নাটোর জেলা প্রতিনিধি :
নাটোর আদালত চত্বরে পূর্ব বিরোধের জেরে রাতুল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় দেশীয় অস্ত্র ও গুলিসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে নাটোর আদালত চত্বরে পুরাতন আইনজীবী ভবনের সিড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে হামলাকারী পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ।
আহত রাতুল আহমেদকে (৩০) উদ্ধারের পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনি শহরের কানাইখালী এলাকার রাজু আহমেদের ছেলে। আটক পাঁচজন হলেন–সজিব (৩০), সোহাগ (৩০), সুমন (৩৫), সবুজ (২৭) ও শাহারিয়া (২৮)।
আটককৃতরা হলো, নাটোর শহতলীর ফতেঙ্গা পাড়ার রাইজুল ইসলামের ছেলে সজীব (৩২), শহরের বঙ্গোজল এলাকার সেকেন্দারের ছেলে সুমন (৩৫), কানাইখালী এলাকার শওকতের ছেলে ইমন (২৮), গাড়ীখানা এলাকার সবুরের ছেলে সবুজ (২৭), দক্ষিণ পটুয়া পাড়া এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে সোহাগ (৩০)। আটককৃতরা স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের অনুসারী বলে জানা গেছে।
হামলার ঘটনার পর আজ দুপুর আড়াইটার দিকে সদর থানায় সংবাদ সম্মেলন করেন জেলা পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে নাটোরের জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালায় রাতুল আহমেদের ওপর। এ সময় চাইনিজ কুড়াল, হাসুয়া, রামদা দিয়ে কুপিয়ে তাঁকে আহত করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
পরে ভিকটিমের তথ্যানুযায়ী অভিযান পরিচালনা করে হামলাকারী সজিব, সোহাগ, সুমন, সবুজ ও ইমন নামের পাঁচজনকে আটক করে। তাঁদের কাছ থেকে চার রাউন্ড গুলি, একটি চাইনিজ কুড়াল, চারটি দেশি অস্ত্র ও তিনটি রেজিষ্ট্রেশন বিহীন মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা হবে। ভিকটিমের পক্ষ থেকে এজাহার বা মামলা দায়ের সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাটোর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম মুক্তা জানান, এই ধরণের ঘৃণিত ও নিন্দনীয় ঘটনায় আইনজীবী সমিতির জরুরী সভা ডাকা হয়েছে। সভায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। আদালত চত্ত্বর এলাকায় এই ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে পুলিশ সুপারের সাথে আলোচনা করবেন বলেও জানান তিনি।