজনীতি হতে পারে। নির্বাচন এখনও অনেক দেরি। সময়মতো পুরো প্যানেল প্রকাশ করব।

এর আগে গুজব ছাড়ায় সভাপতি খুঁজতে সোহেল রানা, শাকিব খান, অনন্ত জলিল প্রমুখের দ্বারস্থ হয়েছেন নিপুণ। কিন্তু কেউ তার ডাকে সাড়া দেননি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সভাপতি প্রার্থীর জন্য আমি সোহেল রানা ভাইয়ের কাছে যাইনি। আমি শুধুই দোয়া চাইতে গিয়েছিলাম। আপনারা খোঁজ নিতে পারেন। আর অনন্ত জলিল ভাই প্রতিবছরই পিকনিকের টাকা দেন। এবারও যখন টাকা আনতে গিয়েছিলাম, বলেছিলাম— ভাইয়া আপনি বিভিন্ন সময়ে চলচ্চিত্রের যে কোনো ব্যাপারে টাকা দেন। আপনি শিল্পী সমিতির সভাপতির দায়িত্বে থেকে কাজটি আরও ভালোভাবে করতে পারেন। এতটুকুই। কিন্তু বিষয়টি এত বড় করে ছড়িয়েছে, অবাক হয়েছি। অন্যদিকে শাকিব খান ও আরশাদ আদনানের কাছে সভাপতি প্রার্থী হতে কখনও প্রস্তাব দেননি বলে জানান এই অভিনেত্রী।

আগামী ২৭ এপ্রিল এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হবে শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও মিশা সওদাগর থাকবেন এক প্যানেলে। তারা নিপুণের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

মাহমুদ কলি ছিলেন আশি ও নব্বই দশকের নায়ক। দীর্ঘদিন তিনি রূপালী পর্দায় দর্শক মাতিয়েছেন। তার পারিবারিক নাম মাহমুদুর রহমান উসমানী। তিনি বাংলাদেশের স্বনামধন্য চিত্রনির্মাতা আজিজুর রহমান বুলি’র ছোট ভাই। মূলত ভাইয়ের হাত ধরেই তিনি চলচ্চিত্রে আসেন। এরপর দেখিয়েছেন অভিনয়ের মুন্সিয়ানা।

মাহমুদ কলি’র প্রথম চলচ্চিত্র ‘মাস্তান’। তিনি এই চলচ্চিত্রে সহ-অভিনেতার ভূমিকায় ছিলেন। এরপর ১৯৭৮ সালে অশোক ঘোষ নির্মিত ‘তুফান’ চলচ্চিত্রে মূল নায়কের ভুমিকায় অভিনয় করেন। মাহমুদ কলি ৬১টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তারমধ্যে ২টি সিনেমা মুক্তির মুখ দেখেনি। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘লাভ ইন সিঙ্গাপুর’, ‘গোলমাল’, ‘নেপালি মেয়ে’, ‘শ্বশুরবাড়ি’, ‘সুপারস্টার’, ‘গ্রেফতার’, ‘খামোশ’, ‘মহান’, ‘দেশ বিদেশ’, ‘মা বাপ’ ইত্যাদি।

১৯৯৪ সালে নায়ক হিসেবে মাহমুদ কলি অভিনীত সর্বশেষ মুক্তি পায়। এর নাম ছিলো ‘মহাগ্যাঞ্জাম’। তবে ২০০২ সালে তাকে আবারও দেখা গিয়েছিলো ‘আবার একটি যুদ্ধ’ চলচ্চিত্রে। সেখানে তিনি উকিল চরিত্রে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন।

অভিনয়ের পাশাপাশি দীর্ঘদিন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেতৃত্বের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন তিনি। ১৯৯১ সালে তিনি সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তার সঙ্গে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন খল অভিনেতা আহমেদ শরীফ। এরপর তিনি একই প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়ে ১৯৯৫-১৯৯৭ সাল পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তবে এর পরের বছরে তিনি অভিনেতা মিজু আহমেদকে নিয়ে নতুন প্যানেলে সভাপতি পদে প্রার্থি হন এবং নির্বাচিত হন। ৯৭ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত টানা দুই মেয়াদে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

১৯৯৭ সালে তিনি টিভি নাটক নির্মাণেও নাম লেখান। ‘তাদের কথা’ নামি ছিলো তার প্রথম নাটকের। এরপর তিনি ‘আলোকিত আঙ্গিনা’ নামে আরও একটি ধারাবাহিক নাটক নির্মান করেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

নিপুণের প্যানেলের সভাপতি মাহমুদ কলি

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৯:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক : 

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নিজ প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী খুঁজে পেলেন আলোচিত চিত্রনায়িকা ও আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচনের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী নিপুণ আক্তার। এবার তিনি মাহমুদ কলিকে নিয়ে নির্বাচনে লড়বেন মিশা-ডিপজলের বিপক্ষে।

একটি বিশেষ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এ বিষয়ে রোববার (১৭ মার্চ) আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন নিপুণ।

এর আগে মাহমুদ কলি শিল্পী সমিতির দুই দফা করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। দীর্ঘ দিন পর আবারও সমিতির নির্বাচনে দেখা যাবে তাকে।

বরেণ্য অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চনের নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েন নিপুণ। হন্যে হয়ে সভাপতি খুঁজে বেড়ান তিনি। সেই তালিকায় ছিলেন শাকিব খান, ফেরদৗস আহমেদ, অনন্ত জলিল ও আহমেদ শরীফ। তারা সবাই নিপুণকে ফিরিয়ে দেন। এমন অবস্থায় নিপুণের পাশে এসে দাঁড়ালেন মাহমুদ কলি।

সংবাদমাধ্যমকে মাহমুদ কলি বলেন, এর আগেও আমি শিল্পী সমিতির নির্বাচন করে বিজয়ী হয়ে দায়িত্ব পালন করেছি। এবারও নির্বাচনে অংশগ্রহন করছি। সভাপতি পদে নির্বাচন করবো।

সতন্ত্র না কোনো প্যানেল থেকে নির্বাচন করবেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আসলে আমি একটি প্যানেলের হয়ে নির্বাচন করছি। সেই প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে লড়বেন নিপুণ আক্তার।

সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি জানিয়েছেন নিপুণ। প্রতিদ্বন্দ্বী মিশা-ডিপজল প্যানেল প্রায় ঘোষণার পথে। কিন্তু আপনাদের সভাপতিই এখনো ঠিক হয়নি। চাপের মুখে পড়ে গিয়েছেন কি? এমন প্রশ্নের জবাবে নিপুণ বলেন, না, কোনো চাপ নেই। গতবার তো শূন্য থেকে এই জায়গায় এসেছি। আর এবার তো আমার তৈরি মাঠ। সভাপতি প্রার্থী ঠিকঠাক হয়ে গেছে। তবে এখনই প্রকাশ করব না। তাহলে সেটি নিয়েও রাজনীতি হতে পারে। নির্বাচন এখনও অনেক দেরি। সময়মতো পুরো প্যানেল প্রকাশ করব।

এর আগে গুজব ছাড়ায় সভাপতি খুঁজতে সোহেল রানা, শাকিব খান, অনন্ত জলিল প্রমুখের দ্বারস্থ হয়েছেন নিপুণ। কিন্তু কেউ তার ডাকে সাড়া দেননি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সভাপতি প্রার্থীর জন্য আমি সোহেল রানা ভাইয়ের কাছে যাইনি। আমি শুধুই দোয়া চাইতে গিয়েছিলাম। আপনারা খোঁজ নিতে পারেন। আর অনন্ত জলিল ভাই প্রতিবছরই পিকনিকের টাকা দেন। এবারও যখন টাকা আনতে গিয়েছিলাম, বলেছিলাম— ভাইয়া আপনি বিভিন্ন সময়ে চলচ্চিত্রের যে কোনো ব্যাপারে টাকা দেন। আপনি শিল্পী সমিতির সভাপতির দায়িত্বে থেকে কাজটি আরও ভালোভাবে করতে পারেন। এতটুকুই। কিন্তু বিষয়টি এত বড় করে ছড়িয়েছে, অবাক হয়েছি। অন্যদিকে শাকিব খান ও আরশাদ আদনানের কাছে সভাপতি প্রার্থী হতে কখনও প্রস্তাব দেননি বলে জানান এই অভিনেত্রী।

আগামী ২৭ এপ্রিল এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হবে শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও মিশা সওদাগর থাকবেন এক প্যানেলে। তারা নিপুণের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

মাহমুদ কলি ছিলেন আশি ও নব্বই দশকের নায়ক। দীর্ঘদিন তিনি রূপালী পর্দায় দর্শক মাতিয়েছেন। তার পারিবারিক নাম মাহমুদুর রহমান উসমানী। তিনি বাংলাদেশের স্বনামধন্য চিত্রনির্মাতা আজিজুর রহমান বুলি’র ছোট ভাই। মূলত ভাইয়ের হাত ধরেই তিনি চলচ্চিত্রে আসেন। এরপর দেখিয়েছেন অভিনয়ের মুন্সিয়ানা।

মাহমুদ কলি’র প্রথম চলচ্চিত্র ‘মাস্তান’। তিনি এই চলচ্চিত্রে সহ-অভিনেতার ভূমিকায় ছিলেন। এরপর ১৯৭৮ সালে অশোক ঘোষ নির্মিত ‘তুফান’ চলচ্চিত্রে মূল নায়কের ভুমিকায় অভিনয় করেন। মাহমুদ কলি ৬১টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তারমধ্যে ২টি সিনেমা মুক্তির মুখ দেখেনি। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘লাভ ইন সিঙ্গাপুর’, ‘গোলমাল’, ‘নেপালি মেয়ে’, ‘শ্বশুরবাড়ি’, ‘সুপারস্টার’, ‘গ্রেফতার’, ‘খামোশ’, ‘মহান’, ‘দেশ বিদেশ’, ‘মা বাপ’ ইত্যাদি।

১৯৯৪ সালে নায়ক হিসেবে মাহমুদ কলি অভিনীত সর্বশেষ মুক্তি পায়। এর নাম ছিলো ‘মহাগ্যাঞ্জাম’। তবে ২০০২ সালে তাকে আবারও দেখা গিয়েছিলো ‘আবার একটি যুদ্ধ’ চলচ্চিত্রে। সেখানে তিনি উকিল চরিত্রে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন।

অভিনয়ের পাশাপাশি দীর্ঘদিন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেতৃত্বের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন তিনি। ১৯৯১ সালে তিনি সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তার সঙ্গে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন খল অভিনেতা আহমেদ শরীফ। এরপর তিনি একই প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়ে ১৯৯৫-১৯৯৭ সাল পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তবে এর পরের বছরে তিনি অভিনেতা মিজু আহমেদকে নিয়ে নতুন প্যানেলে সভাপতি পদে প্রার্থি হন এবং নির্বাচিত হন। ৯৭ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত টানা দুই মেয়াদে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

১৯৯৭ সালে তিনি টিভি নাটক নির্মাণেও নাম লেখান। ‘তাদের কথা’ নামি ছিলো তার প্রথম নাটকের। এরপর তিনি ‘আলোকিত আঙ্গিনা’ নামে আরও একটি ধারাবাহিক নাটক নির্মান করেন।